মধুর সমাপ্তি!! (ফার্ষ্ট ডেট উইথ এ হিসু কাহিনী পার্ট ৫) (শেষ পর্ব)
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
ফার্ষ্ট ডেট উইথ এ হিসু কাহিনী! । হিসু কাহিনী পার্ট ২ ।হিসু কাহিনী পার্ট ৩ । ফার্ষ্ট ডেট উইথ হিসু কাহিনী পার্ট - ৪
মধু! মধু!
সবকিছুই তো ভালোভাবে শেষ হলো। আমার জানের বড় ভাই আমাকে হেনস্তা করলো সাথে আমিও তাকে এক হাত দেখে নিলাম। মনে তো চরম শান্তি। এই শান্তির সময়ে একদিন জানকে নিয়ে টিএসসি তে আসলাম কিছু সময় কাটানোর জন্য। ভালোই কাটছিল সময়গুলা। সারাদিন ঘুরে যখন ওকে বিকেলে বাসায় দিয়ে আসতে যাব ঠিক তখনই ওই নির্দয় লোকটি (বড় ভাই)র সাথে দেখা। আল্লাহ মনে হয় আমার দিকে মুখ তুলে তাকিয়েছেন তবে সেটা চোখ বুঝে! দেখেই কেন জানি মনে একটা ভয় চলে এলো। ভাবলাম আমার কথা মনে হয় সব জেনে ফেলেছেন। উনিও রাগে চোখ লাল করে আছেন। আমার দিকেই এগিয়ে আসছেন। দেখেই আল্লাহর নাম নিয়ে দিলাম দৌড়। বিধিবাম। পিছন দেখলাম যে উনিও আমার পিছনে দৌড় দিচ্ছেন। সাথে আমার জানও দৌরাচ্ছে। আমার ভয় বিশ্বাসে পরিণত হলো। আজ আমার রেহাই নাই। দৌড়াতে দৌড়াতে বকশীবাজারের মোড়ে খাইলাম উষ্টা। উনিও বীর দর্পে আমার দিকে ডিপজলের মতো এগিয়ে এসে বললেন।
- কইছিলাম না তুই আমার কাছ থেইকা পালাইবার পারবি না? তুই কি আবুল যে দৌড় দিয়া সিট জয় কইরা ফালাবি? তোর কি মনে হয় আমি কিছু বুঝি নাই? আমি কি ফিডার খাই? আমি এখন টিএসসির পাকোড়া খাই! আমারে এতো সহজে হাটাইবার পারবি না। খেক! খেক! খেক! তুই আমারে চড় খাওয়াইচস? আইজকা যে তোরে কি খাওয়ামু কল্পনাও করবার পারবি না।
এই কথা বলেই উনি কান ধরে আমাকে তুললেন। তুলেই গালে একটা চুম্মা দিলেন। এহেম কাজে আমি সহ আমার জান হতবাক। আমার তখন মনে একটা চিন্তা ‘উনি কি কোন কিছু চেঞ্জ অপারেশন করিয়েছেন নাকি চড় খাবার পর নারীজাতিকে ভালোবাসতে ভুলে গেছেন।’ আমার এই ভাবনার মধ্যে তিনি হঠাৎ করে বাধা দিলেন।
- শিহাব! তোমারে যে কি বলে ধইন্যা দিমু বুঝবার পারতেছি না। তোমার জন্য আজ আমি ভালোবাসার মানে বুঝলাম। সেদিন আমি চড় না খাইলে বুঝতামই না যে আমার জান আমাকে কত্ত ভালোবাসত। আইজকা থেইকা তুমি চুটাইয়া পেরেম কর। আমি সহ তোমারে কেউ বাধা দিব না। আমার বইনের আমি ছাড়া কেউ নাই। তুমি ওরে দেইখা রাইখ। আর তোমার ম্যাডামরে বইল যে আমি তাকে অন্নেক ভালোবাসি।
আল্লাহ, আমি আজকে ঘুম থেইকা উইঠা কার মুখ দেখছিলাম। এতো খুশী আমি কই রাখি। ভাইয়ারে থাঙ্কু বলে জানের দিকে তাকাইলাম। আজিব, তার মুখে কোন হাসি নাই। মুখ দেইখা মনে হইতেছে রুটি গরম করার তাওয়া দিয়ে কেউ ওরে বাড়ি মারছে!
- জান, তুমি খুশী না? আমাদের সব বাধা দূর হয়ে গেছে। এখন শুধু প্রেম আর প্রেম।
- হে হে হে। (এমন কষ্ট কইরা হাসতাছে যেন কেউ ওর গালের দুই সাইড টাইনা ধইরা রাখছে) আমি খুশী তো জান।
আমিও ভাবলাম যে কিছু একটা হইছে। কিন্তু কি হইছে এইগুলা নিয়া আর মাথা ঘামাইলাম না। ভাবলাম যে কোন কারনে হয়ত মন খারাপ। এইভাবে বুড়িগঙ্গার কালা পানির মত এক সপ্তাহ, দুই সপ্তাহ করে আড়াই বছর পার করলাম। তারপর বিয়ে নামক একটা পবিত্র বন্ধনে আবদ্ব হলাম। আমার পরিবার অবশ্য রাজী ছিল। কারন মেয়ে তো গুনবতী। মানা করার তো কোন কারনই নাই।
ভাবি নাই প্রেম করে বিয়ে করবো। যে প্রেমের শুরুতে এত খারাপ অভিজ্ঞতা থাকতে পারে অই প্রেমের শেষ যে এতো ভালো হবে ভাবি নাই। কিন্তু কেমনে জানি হয়ে গেল। আশা করি বিয়ে পরবর্তী জীবনে বিয়ে পূর্ববর্তী কোন কাহিনী ঘটবে না। কিন্তু একটা জিনিস আমার মনে এখনো বাড়ি দিতেছে। “ওইদিন সে হাসে নাই কেন? তাহলে কি...............!!”
--------------------------------------------------------------------
এটা একটা ফিকশন। ভালো না লাগলে প্লীজ বকা দিবেন না।
(অবশেষে শেষ করলাম। জানিনা হিসু কাহিনীর পুরা সফর কেমন ছিল। তবে ভালো লাগছে এই ভেবে যে অলস মস্তিষ্ক থেকে একটা কাহিনীর উদ্ভব হয়েছিল সেটাকে একটা প্রান্তে এনে দাড় করাতে পারলাম। আমি কখনো চাই না কারো জীবনে এইরকম অবস্থা আসুক। আমি চাই সবাই যাতে নিজের ভালোবাসাকে জয় করতে পারে। তবে এইটাও ঠিক যে বাধা বিপত্তি না থাকলে প্রেমে টুইষ্ট আসে না!)
পেক পেক পেক
সবাই ভালো থাকবেন
১০টি মন্তব্য ১০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা
সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন
...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না
...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না
ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন
লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?
মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়
প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন
চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)
সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন