somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আসুন কেটে দেই তিতাসের সেই মরন বাধ। ফারাক্কায় যেতে না পারি, আখাউড়া তো যেতে পারবো।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১২:৫১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

ধনীর সুন্দরি রক্ষিতা হওয়ার চাইতে গরীব কৃষানি হওয়া অনেক ভাল। তিতাস নদীর অবস্থাটা দেখার পর মনে পরল কথাটা। পাকিস্তানের সাথে কেন যুদ্ধ করলাম? মেনে নিতাম তাদের সব। কি হত? আজ তাহলে এক পারমানবিক শক্তিধর দেশের অংশ হতাম। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে মর্যাদাকর (!) যুদ্ধের যোদ্ধা, সিএনএন, বিবিসির হাইলাইটেড খবরের অংশ হতে পারতাম। কিন্তু কেন হটালাম পাকিস্তানকে? সেই একই কথা। বড়লোকের রক্ষিতা হতে চাই নি। চাই নি তার লোভ লালসার কাছে নিজের সব অধিকার বিকিয়ে দিতে। তার জন্য অবশ্য মাশুলও দিতে হয়েছিল। আমার ভাইয়েরা নিশ্রংশ ভাবে মড়ল, বোনেরা ইজ্জতের সাথে সাথে নিজের জানটাও দিয়ে গেল। আর আমরা ভাইয়েরা,সন্তানেরা কি পেলাম? একটি সুন্দর বাসস্থান। যে বাসস্থানে আমার সন্মান আছে, আমার অধিকার আছে, আমার মন, আমার স্বপ্ন, আমার ইচ্ছা সবকিছুরই যেখানে আছে বিশেষ অগ্রাধিকার।

কিন্তু আজ কি হল। চারিদিকে তাকিয়ে নিজেকে সেই পাকিস্তান আমলের চাইতে ভিন্ন কিছু দেখতে পারছিনা। হুম একটু ভিন্নতা আছে। পাকি আমলে আমাদের মুখের ভাষা সরব ছিল আর এখন আমরা নিরব।বলতে গেলে আমাদের সরকার ও রাজনিতীবিদেরা নিরব। কিন্তু আর সব কিছু এক। ট্রানজিট থেকে শুরু করে সীমান্ত হত্যা, সাংস্কৃতিক আগ্রাসন থেকে শুরু করে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক আগ্রাসন সব কিছুই কি আমাদের পাকিস্তানের আচরন মনে করিয়ে দিচ্ছে না?আমরা কি দিন দিন একটি সুখি কৃষানির জীবন জীবন থেকে এখন ভারতের রক্ষিতায় পরিনত হচ্ছি না, যেখানে আমাদের নিজেদের কোন অগ্রাধিকার নেই? যেখানে ভারতের সব লোভ ও লাভ ও লালসার কাছে আমাদের নিজেদের ভাল ভন্দ, সুখ দুঃখ ভবিষ্যত সব কিছুই বিকিয়ে গেছে?

সরকার কেন নিরব? নিরবতো থাকবেই। একাত্তরে জামায়াত কেন পাকিস্থান কে সাপোর্ট করেছিল? কারন পাকিস্থানের সাথে যুদ্ধে যদি বাংলাদেশ পরাজিত হত তাহলে রক্ষিতা পুর্ব পাকিস্তানের ক্ষমতাধর পতিতার দালাল হত জামায়াত। আজ আওয়ামিলীগও সেই ভুমিকায়। কি দরকার পরেছে আওয়ামীলীগের ভারত বিরোধিতার? তাদের নেত্রী শেখ হাসিনার একটি বড় সাপোর্ট হচ্ছে ইন্ডিয়া। আর বাংলাদেশের জনগন তার কি হয়? কিছুই না, এই দেশেরই মানুষ যখন তার বাবাকে হত্যা করে তখন কেউ এর প্রতিবাদ করে নাই, রাজনীতিবিদদের ম্যাক্সিমাম হত্যাকারিদের কাছে আনুগত্য প্রকাশ করেছিল। সেই সময় তাকে আশ্রয় দিয়েছে ভারত। তার বাবা মারা যাওয়ার পর পয়ত্রিশ বছরে মাত্র ২ টার্ম তিনি ক্ষমতায়, তাহলে ওনার কি ঠেকা পরেছে ভারতের কথা বাদ দিয়ে বাংলাদেশের কথা ভাবা?আর দেশপ্রেমের কথা যা বলে তা শুধু ভোট পাওয়ার জন্য বলে।বাংলাদেশিরা ওনারে কি কোন নিশ্চয়তা দেয় আজীবন ক্ষমতার আর পাওয়ারফুল ব্যাকআপের? তার দলের সব চাটা আর তেলবাজের দল তাদের নেত্রীর পা না চাটলে ক্ষমতা সাধ পায় না। তারাই বা কেন এসবের প্রতিবাদ জানাবে? প্রতিবাদ না করার জন্যইতো আবুল রাজ্জাকের মত রাজনীতিবিদ নিরবে মরে যান আর আবুলেরা হয় মন্ত্রী।

আর বিএনপি? তারা কি পারে না সবাইকে ডাক দিয়ে খাল কাটা কর্মসুচির মত বাধ কাটা কর্মসুচি পালন করতে? করবেনা, কারন তারা পতিতার দালাল হতে না পারুক, ভারতের বিরোধিতা না করেও যদি পতিতা সাপ্লাইয়ারের মত তাদেরকে খুশি করে ক্ষমতায় যাওয়ার পথ পরিস্কার করা যায় তাতে মন্দ কি? খালেদা জিয়া তার দুই ছেলে নিয়ে চিন্তিত। বাংলাদেশের এই বজ্জাত জনগনের সামনেই তার দুই ছেলেকে নির্যাতন করা হয়েছে। তার কি প্রয়োজন বজ্জাত বাংগালির কথা ভাবা? বজ্জাত বাঙ্গালি কি তাকে নেক্সট ক্ষমতায় যাওয়ার নিশ্চয়তা দেয়? একই কথা তার দলের পা চাটা রাজনীতিবিদদের। তাদের কি প্রয়োজন নেত্রীর কথার বাইরে যাওয়া? যদি ভবিষ্যত মন্ত্রীত্ব নস্ট হয়ে যায়?

আর এই সব রাজনীতিবিদদের নস্ট লোভের কারনের আমার মা আমার দেশকে রক্ষিতার মতন আচরন সহ্য করতে হচ্ছে। ভারত থেকে শুরু করে ক্ষমতাধর যে কোন দেশই আমার মাকে অপমান করতে দ্বীধা করেনা। তারমধ্যে এখন সবচেয়ে আগ্রাসি ভারত। ১৯৭১ সালে লোভি পাকিস্তানিদের কাছ থেকে মায়ের ইজ্জত বাচিয়েছিলাম। রাজনীতিবিদেরা যতই স্বাধিনতার চেতনার কথা বলুক আর ব্যবসা করুক যুদ্ধ কিন্তু করেছিলাম এই আমরাই।বাংলা মায়ের দামাল ছেলেরাই। আজ ২০১১ সালের শেষে ২০১২ সালের নতুন যুদ্ধ এই আমাদেরই করতে হবে, কোন নস্ট রাজনীতিবদের আমাদের মায়ের ইজ্জত নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে দেয়া যাবে না।১৯৭১ সালের জামাত, ২০১১ সালের আওয়ামিলীগ বিএনপি সব একই সাপ, সবার দাতেই বিষ। আমাদের উচিত এখনি সোচ্চার হওয়া। গরিব হই, সাধারন জীবন যাপন করি কিন্তু একজন গরীব কৃষানির মত স্বাধিন, সন্মানের ও অধিকারপুর্ন জীবন কাটাই, কোন ধণি বদমাসের লোভ লালসার শিকার কোন রক্ষিতা হয়ে নয়। আসুন তিতাসকে বাচানোর মাধ্যমে শুরু করি আরেক ৭১।চলুন সবাই মিলে কেটে দেই সেই মরন বাধ। ফারাক্কায় যেতে না পারি, টিপাইমুখ ড্যাম নির্মানে বাধা না দিতে পারি, আখাউড়া তো যেতে পারবো।



ছবিটা ব্লগার সাধারন মানুষ ০০৭ এর কাছ থেকে পাওয়া


সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:০৩
৩৫টি মন্তব্য ৩৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাইনারি চিন্তাভাবনা থেকে মুক্তি: পূর্ণাঙ্গ তুলনার ধারণা এবং এর গুরুত্ব

লিখেছেন মি. বিকেল, ১১ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:৩০



সাধারণত নির্দিষ্ট কোন বস্তু যা শুধুমাত্র পৃথিবীতে একটি বিদ্যমান তার তুলনা কারো সাথে করা যায় না। সেটিকে তুলনা করে বলা যায় না যে, এটা খারাপ বা ভালো। তুলনা তখন আসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্যাড গাই গুড গাই

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

নেগোশিয়েশনে একটা কৌশল আছে৷ ব্যাড গাই, গুড গাই৷ বিষয়টা কী বিস্তারিত বুঝিয়ে বলছি৷ ধরুন, কোন একজন আসামীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে৷ পারিপার্শ্বিক অবস্থায় বুঝা যায় তার কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

টান

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২২


কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর
বিচ্যুতি ঠেকা‌তে ছু‌টির পাহাড়
দিগন্ত অদূর, ছ‌বি আঁকা মেঘ
হঠাৎ মৃদু হাওয়া বা‌ড়ে গ‌তি‌বেগ
ভাবনা‌দের ঘুরপাক শূণ্যতা তোমার..
কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর।
:(
হাঁটুজ‌লে ঢেউ এ‌সে ভাসাইল বুক
সদ্যযাত্রা দম্প‌তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরী

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৯

স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরীঃ


১। নিজের সিভি নিজে লেখা শিখবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টোমাইজ করার অভ্যাস থাকতে হবে। কম্পিউটারের দোকান থেকে সিভি বানাবেন না। তবে চাইলে, প্রফেশনাল সিভি মেকারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিয়াল ফিলিস্তিনীরা লেজ গুটিয়ে রাফা থেকে পালাচ্ছে কেন?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১১ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০



যখন সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনীদের পক্ষে ফেটে পড়েছে, যখন জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে সাধারণ সদস্য করার জন্য ভোট নিয়েছে, যখন আমেরিকা বলছে যে, ইসরায়েল সাধারণ ফিলিস্তিনীদের হত্যা করার জন্য আমেরিকান-যুদ্ধাস্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

×