somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মিষ্টির দোকান!!

০৯ ই মে, ২০১৩ রাত ২:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজ বিকেলে ফজলুল হক হলের সামনের দোকানে নাস্তা করার সময় এক ছোটভাই এসে জিজ্ঞেস করছে- ভাই, কি করি কন তো। হাতে ট্যাকা পয়সা কিছু নাই। কি যে করুম কিছুই বুইঝা পাইতেসি না। কিছু একটা কন ভাই।

আমি পড়লাম মোটামুটি ফ্যাসাদে। ছোটভাই এমনভাবে বুদ্ধির জন্য চাপাচাপি শুরু করেছে মনে হচ্ছে আমি বুদ্ধি না দিলে ব্যাটা না খায়া মরব। তাকে বললাম- শোন,এখন পড়ালেখা কর। আরো কিছুদিন যাক।মাত্র তো ফার্স্ট ইয়ারে ভর্তি হইসিস। একটু বড় হ,তখন নিজেই নিজের বুদ্ধি খুইজা পাবি।

এটা শোনার পর ওর চাপাচাপি শুরু হলো বাড়তি রকম। আমি তাকে শান্ত করার জন্য বললাম- শোন,তোর পরিচিত কোন মিষ্টির দোকান আছে?

-আছে ভাই।কিন্তু কেন?

-আরে বেটা বুদ্ধি চাইসিস তোরে বুদ্ধি দিতেসি। খালি প্রশ্ন করবি না।

-জ্বি ভাই।

-তোর পরিচিত মিষ্টির দোকান থেকে আজকেই দুই মণ(৮০কেজি) মিষ্টি কিনবি, প্রতি কেজি ১৬০টাকারগুলা কিনবি। ট্যাকা লাগলে আমারে কইশ।

-এত মিষ্টি দিয়া কি হবে ভাই?

-তুই কি বুদ্ধি শুনবি নাকি?

-জ্বি ভাই,আর কোন প্রস্ন করুম না। আপনি বলে যান।

-কালকে বিকাল পর্যন্ত সেগুলা মিষ্টির দোকানেই রাখবি। ডেলিভারি নিবি বিকালের পর। এরপর তুই সেই মিষ্টিগুলো নিয়ে চানখার পুলে বসেযাবি। প্রতিকেজি ২৫০-৩০০নিবি। যার কাছ থেকে যেমন পারিশ। খদ্দের দৌড়ের উপর তোর মিষ্টি কিনবে। যদি ২৫০টাকায়ও বেচিস তাহলেও দিন শেষে তোর হাতে ৭২০০টাকা থাকবে। একদিনের সহজ ব্যবসা। রাজি হইলে নাইমা যা।

- ভাই,বুঝলাম ১৬০টাকা দিয়া কিন্না রাইখা দিমু,কিন্তু মাইনসে ২৫০টাকা দিয়া কিনব কিয়ের লাইগা?

-আরে বেটা বলদ,কালকে বাংলাদেশে দুইটা খুশির খবর মানুষের কাছে পৌছাইতে যাইতেসে।
১) কালকে মেট্রিক পরিক্ষার ফলাফল দিবে। ২) কালকে কামারুজ্জামানের রায় দিবে। মেট্রিক পরিক্ষার রেজাল্টের দিন কখনো শুনেছিস দুপুরের পর দোকানে মিষ্টি থাকে? তার উপর তুই বিকালে মিষ্টি দিচ্ছিস। তার উপর টাটকা। ২৫০ কেন তুই ৫০০টাকা কেজি কইলেও মানুষ কিনবে। এসব উপলক্ষ প্রতিদিন আসে না। এবার তুই যা মিষ্টির অর্ডার দিয়া আয়। নইলে কিন্তু হাতের কাছ থেকে ৭২০০টাকা নগদ গেল!!

জ্বি ভাই বলে ছোট ভাইযে গেল তারে আর রাত নাগাদ দেখা পেলাম না। আল্লাহই জানে মিষ্টির ব্যাবস্থা হয়েছে কিনা! নইলে গেল কিন্তু নগদ ৭২০০টাকা! :P

সকল মেট্রিক পরিক্ষার ফলাফল প্রার্থিদের জন্য শুভ কামনা। সাথে শুভকামনা দেশবাসীর জন্য। আশাকরি দেশের আরেকটা কলংকের দাগ মুছার আনন্দ পাব।

ভাল থাকবেন সবাই!
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×