somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

লেংটা বেলা -টু- বুইড়া বেলা ২য় পর্ব

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কাহিনী লম্বর ২
_______________
:PB-):D



ক্লাস থ্রী তে থাকা অবস্থার ঘটনা।একদিন ফুলবাবু সাইজা ইস্কুল এ গেছি।যাওয়ার আগে মাত্র ৪টা পরোটা , ২টা ডিম ভাজি, সবজি, গরুর মাংশ আর হালকা সেমাই দিয়া নাস্তা কইরা মন খারাপ কইরা ক্লাস এ গেছি /:)( যাওয়ার সময় সিংগারা খাওয়ার লাইগ্যা ৫ টেকা চাইসিলাম।আম্মা দেয় নাই তাই মন খারাপ আছিলো)। ২-৩ ক্লাস যাইতে না যাইতেই পেটের মধ্যে মোচড়।এমন মোচড় যে ২ নয়ন এ আন্দার দেহি এমন অবস্থা।:-*
ম্যাডাম রে কইলাম যে ম্যাডাম বাসায় যামু।
ম্যাডাম কয় কেন বাবু?
বাবুর যে অবস্থা কাবু ঐটা কেমনে কই? :P
কইলাম পেটে ব্যাথা।
ম্যাডাম কয় কেন বাবা কি খাইছো?
আমি নাস্তার বর্ননা শুরু করতেই ম্যাডাম কয় বাবা থাম থাম ..আইটেম কইতাছো না ৩ এর ঘরের নামতা কইতাছো? :P
( আর বেয়াদ্দপ মাইয়ারা এইসব শুইনা এমন হাসি শুরু করলো যে মনে হইতাছিল আমি হেগো দুলাভাই লাগি।কিন্তু অবস্থা খারাপ দেইখা ঐডা রিমাইন্ডার হিসাবে সেভ করে রাখলাম।X(()
ম্যাডাম কয় স্খুলের টয়লেট এ যাও।
আমি কইলাম ম্যাডাম সমস্যা আছে।
কয় কি সমস্যা?
আমি কই কওন যাইবো না..।
আরে কও বাবা আমিতো তুমার মায়ের মতো
আমি ম্যাডাম রে কইলাম কানে কানে কই?
কও
ক্লাসে তখন পুরা নিরবতা।আমি কইলাম ম্যাডাম আমি নিজে নিজে শুচু করতে পারিনা।আফনে করাইয়া দিবেন ?:P
শুইনা ম্যাডাম কয় বাবা তুমি বাসায় চলে যাও আজ তোমার ছুটি।
আর বন্দুরা জিগায় কিরে ম্যাডাম রে কি কইছস ? এমন রাগ উঠছিলো মনে চাইছিলো শালার বেন্চের উপর কামডা সাইরা দেই।
এরপর আমি নগদে বই থুইয়া হাটা দিলাম।
ম্যাডাম কয় বাবা বই লইয়া যাও।
আমি কই পরে নিমুনে।
আর ঐদিকে মাইয়াগো হাসি দেখে কে? আমি রাস্তায় নামতেই দেখি আমার পিছনে এক বন্ধু বই লইয়া দউরাইয়া আইতাছে।আমি কই কিরে তুই ?
হে কয় দোস্ত আমি বুঝছি তোর হা..ধরছে ।তাইনা ? কইয়া ৩২ টা দাত কেলাইয়া দিলো।কইলাম শালা চুপ যা।বাসার নিচে আইতেই এলাকার বিশিষ্ট সুন্দরী কলি আপা কয় কিরে তুই স্কুলে যাস নাই?
আমি কইতে না কইতেই আমার ঐ বন্ধু কয় আপু ওর হা..ধরছে তো তাই ম্যাডাম ছুটি দিয়া দিছে।
আমার মান ,মর্যাদা, আভিজাত্যের পুরা খতনা কইরা দিলো।আমি শরমে দিলাম দৈাড়।আমার বাসা ছিলো ৩ তালায়।আপুর বাসা ছিলো নিচ তালায়।আপু কয় আমাদের বাসায় আয়।মনে মনে আমি কই খাওনের লাইগা জীবনে ১ দিন দাওয়াত দিলানা না আর হাগনের দাওয়াত দিতে আইছো। X(যেইনা বাসার দরজা খুল্লাম প্যান্ট খুইলা বইয়া পরলাম ড্রইং রুমে।দিলাম দরজা লাগাইয়া।বাইরে বন্ধু তখনো স্ট্যান্ড বাই।কয় দোস্ত দরজা খোল বইগুলা দেই।আমি কই বাইরে রাইখা ভাগ।
আমি কাম সাইরা দাত কেলাইয়া যাইয়া আম্মারে ডাইকা তুললাম ঘুম থাইকা।কইলাম আম্মা একটু দেইখা যাও।আম্মা আইয়া দেইখা তো পুরাই তব্দা খাইয়া গেলো।আমি তো মনে মনে কই আজকে আমি সানডে মানডে ক্লোজ শিউর।খালি কইলাম আম্মা সামলাইতে পারি নাই।
আম্মা আমার দিকে তাকাইয়া হাইসা কইলো থাক বাবা আমি পরিষ্কার করতেছি।আমারে কিছুই কইলো না।

(পরের দিন থেকে ষ্কুল এ আমার নাম হয়ে গেছিলো হাগরা না...)


আজকে আমি বিদেশে থাকি ৪ বছর।ঐদিনের কথা মনে পরলেই মনে হয় কতো না কষ্ট দিছি আম্মুকে।কোনদিন তোমার কষ্টগুলো বুঝতে দাওনি।আম্মু ভালবাসি তোমায়।দোয়া করো যেন সারাজীবন যেন তোমার পাশে থাকতে পারি।





প্রথম পর্ব পড়তে চাইলে ....

এইখানে ক্লিক করুন













সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:১৪
৩৮টি মন্তব্য ৩৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জুমার নামাজে এক অভূতপূর্ব ঘটনা

লিখেছেন সাব্বির আহমেদ সাকিল, ১০ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০



মসজিদের ভেতর জায়গা সংকুলান না হওয়ায় বাহিরে বিছিয়ে দেয়া চটে বসে আছি । রোদের প্রখরতা বেশ কড়া । গা ঘেমে ভিজে ওঠার অবস্থা । মুয়াজ্জিন ইকামাত দিলেন, নামাজ শুরু... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। হরিন কিনবেন ??

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫৯



শখ করে বন্য প্রাণী পুষতে পছন্দ করেন অনেকেই। সেসকল পশু-পাখি প্রেমী সৌখিন মানুষদের শখ পূরণে বিশেষ আরো এক নতুন সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। এবার মাত্র ৫০ হাজার টাকাতেই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঠিক কোন বিষয়টা মৌলবাদী পুরুষরা শান্তি মত মানতে পারে???"

লিখেছেন লেখার খাতা, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৭


ছবি - গুগল।


ফেসবুক আর ইনস্টাগ্রাম এখন আর শুধু সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম নয়, রোজগার এর একটি চমৎকার প্ল্যাটফর্মও। একটু স্মার্ট এবং ব্রেন থাকলে ফেসবুক/ইনস্টাগ্রাম থেকে রোজগার করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধখানা ভ্রমন গল্প!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১০ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:৩৯


২০০২ সাল বান্দারবানের রিগ্রিখ্যাং-এর এই রিসোর্ট আজ সকালেই আমরা আবিস্কার করলাম! পাহাড়ের এত উপরে এই মোড়টাতে একেবারে প্রকৃতির মাঝে এমন একটা রিসোর্ট থাকতে পারে তা আমরা সপ্নেও কল্পনা করিনি।... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৫

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না
অহনা বলেছিল, আমি জানি আমি তোমাকে পেয়েছি সবখানি
আমি তাই নিশ্চিন্তে হারিয়ে যাই যখন যেখানে খুশি

অহনা বলেছিল, যতটা উদাসীন আমাকে দেখো, তার চেয়ে
বহুগুণ উদাসীন আমি
তোমাকে পাওয়ার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

×