somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

সাকিন উল আলম ইভান
মানুষ হিসেবে আমার নিজস্ব মতামত আমি সবার হতে নিকৃষ্ট ...

ব্লগে আমার বর্ষপূর্তি (লেইট) ব্লগে আসার পিছনের কাহিনী এবং অতীত কিছু স্মৃতিচারণ

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এই পোষ্ট অবতারণা করার কারণ হল আজ থেকে এক বছর ১ মাস দুই দিন আগে আমি প্রথম সামুতে লগ ইন করেছিলাম । তাই লেইট বর্ষপূর্তি পোষ্ট ।



তাহলে চলে যাই সেই দিনগুলোয় ..........

১.
সামনে সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা তাই ক্যাম্পাসে যা্ওয়া হবে না। বাসায় বসে বসে "পড়ার নাম ফাকি" এই বানীটা যে গুনী ব্যক্তি অবিষ্কার করেছে তিনি কেনো যে নোবেল পান নি ,কিংবা পেলেই যে কি হত বা হয়ে যেত তাই আকাশ পাতাল ভাবছিলাম ,যাই হোক অকম্মার ধাড়ি একটা ছেলে বাড়িতে বসে বসে পায়ের উপর উপর পা তুলে খাবে এটা কি বঙ্গ দেশের কোনো মা কি সহ্য করতে পারেন ? মনে হয় না ,তাই সোজা শমন ।
যা তোর ছোট ভাই কে স্কুল থেকে নিয়ে আয় । এহেন দায়িত্ব তো আর হেলায় ফেলা যায় না । তাই মুখটাকে পেঁচার মত করে বাসা থেকে রাস্তায় এই মধ্য দুপুরে বের হতেই হল । কি আর করা, এর মাঝে ছোটো ভাই এর স্কুল মোটামোটি আধা ঘন্টার পথ …..


২.
বিরক্তিতে মেজাজ সপ্তমে চড়ে আছে । একে তো সময় কম তার উপর এই দুপুর বেলার রোদে কড়া জ্যাম এ আটকে পড়ে আছি বলা যায় মোটামোটি এক যাচ্ছেতাই অবস্থা । কি আর করা তাই পকেট থেকে আদরের নোকিয়া ২৭০০ তে অপেরা মিনি তে বসলাম । তখন কার সময় একটা পেইজ খুব ই বিখ্যাত ছিল “চৌধুরি সাহেব টাকা দিয়ে ভালোবাসা কিনা যায় না”সেই পেইজ এ একটা মজার স্ট্যাটাস দেখলাম ।দেখেই মজা পেয়ে গেলাম লেগে গেলাম কমেন্ট এ ।কমেন্ট করতে করতে পেইজ এর এডমিন জিকো ভাই আর রাহাত ভাই এর পরিচয় হল ।তখন প্রায় ই সেই পেইজ এর স্ট্যাটাস এর জন্য বসে থাকা হত এখন যেমন পোলাপান :P সব ১৮+ জোক এ লাইক দেবার জন্য বসে থাকে ।আর তখন সেসব স্ট্যাটাস এর জন্য বসে থাকতাম ,যখন অনলাইনে থাকা হত । এমন ও হয়েছে যে সেই পেইজ টা একবার ছাকিভ খানের হার্ডকোর ফ্যান এর কারণে ব্যান করে দেয় ফেসবুক কতৃপক্ক । মন টা অনেক খারাপ হয়ে গিয়েছিল । ব্যান করার এক সপ্তাহের মাঝেই আবার চালু করা হয় এবং সেটা নাকি ছিল ৩য় বার সেটাই মনে হয় প্রথম লাইকার ছিলাম আমি । :D :D

৩.
একদিন জিকো ভাইয়ার পার্সোনাল আই ডির নোট গুলো পড়া হচ্ছিল ,খুজতে খুজতে পেয়ে গেলাম তার বিখ্যাত “খলিল সিরিজ”সারাদিন এগুলো পড়ে একটানা হেসেছিলাম ।সেই সাথে দেখি আবার ব্লগের লিঙ্ক ও শেয়ার করা । চলে এলাম ব্লগে ।

এসে দেখি আরো এলাহী কারবার !! হঠাৎ দেখলে যা হয় আর কি । তখন কার সময় বিখ্যাত সব আড্ডাবাদ কি না দি ,গুরুজী ,পাকা ভাই ,রাজসোহান ভাই , মন্সুর জেডা তাদের আড্ডা পোষ্ট গুলো দেখতাম আর কমেন্ট পড়ে খালি মজা পেয়ে হাসতাম । আফসোস সেই আড্ডার দিন এখন আর নেই । একদিন কি মনে করে নিক টা খুলেই ফেললাম । খুলেই বসে রইলাম তবে বেশি ক্ষণ অপেক্ষা করতে হল না দেখলাম ২ দিনের মাঝেই আমার ব্লগে কে যেন কমেন্ট করেছে। আমার খুশি দেখে কে লাফাতে লাফাতে আম্মুকে গিয়ে বললাম আমার লেখায় কমেন্ট করেছে :D:D
লেখাটা আর কিছুই না শুধুই সামুর কী বোর্ড দিয়ে অনেক কষ্টে লেখা “আমার প্রথম লেখা”
তারপর একদিন ব্লগার আলিম আল রাজির সাথে তার ব্লগ থেকে ফেসবুকের লিঙ্ক এ গিয়ে কথা হল ,এখন ও অনেকে আমি সিলেটের ব্লগার বলে মনে করেন যে আমি রাজি থেকে ব্লগের লিঙ্ক পেয়েছি ,আসলে তা না ,তার ব্লগ থেকেই তার সাথে যোগাযোগ ।
তবে ব্লগের হালচাল মোটামোটী তার কাছ থেকেই জানা। আমার এর পরের লেখা গুলো বিশেষ করে হা টি হা টি পা পা সিরিজ টা র অনুপ্রেরণা তার থেকেই ……..


৪.
যা পেলাম –

পাওয়া না পাওয়া হিসাবের খাতা না হয় আজ না মিলালাম
তবে একটা ঘটনা শেয়ার না করে পারছি না ।
এই কোরবানি ঈদে ছুটি কাটাতে কুমিল্লা গিয়েছিলাম ,বেশিদিন ছিলাম না মাত্র ৫/৬ হবে যাওয়া আসা মিলিয়ে ,ঈদের আগের দিন এক জন ফোন করে বলল ভাইয়া আপনি কোথায় ?
আমি বললাম আমি তো এখন কুমিল্লায় ।তোমার কি অবস্থা কেমন আছ ?
কুশলাদি জিজ্ঞেস করার পর ফোন করার উদ্দেশ্য জানা গেল । যিনি ফোন করেছেন তার বাড়ি লাকসাম তিনি তার বাড়িতে আমাকে দাওয়াত করেছেন , খুব অনুনয় করেছিলেন যাবার জন্য ,আমি বলেছিলাম যে আমি চেষ্টা করবো আমার সর্বোচ্চ , রাখতে পারিনি । তবে ভবিষ্যতে একদিন উনার দাওয়াত রক্ষা করা হবে।
এটা হল ভার্চুয়াল লাইফ ,এখানে সবাই একটা পরিবার কারো কিছু হলেও আমরা কাদতেও যেমন পারি তেমন ভালো কিছু হলেও গর্ব করে বলতেও পারি ।আনন্দে ভেসে যাই
এখান থেকে যেমন পেয়েছি বড় ভাই এর স্নেহ ,শাসন সেই সাথে আদর ও ।তাই তো এক্সাম এর আগের রাতেও একবার অন্তত ঢু না মারলে হয় না । এটাকে আমি এডিকশন বলবো না বলবো টান
বেশি ইমোশনাল হয়ে যাচ্ছে । হয়তো অনেক কিছুই লেখার কথা ছিল লেখা ও হল না । কেন হল না জানি না । সবার ই হয়তো এমন কোন মজার কোন ঘটনা আছে ।তাই ছোটো ছোটো মজার ঘটনা সবসময়ই আনন্দের ।


সর্বশেষ এডিট : ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১২ রাত ১২:২৯
৬৫টি মন্তব্য ৬১টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার মায়ের চৌহদ্দি

লিখেছেন শাওন আহমাদ, ১২ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৫



আমার মা ভীষণ রকমের বকবকিয়ে ছিলেন। কারণে-অকারণে অনেক কথা বলতেন। যেন মন খুলে কথা বলতে পারলেই তিনি প্রাণে বাঁচতেন। অবশ্য কথা বলার জন্য যুতসই কারণও ছিল ঢের। কে খায়নি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছেলেবেলার অকৃত্রিম বন্ধু

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৯

খুব ছোটবেলার এক বন্ধুর গল্প বলি আজ। শৈশবে তার সাথে আছে দুর্দান্ত সব স্মৃতি। বন্ধু খুবই ডানপিটে ধরনের ছিল। মফস্বল শহরে থাকতো। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই শহরে ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণা!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১২ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:১৭



নীচে, আমাদের দেশ ও জাতি সম্পর্কে আমাদের ১ জন ব্যুরোক্রেটের ধারণাকে ( পেশগত দক্ষতা ও আভিজ্ঞতার সারমর্ম ) আমি হুবহু তুলে দিচ্ছি। পড়ে ইহার উপর মন্তব্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

মোজো ইদানীং কম পাওয়া যাচ্ছে কেন?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৭


শুনলাম বাজারে নাকি বয়কটিদের প্রিয় মোজোর সাপ্লাই কমে গেছে! কিন্তু কেন? যে হারে আল্লামা পিনাকী ভাট ভাঁওতাবাজিদেরকে টাকা দিয়ে 'কোকের বিকল্প'-এর নামে 'অখাদ্য' খাওয়ানো হচ্ছিলো, আর কোককেই বয়কটের ডাক... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৮

আজ (১০ মে ২০২৪) রাত দুইটা দশ মিনিটে নিউ ইয়র্কের পথে আমাদের যাত্রা শুরু হবার কথা। এর আগেও পশ্চিমের দেশ আমেরিকা ও কানাডায় গিয়েছি, কিন্তু সে দু’বারে গিয়েছিলাম যথারীতি পশ্চিমের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×