অপেক্ষা
অপেক্ষায় ছিলাম বুড়িগঙ্গার তীরে
লঞ্চ টার্মিনালে
মা, আমার প্রিয় জননী আসবেন বলে।
অধীর অপেক্ষা আমার সন্ধানী চোখে
যদিবা হঠাৎ আমার চোখকে ফাকি দিয়ে
মায়ের লঞ্চ এসে তীরে ভেরে।
তাইতো সতর্ক দৃষ্টি
ভাবলেশহীন ত্রস্ত ভঙ্গি।
কখন আসবে মা?
সময় কাটানোর অজুহাতে
চোখ রাখি খবরের কাগজে
তবু অমার চোখ খোজে নিবিষ্ট মনে
যদি হঠাৎ মায়ের লঞ্চ এসে তীরে ভেরে।
পল্টুনের শুরু থেকে শেষ মাথায় ভেরে
সারি সারি নৌযান
যাত্রীর আনাগোনা, হকারের চিৎকার
সব মিলিয়ে এক এলাহী কারবার।
সাঝ সকালেই দেখলাম এখানে
প্রান চাঞ্চল্য অফুরান।
কুলি মজুর খেকে শুরু করে সারেং মাষ্টার
ব্যস্ত ত্রস্ত ভঙ্গি সবার।
হঠাৎ চকিতে ঝলকানো রুপের ছটা
ক্ষনিকের ভালোলাগা অদ্ভূত শিহরন
পেছনে ফেলে উৎসুক আমি
যদি অগোচরে মায়ের লঞ্চ এসে থামে।
অবশেষে মুঠোফোন বেজে ওঠে
লঞ্চ ভিরেছে বাবা! এদিকে আয়
আমিও পৌছি ল্যান্ডিং স্টেশনে
হন্তদন্ত হয়ে মায়ের আহবানে।
আহমাদ ইউসুফ
ঢাকা, ০৫ জুলাই ২০১৩ ইং ২৩০৩ ঘঃ