আল্লামা শফি হুজুর, হেফাজতে ইসলামের নেতা। তার একটি এক্সক্লুসিভ ভিডিও পাওয়া যাচ্ছে ইউটিউবে। আগ্রহীরা দেখতে পারেন।
অংশ বিশেষ (ফেসবুকে আমিনুল হক পলাশের স্ট্যাটাস হতে কপিকৃত)
“ আপনারা মহিলারা মার্কেট করতে যাবেন না। স্বামী আছে সন্তান আছেতাদের যাইতে বলবেন। আপনি কেন যাবেন? আপনি স্বামীর ঘরের মধ্যে থাইকা উনার আসবাব পত্র এগুলার হেফাজত করবেন। ছেলে সন্তান লালন পালন করবেন। এগুলা আপনার কাজ। আপনি বাইরে কেন যাবেন?
আপনার মেয়েকে কেন দিচ্ছেন গার্মেন্টসে কাজ করার জন্য? চাকরি তো অনেক করতেসেন। আপনি নিজে করতেসেন, আপনার বউ করতেসে,মেয়েরা করতেসে। কিন্তু কুলাইতে তো পারতেসেন না। খালি অভাব আর অভাব। আগের যুগে রোজগার করত একজন, স্বামী। সবাই মিইলা খাইত। এখন বরকত নাই। সবাই মিইলা এতো টাকা কামাইয়াও তো কুলাইতে পারতেসেন না। গার্মেন্টসে কেন দিচ্ছেন আপনার মেয়েকে? সকাল ৭/৮ টায় যায়, রাত ১০/১২ টায়ও আসেনা। কোন পুরুষের সাথে ঘোরাফেরা করে তুমি তো জান না। কতজনের সাথে মত্তলা হচ্ছে আপনার মেয়ে তা তো জানেন না। জেনা কইরা টাকা কামাই করতেসে, বরকত থাকবে কেমনে?
আপনারা মেয়েদের স্কুল, কলেজ, ভার্সিটিতে লেখাপড়া করাইতেসেন। কেন করাইতেসেন? তাদের ক্লাস ফোর ফাইভ পর্যন্ত পড়াইবেন যাতে বিবাহ শাদী দিলে স্বামীর টাকা পয়সার হিসাব রাখতে পারে। বেশি বেশি আপনার মেয়েকে স্কুল কলেজ ভার্সিটিতে পড়াইতেসেন,লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করতেসেন। কিছুদিন পর আপনার মেয়ে, স্বামী একটা নিজে নিজে জোগাড় কইরা লাভ ম্যারেজ কোর্ট ম্যারেজ কইরা চইলা যাবে। আপনার কথা স্মরণ করবে না। মহিলাদের ক্লাসের সামনে বসানো হয়। পুরুষরা কি লেখাপড়া করবে? মেয়ে মানুষ হচ্ছে তেঁতুলের মত। ছোট্ট একটা ছেলে তেতুল খাইতেসে, তা দেখলে আপনার মুখ দিয়া লালা ঝরবে। তেতুল গাছের নিচ দিয়া আপনি হাইটা যান তাইলেও আপনার লালা ঝরবে। দোকানে তেঁতুল বিক্রি হইতে দেখলেও আপনার লালা ঝরবে। ঠিক তেমনি মহিলাদের দেখলে দিলের মাঝে লালা ঝরে। বিবাহ করতে মন চায়। লাভ ম্যারেজ কোর্ট ম্যারেজ করতে মন চায়। দিনরাত মেয়েদের সাথে পড়ালেখা করতেসেন, আপনারা দিল ঠিক রাখতে পারবেন না। রাস্তাঘাটে মেয়েদের সাথে চলাফেরা করতেসেন, আপনার দিল ঠিক রাখতে পারবেন না। যতই বুজুর্গ হন আপনার মনের মাঝে কু খেয়াল আইসা যাবে। এইটা মনের জেনা, দিলের জেনা। এইটা একসময় আসল জেনায় পরিণত হবে। কেউ যদি বলে মেয়ে মানুষ দেখলে আমার দিলের মাঝে লালা ঝরে না, তাহলে বলব তোমার ধ্বজভঙ্গ রোগ আছে। তোমার পুরুষত্ব নস্ট হয়া গেসে। তাই মহিলাদের দেখলে তোমার কু ভাব আসে না। "
(এর পরের অংশ চাটগাইয়া ভাষায়। মূল অংশটি তুলে ধরা হল)
"জন্মনিয়ন্ত্রণ কেন করেন? বার্থ কন্ট্রোল কেন করেন? বার্থ কন্ট্রোল হল পুরুষদের মরদ থাইকা খাসী কইরা ফেলা। মহিলাদের জন্মদানী সেলাই কইরা দেয়া। এরই নাম বার্থ কন্ট্রোল। বার্থ কন্ট্রোল করলেও ডেথ তো কন্ট্রোল করতে পারবা না। রিজিকের মালিক হচ্ছে আল্লাহ। খাওয়াইবো তো উনি। তুমি কেন বার্থ কন্ট্রোল করবা? বড় গুনাহের কাজ এইটা। পারলে চাইরটা পর্যন্ত বিবাহ করবা। খাওয়াইবো তো আল্লাহ। বার্থ কন্ট্রোল করবা না। এইটা বড় গুনাহের কাজ।”
চুম্বক অংশ [৬ নং মন্তব্য থেকে কপিকৃত]
১- আপনি স্বামীর ঘরে থেকে আসবাবপত্র হেফাজত করবেন। বাইরে কেন যাবেন?
২- আপনার কাজ ঘরে থাকিয়া ছেলেসন্তানের দেখাশোনা করা।
৩- মার্কেটিং করতে যাবেন না। স্বামী আর ছেলেকে মার্কেটিং করতে পাঠান।
৪- আপনার মেয়েকে কেন দেন, গার্মেন্টসে চাকরি করতে?
৫- আপনার বিবি ইস্কুলে চাকুরি করে, ডাক্তারি শিকছে, গার্মেন্টসে চাকুরি করে। আগের দিনে পুরুষ চাকুরি করত, শরাফতের সাথে পরিবার পরিজন নিয়ে খাইত। আজকে সবাই মিলে রোজগার করে। বরকত নাই, বরকত নাই, বরকত নাই। বরকত কি করিয়া হবে? ফজরে সাতটা-আটটা বাজে গার্মেন্টসে যায় আপনার মেয়ে, রাতের আটটা দশটা বারোটায়ও ফিরে না। কোন পুরুষের লগে ঘুরাফিরা করতেসে তুমি ত জান না। কতো জনের মধ্যে মুত্তালা হচ্ছে আপনার মেয়ে, আপনি ত জানেন না। জেনা কইরা কইরা টাকা রোজগার করে, কি বরকত হবে?
৬- আপনার বিবি ইস্কুল কলেজ ভার্সিটি পর্যন্ত লেখাপড়া করছে। আরে, কেলাস ফোর-ফাইভ পর্যন্ত লেখাপড়া করান। বিবাহ দিলে স্বামীর টাকাপয়সার হিসাব নিকাশ কইরতে পারে মত। অতটুকু দরকার।
৭- মহিলা তেতুলের মত তেতুলের মত তেতুলের মত। ছোট্ট একটা ছেলে তেতুল খাইতেসে আপনি দেখতেসেন। আপনার মুখ দিয়া লালা বাইর হবে। সত্য না মিথ্যা বলেন ত? মার্কেটে যেদিকে তেতুউল বিক্রি করে, সেদিকে যদি আপনি যান, আপনার মুখ থেকে লালা বাইর হয়। সত্য না মিথ্যা বলেন ত? সত্য না মিথ্যা? মহিলা তার থিকাও বেশি খারাব। (বিরতি)
মহিলার দিকে দেইখলে, (বিরতি, হাতের মুঠি বুকে ঠুকতে ঠুকতে...) বুকের মধ্যে লালা বাইর হয়।
৮- যতই বুজুর্গ হোক না কেন, এই মহিলাকে দেখলে, মহিলার সাথে হেনশেক করলে, আপনার দিলের মধ্যে, কু-খেয়াল আইসা যাবে, খারাপ খেয়াল।
৯- কেউ যদি বলে, বুড়া মানুষ, হুজুর, মহিলাকে দেখলে আমার বুকের ভিতর খারাব হয় না, কু-খেয়াল আসে না, তাহলে আমি বইলব ভাই, হে বুড়া, তোমার ধ্বজভঙ্গ বিমার আছে, তোমার ফুরুষত্ব নষ্ট হইয়া গেছে।...
১০- ইস্কুলে কলেজত উলঙ্গ উলঙ্গ পড়ি পড়ি, এডল্যা প্রত্যকদিন মাইয়াফুয়া মরদফুয়া আঁরাত্তে আইয়েদ্দে (আমাদের এখানে আসছে), হুজুর ছেলে হয় না একটা তাবিজ দাও... ছেলে কেন হচ্ছে না? ছেলে হবার জিনিস বীর্য, কারণ তোরা মাইয়া-পোলা ইস্কুল কলেজে পড়ার সময় সব বীর্য নষ্ট করেছিস......
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:২৮