somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

যৌন কর্মীর জীবন নিয়ে বাচঁতে হচ্ছে এক শহীদ মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী এবং কন্যাকে

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১১ দুপুর ২:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আসুন তো একটু ভাবি, আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা কি তাদের ন্যায্য অধিকারটুকু, যা জবার মৌলিক অধিকার হিসাবে তাদের পাওনা ছিল, তাও শোধ করেছে দেশ। আমরা কি স্বাধীনতার ৪০ বৎসরে ও মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারগুলো কিভাবে বেচে আছে, তাদের প্রকৃত অবস্থা কি? খোঁজ রাখে কেউ?
আসুন এই খবর টা একটু দেখি, আপনার কি কষ্ট হচ্ছে না, মনে হচ্ছে না আমাদেরও দায় ছিল?
আমরা কি শোধ করতে পেরেছি স্বাধীনতার স্বাধ এনে দিল , তাদের স্বজনরা কেন সমাজের নিকৃষ্টতম কাজে নিজেদের খাবার সংগহ করবে।
ধিক আমাদের বিবেককে, আমাদের রাজনীতিবীদদের। আসুন একটু ভাবি কিভাবে দায় কিছুটা হলেও কমাতে পারি কিভাবে।

Click This Link
মূল খবর ও সুত্র ভেতরে প্রবেশ করলে জানতে পারবেন ।
আসুন এগিয়ে একটু দেখি কি আছে ভিতরে খবরে।
প্রিয় পাঠক প্রখ্যাত অনুসন্ধানী সাংবাদিক লায়েকুজ্জামান অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন স্টেটনিউজ পরিবারের সঙ্গে। আপনাদের জন্য এবার তিনি লিখবেন নিয়মিত। যৌন পল্লীর অন্ধকার জগতের জীবন নিয়ে তার লেখা ধারাবাহিক প্রতিবেদন প্রকাশ করা হলো।*****

না, কোন সিনেমার গল্প নয়। এক নীরেট বাস্তব জীবন কাহিনী। ফরিদপুর শহরের রথখোলা যৌনপল্লীতে এখন তাদের তিন প্রজন্মের বসবাস। যৌন কর্মী হয়ে বাচঁতে হলো এক শহীদ মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রীকে। এখনো যৌনকর্মী হয়ে জীবন চালাতে হচ্ছে ওই শহীদ মুক্তিযোদ্ধার কন্যা এবং নাতনিকে। দু’মুঠো ভাতের জন্য দ্বারে দ্বারে ঘুরতে হচ্ছে ওই শহীদ মুক্তিযোদ্ধার পুত্র নুর আলীকে।
১৯৭১ সাল। পিরোজপুর জেলার বাদুরা গ্রামের আমজাদ হোসেন চাকুরী করেন পুলিশ বিভাগে। পোষ্টিং খুলনাতে। খুলনার বাসায় তার স্ত্রী দু’কন্যা এবং এক পুত্র। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে আমজাদ হোসেন তার চাকুরীস্থল খুলনা থেকেই যোগদেন যুদ্ধে। যুদ্বের সময় ছিলেন সুন্দরবন এলাকায়। পুরো যুদ্বের সময় বাসায় ফেরা হয়নি তার। বাসায় যোগাযোগের চেয়ে মুক্তযুদ্ধকে বড় করে দেখেছেন তিনি। দরিদ্র পরিবারের সন্তান আমজাদ হোসেন তার সহযোদ্ধাদের বলেছিলেন দেশ স্বাধীন হবার পর বাসায় ফিরবেন,বিজয়ের বেশে। বিজয় এসেছে কিন্ত বাড়ি ফেরা হয়নি আমজাদ হোসেনের। বিজয়ের একেবারে দ্বার প্রান্তে এসে নভেম্বর মাসে পাকিস্তানী সেনাদের সাথে সম্মুখ সমরে শহীদ হন ওই অকুতোভয় বীর সেনানী। সে সময়ে বাগেরহাট এবং পিরোজপুর জেলাকে মুক্ত করার প্রাণপন লড়াই চলছিলো। সম্মুখ যুদ্বে পরাজিত খান সেনারা পিছু হটছিলো লঞ্চ যোগে। খান সেনারা যাতে পালিয়ে যেতে না পারে সেজন্য কমান্ডারের নির্দেশে ছোট নৌকায় সাতজন সঙ্গীকে নিয়ে খান সেনাদের গতিরোধ করে আমজাদ হোসেন। প্রায় দু’ঘন্টার মরনপন লড়াই শেষে গুলি ফুরিয়ে গেলে সাথের মুক্তিযোদ্ধাদের পিছু হটার সুযোগ করে দিয়ে একাই লড়াই চালিয়ে যান তিনি। শেষ গুলিটি ও শেষ হবার পর খান সেনাদের একটি বুলেটের আঘাতে বালেশ্বর নদীতে মাথায় গুলিবিদ্ব হয়ে শহীদ হন ও বীর মুক্তিযোদ্বা। ওই শহীদ মুক্তিযোদ্বার লাশটি ওখুঁজে পায়নি তার সহযোদ্বারা। দেশমাতৃকার টানে উৎসর্গ করা ওই শহীদের মরদেহ বঙ্গোপসাগরের লোনা জলে লীন হয়ে এনে দিয়েছে আমাদের স্বাধীন মাতৃভুমি আমাদের লালসবুজের জাতীয় পতাকা আর সেই স্বাধীন দেশে কতজনে কতকি হয়েছে সেটা সকলের জানা কিন্ত কি হয়েছে ওই শহীদ মুক্তিযোদ্বার সন্তানদের। তাদের ঠিকানা হয়েছে যৌন পল্লীতে। দু’মঠো ভাতের জন্য তাদের বাঁচতে হয়েছে পতিতার জীবন নিয়ে। ‘৭১ থেকে ২০১১ সাল মাঝে চল্লিশ বছর। ওই শহীদ মুক্তযোদ্ধার পরিবারের জীবন কাটছে যৌনপল্লীর অন্ধকার গলিতে। পিরোজপুর শহরে প্রেসক্লাবের সামনে টাঙ্গানো খোদাই করা স্মৃতি ফলকের কালো হরফে বড় বড় করে লেখা ওই শহীদ মুক্তিযোদ্ধার নাম। তার নামে পিরোজপুর শহরে আছে একটি সড়ক ও।
ফরিদপুর শহরের রথখোলা যৌনপল্লীতে বসবাসকারী ওই শহীদ মুক্তিযোদ্ধার স্ত্রী কন্যা এবং পুত্রের সাথে কথা হয় প্রতিবেদকের। প্রতিবেদকের কাছে তারা বর্ননা করেন তাদের দুর্বিসহ জীবনের কাহিনী। শহীদ মুক্তিযোদ্বার স্ত্রী আছিয়া বেগম বলেন যুদ্ধ পরবর্তী ভয়াবহ সে দিন গুলোর কথা। তিনি স্বামীর শহীদ হওয়ার খবর পান যুদ্বের প্রায় দেড় মাস পরে। দুই কন্যা এবং এক নাবালক পুত্র নিয়ে তখন তার চোখেমুখে অন্ধকার। খুলনাতে তাদের আহারের কোন সংস্থান নেই। সন্তানদের নিয়ে আছিয়া বেগম ফিরে আসেন পিরোজপুরের বাদুরা গ্রামে। সেখানে সংসারে ঠাইঁ হয় না তাদের। বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়া হয় আছিয়া বেগম এবং সন্তানদের। শুরু হয় তাদের ঠেলা ধাক্কার জীবন। শেষ পর্যন্ত আছিয়া বেগমের ঠাইঁ হয় পটুয়াখালীর যৌন পল্লীতে। সেখান থেকে আরো কয়েকটি যৌনপ্লী ঘুরে এখন তাদের আশ্রয়স্থল ফরিদপুর শহরের রথখোলা যৌন পল্লীতে। এক সময়ে যৌনকর্মীর জীবন শুরু হয়েছিলো শহীদ মুক্তিযোদ্ধা আমজাদ হোসেনের স্ত্রীর। ধীরে ধীরে যৌন কর্মীর পেশায় জড়িয়ে পড়তে হয় তার দু’কন্যা রুশি এবং জরিনার। এখন তাদের পর যৌনকর্মী হয়ে জীবন ধারন করতে হচ্ছে রুশির কন্যা শিল্পীর। যৌনকর্মী মা এবং বোনদের আয়ে জীবন বাচাঁতে হচ্ছে শহীদ মুক্তিযোদ্বার একমাত্র ছেলে নুর আলীর। সরকার যে সময় মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা এবং সুযোগ সুবিধার আওতা বাড়িয়ে মুক্তিযোদ্বাদের নাতি নাতনিদের পর্যন্ত সম্প্রসারন করেছে সে সময় একজন যৌনকর্মী হয়ে বাচঁতে হয়েছে একজন শহীদ মুক্তিযোদ্বার স্ত্রীর পর তার কন্যাদের এখন যৌনকর্মীর হয়ে বেচেঁ থাকতে হচ্ছে শহীদ মুক্তিযোদ্ধার আমজাদ হোসেনের নাতনিকে। শহীদ মুক্তিযোদ্বার বিধবা স্ত্রী আছিয়া বেগম দীর্ঘ শ্বাস ছেড়ে বলেন মুক্তিযুদ্ব অন্যদের কি দিয়েছে জানি না আমাকে বাচঁতে হয়েছে যৌন কর্মীর জীবন নিয়ে। তারা জানে না এ দেশে মুক্তিযোদ্বাদের কোন সম্মান দেয়া হয় কি না।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাঁর বোতলে আটকে আছে বিরোধী দল

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



সেই ২০০৯ সালে তিনি যে ক্ষমতার মসনদে বসলেন তারপর থেকে কেউ তাঁকে মসনদ থেকে ঠেলে ফেলতে পারেনি। যারা তাঁকে ঠেলে ফেলবে তাদের বড়টাকে তিনি বোতল বন্দ্বি করেছেন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?

লিখেছেন জিএম হারুন -অর -রশিদ, ১৬ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৪



কেউ কি আমার বন্ধু শাহেদের ঠিকানা জানেন?
আমার খুবই জরুরি তার ঠিকানাটা জানা,
আমি অনেক চেষ্টা করেও ওর ঠিকানা জোগাড় করতে পারছিনা।

আমি অনেক দিন যাবত ওকে খুঁজে বেড়াচ্ছি,
এই ধরুণ, বিশ-একুশ বছর।
আশ্চর্য্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

আজকের ব্লগার ভাবনা:কথায় কথায় বয়কট এর ডাক দেয়া পিনাকীদের আইডি/পেইজ/চ্যানেল বাংলাদেশে হাইড করা উচিত কি? ব্লগাররা কি ভাবছেন?

লিখেছেন লেখার খাতা, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১২:১৩



অপূর্ব একজন চমৎকার অভিনেতা। ছোট পর্দার এই জনপ্রিয় মুখকে চেনেনা এমন কেউ নেই। সাধারণত অভিনেতা অভিনেত্রীদের রুজিরোজগার এর একটি মাধ্যম হইল বিজ্ঞাপনে মডেল হওয়া। বাংলাদেশের কোন তারকা যদি বিদেশী... ...বাকিটুকু পড়ুন

×