somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

চার বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের তাণ্ডব

০৩ রা জানুয়ারি, ২০১২ দুপুর ১:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শিক্ষাঙ্গনে আবারও সশস্ত্র তাণ্ডব চালিয়েছে ছাত্রলীগ। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি), রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় (রাবি), চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) এবং খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুয়েট) সংগঠনটির নেতাকর্মীদের বেপরোয়া সংঘর্ষে ক্যাম্পাস রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে। ক্যাম্পাসগুলোতে সরকারি দলের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের ক্যাডারদের গোলাগুলি ও বোমাবাজির ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া রাজশাহী, চট্টগ্রাম ও খুলনা শহর এলাকায় বসবাসরত সাধারণ মানুষের মধ্যেও আতঙ্ক বিরাজ করছে। খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে বার্ষিক ভোজে নিম্নমানের খাবার সরবরাহের প্রতিবাদ করায় বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাসে সাধারণ ছাত্রদের চাপাতি, রামদা, হাতুড়ি, শিকল ও বাঁশ দিয়ে পিটিয়েছে। তাদের হাত থেকে রক্ষা পাননি শিক্ষক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও। ঢাকা, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ নিজেরাই সংঘর্ষে লিপ্ত হয়।
এর আগেও ছাত্রলীগের তাণ্ডবে রাজশাহীর বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ছাত্রলীগের যুদ্ধংদেহী হামলায় ঝরে গেছে কয়েকজন মেধাবী ছাত্রের প্রাণ; পাশাপাশি টেন্ডার নিয়ন্ত্রণ, চাঁদাবাজি, হল দখল ও দেহ ব্যবসার মতো ন্যক্কারজনক ঘটনাও চলছে। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা এসব কর্মকাণ্ডে ক্ষুব্ধ হয়ে ছাত্রলীগের সাংগঠনিক নেত্রীর পদ থেকে সরে দাঁড়ালেও শিক্ষাঙ্গনে সংগঠনটির তাণ্ডব বেড়েই চলেছে।
সাধারণ ছাত্রদের ওপর ছাত্রলীগের হামলা ও পরে সংঘর্ষের ঘটনায় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।এর আগে একুশে হলের বার্ষিক ভোজের দায়িত্বে থাকা ছাত্রলীগ নেতাদের নিম্নমানের খাবার সরবরাহে সাধারণ শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদ করলে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা বহিরাগতদের নিয়ে ক্যাম্পাসে তাণ্ডব চালায়। সাধারণ শিক্ষার্থীরা তাদের প্রতিরোধ করলে দু’পক্ষের সংঘর্ষে ক্যাম্পাস রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এতে অর্ধশতাধিক শিক্ষার্থী আহত হয়। ছাত্রলীগ ক্যাডাররা ভিসির বাংলো, একুশে হল ও দুটি গাড়ি ভাংচুর করে। তাদের হামলার হাত থেকে ভিসির পরিবারও রেহাই পাননি। প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, প্রতি বছরের মতো গত ৩১ ডিসেম্বর ও ১ জানুয়ারি অমর একুশে হলে বার্ষিক প্রীতি ভোজের আয়োজন করা হয়। এর জন্য সাড়ে ৮ লাখ টাকা বরাদ্দ দেয়া হয়। শিক্ষার্থীদের জন্য মাথাপিছু ৮৮৬ টাকা বরাদ্দ থাকলেও তিন-চারশ’ মূল্যমানের খাবার পরিবেশন করা হয়। এ খাবার প্রস্তুত ও সরবরাহের দায়িত্বে ছিল ছাত্রলীগ নেতা মুন্না, আবির, কাজল, হিমু, জুবায়ের, সুমন, মুকুল, নীহার, নয়ন, সোহান ও ওয়ারিনসহ ১৫ সদস্যের একটি টিম। গত রোববার রাতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে খাবারের মান নিয়ে ছাত্রলীগের নেতাদের সঙ্গে কথা কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে উত্তেজিত এক নেতা হাসান নামের এক ছাত্রের মাথায় সেভেনআপের বোতল দিয়ে আঘাত করে। পরে রোববার রাতের থেকে যাওয়া বাসি খাবার সোমবার দুপুরে পরিবেশন করা হয়। খাওয়া-দাওয়ার শেষ পর্যায়ে ছাত্রলীগের ওইসব নেতা ছাত্রদের উদ্দেশে বলে, ‘তোদের কত খাওয়া লাগে আজ খেয়ে নে।’ এর কিছুক্ষণ পর ফুলবাড়ী গেটসহ আশপাশের এলাকা থেকে ছাত্রলীগের বহিরাগত ক্যাডাররা রামদা, চাপাতি, লোহার রড ও লাঠিসোঠা নিয়ে ক্যাম্পাসে আসে এবং সাধারণ ছাত্রদের ওপর হামলা করে। হামলায় রাসেল, মঞ্জু, সুজাত, রাসেল, লেনিন, শুভ, আলাউদ্দিন, কমল, সেতু, শাহাদত, শুভসহ অর্ধশতাধিক আহত হয়। এদের খুলনা মেডিকেল কলেজে এবং বাকিদের বিভিন্ন ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়েছে। এ সময় শিক্ষকরা এগিয়ে গেলে বহিরাগতরা তাদের ওপরও হামলা চালায়। এতে ছাত্রকল্যাণ পরিচালক প্রফেসর শিবেন্দ্র শেখর সিকদার, ইলেকট্রিক্যাল বিভাগের শিক্ষক ড. রফিকুল ইসলাম ও ইলিয়াস ইনাম কোয়েল, মেকানিক্যাল বিভাগের শিক্ষক ড. মো. মাসুদ ও আবদুর নুর তুষার আহত হন। বিকাল ৪টার দিকে ছাত্রলীগের সঙ্গে পুলিশ এক হয়ে সাধারণ ছাত্রদের ওপর আবারও চড়াও হলে উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।
ঘটনার সময় দায়ের কোপ এবং মারপিটে আহত ৮ ছাত্রকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে—যাদের মধ্যে একজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
পুলিশ দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করেছে। এ ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা সালামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। নতুন বছরের প্রথম প্রহরে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা এক পুলিশ কনস্টেবলকে এলোপাতাড়ি কুপিয়েছে ও এক এএসআইকে কান ধরে উঠ-বস করানোর পর বছরের দ্বিতীয় দিনেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। ক্যাম্পাসে আধিপত্য বিস্তার করতে রোববার রাত ১২টার দিকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলে সংগঠনের নয়ন ও সেলিম গ্রুপের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। তারা কয়েক রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এ সময় কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের আওয়াজ শোনা গেছে। সংঘর্ষের ঘটনায় দুই গ্রুপের অন্তত পাঁচ নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদের মধ্যে খালিদ হাসান নয়ন ও সালাম ওরফে বাইট্টা সালামের অবস্থা গুরুতর। তাদের রাজশাহী মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে।
সম্প্রতি ছাত্রলীগের হল কমিটি গঠনের লক্ষ্যে ১০টি হলে ‘হল সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটি’ গঠন করা হয়। যদিও পরে ওই কমিটিকেই চূড়ান্ত হল কমিটি বলে দাবি করা হয়। ওই কমিটিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল শাখার আহ্বায়ক করা হয় শাহ মু. সেলিমকে। কমিটিতে কোনো পদ না দেয়ায় ক্ষুব্ধ হয় ক্যাম্পাসের ক্যাডার হিসেবে পরিচিত খালিদ হাসান নয়ন। ওই ঘটনার জের ধরে রোববার রাত সাড়ে ১২টার দিকে নয়ন, বাইট্টা সালাম, বিলস, জুয়েলসহ ৮-১০ ছাত্রলীগ কর্মী বঙ্গবন্ধু হলের আহ্বায়ক সেলিমের ২২৮ নম্বর কক্ষে ঢুকে তার মাথায় পিস্তল ঠেকিয়ে তাকে ভয় দেখায়। এ সময় সেলিম ও তার সহযোগীরা নয়ন গ্রুপকে তাড়া করলে নয়ন কয়েক রাউন্ড গুলি ছুড়তে ছুড়তে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে নিজের ২২৭ নম্বর কক্ষে প্রবেশ করে। এরপর সেলিম গ্রুপের কর্মীরা সেখানে ঢুকে নয়ন ও সালামকে রড, হকিস্টিক, লোহার পাইপ ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে জখম করে। এ সময় উভয় গ্রুপের পাঁচ নেতাকর্মী আহত হয়। আহতদের মধ্যে নয়ন ও সালামের অবস্থা গুরুতর। রড ও লোহার পাইপের আঘাতে নয়নের ডান হাতের হাড় ভেঙে গেছে বলে চিকিত্সকরা জানান। সেখান থেকে উদ্ধার করে নয়নকে প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে ভর্তি করা হয়; পরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে রামেক হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। প্রচুর রক্তক্ষরণের কারণে রাতে তাকে চার ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়।
এদিকে গতকাল বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান ও ব্যবস্থাপনা বিভাগের আন্তঃবিভাগ হ্যান্ডবল খেলা নিয়ে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের কর্মীর মধ্যে ফের মারামারি হয়। খেলার সময় কথা কাটাকাটির জের ধরে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রলীগ কর্মী সোহেল গ্রুপের কর্মীরা ব্যবস্থাপনা বিভাগের বনি-পলাশ গ্রুপের কর্মীদের মাদার বখস হলের সামনে মারধর করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। উভয় ঘটনায় ক্যাম্পাসে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যে কোনো মুহূর্তে বিবদমান গ্রুুপের কর্মীদের মাঝে ফের সংঘর্ষ বাধতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ক্যাম্পাসে অতিরক্তি পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
ছাত্রলীগ সভাপতি আহম্মেদ আলী আমার দেশ-কে জানান, এটা ছাত্রলীগের দলীয় কোনো সমস্যা নয়। মূলত ব্যক্তিগত কারণে এ সমস্যা হয়েছে। তবে যারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান। এর আগের দিন পুলিশ কনস্টেবলকে মারপিট ও ছুরিকাঘাত করার ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আটক দেখানো হয় সালাম ওরফে বাইট্টা সালামকে। পুলিশ বাদী ওই মামলায় ছাত্রলীগ কর্মী সালাম, মিঠুসহ অজ্ঞাত আরও ১৫-২০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গত রোববার গভীর রাতে ছাত্রলীগের দু’গ্রুপের সংঘর্েষ চার নেতাকর্মী আহত হয়েছে। সংঘর্ষের পর একাংশের নেতারা ক্যাম্পাস অচল করে দেয়ারও ঘোষণা দিয়েছে। দলীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ছাত্রলীগ চবি শাখা সভাপতি মামুনুল হক মামুন এবং হত্যা মামলার আসামি রাকিব-সাকিবের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পরিচিত সাবেক কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সাহেদ সারোয়ারের মধ্যে গত রোববার দুপুরে কথা কাটাকাটি হয়। এর জের ধরেই রাতে শাহ আমানত ও শাহজালাল হলের সামনে একপক্ষ আরেক পক্ষের ওপর হামলা চালায়। এতে উভয়পক্ষে সাতজন আহত হয়। আহতরা হলো আবু তৈয়ব সুমন (২৫), লোকপ্রশাসন বিভাগ (মাস্টার্স), সাইদুল ইসলাম (২৪), ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগ (চতুর্থ বর্ষ), ওমর রোহেল (২৩), ইংরেজি দ্বিতীয় বর্ষ এবং জাহাঙ্গীর আলম (২০), ইতিহাস (প্রথম বর্ষ)। পুলিশ ও প্রক্টোরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আহতদের উদ্ধার করে বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে পাঠায়। আহতদের মধ্যে জাহাঙ্গীর আলমের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। এদিকে সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রলীগ সভাপতি গ্রুপের নেতারা সংবাদ সম্মেলন করে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ছাত্রলীগ ক্যাডার ও হত্যা মামলার আসামি রাকিব ও সাকিবকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে বলেন, খুনি, অস্ত্রবাজ ও মাদক ব্যবসায়ী রাকিব-সাকিব গং দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি করে আসছে। তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা না হলে ক্যাম্পাস অবরোধসহ দুর্বার আন্দেলন গড়ে তোলা হবে। তারা ভিসি কার্যালয় আধঘণ্টা অবরোধ করে রাখে।
সংঘর্ষ প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. নাসিম হাসান জানান, আহতদের চিকিত্সার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান বলেন, পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
আমাদের ঢাবি রিপোর্টার জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দু’জন আহত হয়েছেন। জানা গেছে, পূর্বশত্রুতার জের ধরে জহুরুল হক হলের ছাত্রলীগ কর্মী সোহান ও রেদওয়ান মহসীন হলের শিমুলকে মারধর করে। এতে শিমুল গুরুতর আহত হয়। পরে শিমুলকে মারার ঘটনায় রেদওয়ানের ওপরও পাল্টা হামলা চালায় ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা। শিমুলকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনা সম্পর্কে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, এদের কেউ ছাত্রলীগের সঙ্গে জড়িত নয়। যারা এ ধরনের ঘটনা ঘটিয়েছে তাদের পুলিশে দেয়ার জন্য প্রক্টর স্যারকে বলেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মো. আমজাদ আলী বলেন, ঘটনা সম্পর্কে খোঁজ নেয়া হচ্ছে। কেউ দোষী প্রমাণিত হলে কঠোর শাস্তি দেয়া হবে।
১০টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জলদস্যুরা কি ফেরেশতা যে ফিরে এসে তাদের এত গুণগান গাওয়া হচ্ছে?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭


জলদস্যুরা নামাজি, তাই তারা মুক্তিপণের টাকা ফেরত দিয়েছে? শিরোনাম দেখে এমনটা মনে হতেই পারে। কিন্তু আসল খবর যে সেটা না, তা ভেতরেই লেখা আছে; যার লিংক নিচে দেওয়া হলো।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ঋণ মুক্তির দোয়া

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৯



একদিন রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববিতে প্রবেশ করে আনসারি একজন লোককে দেখতে পেলেন, যার নাম আবু উমামা। রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘আবু উমামা! ব্যাপার... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×