মডেল ও চিত্রনায়িকাদের নামে রাজধানীতে চলছে ১৫০০ মধুকুঞ্জ। এসব মধুকুঞ্জের বেশির ভাগই রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান ও বনানীতে। চলচ্চিত্র ব্যবসায় মন্দার কারণে অনেক প্রতিষ্ঠিত নায়িকাও মধুকুঞ্জ খুলে সেক্স ব্যবসা জমিয়ে বসেছেন। এদের মধ্যে মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করা মডেলদের সংখ্যাই বেশি। তবে শীর্ষস্থানীয় ক’জন চলচ্চিত্র নায়িকা ও টিভি অভিনেত্রীদের বিরুদ্ধেও অভিযোগ আছে। গত এক সপ্তাহে অসামাজিক কার্যকলাপের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন দুই চিত্রনায়িকা কেয়া ও সিলভি। কেয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৭ জন সোসাইটি গার্লের সঙ্গে। সিলভি গ্রেপ্তার হয়েছেন খদ্দেরের সঙ্গে। সূত্র জানিয়েছে, এসব চিত্রনায়িকা ও মডেল নিয়মিত ব্যবসায়ী ও রাজনৈতিক প্রভাবশালীদের শয্যাসঙ্গিনী হচ্ছেন। সংগোপনে বোরকা পরে তারা ঢুকছেন ৫ তারকা হোটেল বা ব্যবসায়ীদের বিশেষ ফ্ল্যাটে। এছাড়া এফডিসিকেন্দ্রিক একশ্রেণীর দালাল গড়ে উঠেছে। তারা উঠতি নায়িকা ও মডেলদের সরবরাহ করে বিভিন্ন মধুকুঞ্জে। রাজধানীর অভিজাত এলাকা গুলশান ও বনানীতে এসব মধুকুঞ্জে সুখ ও আনন্দের সকল উপকরণ মজুত। কোন কোন মধুকঞ্জে আছে ফুলের নির্যাস দিয়ে গোসলের ব্যবস্থা। আছে দামি মদ, ইয়াবা ও শিশাসহ সকল ধরনের নেশার উপকরণ। যৌনশক্তি বর্ধক পানীয় সরবরাহের ব্যবস্থাও আছে। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা বলছেন, নায়িকা বা মডেল নামধারী অনেককেই তারা নেশার উপকরণসহ অসামাজিক কার্যকলাপের সময় গ্রেপ্তার করেছেন। তবে অনেককে ইচ্ছা করলেও গ্রেপ্তার করা যায় না। আবার অনেককে গ্রেপ্তার করলে চাকরি যাওয়ার ভয় থাকে। আর পুলিশ অনেক নায়িকা ও মডেলের মধুকুঞ্জ থেকে নিয়মিত মোটা অঙ্কের মাসোহারা বলে জানিয়েছে সূত্র। গুলশান ২-এ একটি গেস্ট হাউজ সবচেয়ে অভিজাত মধুকুঞ্জ হিসেবে পরিচিত। এ গেস্ট হাউজে অতিথিদের মনোরঞ্জনের জন্য সব ধরনের বিলাসবহুল উপকরণ রয়েছে। প্রতিটি রুম বাথটাব, এসি, ফ্রিজ, টেলিভিশন, ভিসিডি ও দামি পারফিউম দিয়ে সাজানো। এখানে নিয়মিত পরিচিত চিত্রনায়িকা ও মডেলদের আনাগোনা। এই গেস্ট হাউজটির মালিক রাজধানীর নারী ব্যবসার এক গডফাদার। রাজধানীতে অন্তত ২০০ মধুকুঞ্জ চালাচ্ছেন তিনি। সমপ্রতি তার এ ব্যবসা মধ্যপ্রাচ্য ও মালয়েশিয়ায় সমপ্রসারিত করেছেন বলে জানিয়েছে র্যাব। তাকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী একাধিকবার গ্রেপ্তার করলেও জেলে আটকে রাখা যায়নি। গুলশান ১-এর একটি হোটেল রাজধানীর অভিজাত মধুকুঞ্জ হিসেবে বহুল পরিচিত। এখানে কুখ্যাত সন্ত্রাসী, রাজনৈতিক নেতা নামধারী ব্যক্তি, পুলিশ কর্মকর্তা নিয়মিত অতিথি হয়ে যান। এখানে অনুমোদিতভাবে মিনি মদের বার স্থাপন করা হয়েছে। হোটেলটিতে নামী নায়িকা ও মডেলদের আনাগোনা গভীর রাত পর্যন্ত। প্রকাশ্যেই চলছে সবকিছু। গুলশান ২-এর একটি বাড়িতে প্রকাশ্যেই এসব কার্যকলাপ চলছে। এ বাড়িতে একটি পার্লার ব্যবহৃত হচ্ছে সাইনবোর্ড হিসেবে। বাড়িটি গুলশান পুলিশ ফাঁড়ি সংলগ্ন। এখানে যৌনকর্মী হিসেবে কাজ করে থাইল্যান্ড, পাকিস্তান ও ভারতীয় যুবতীরা। গুলশান ১-এর নিকেতন আবাসিক এলাকার ২নং রোডের একটি বাড়ি পুরোটাই অভিজাত মধুকুঞ্জ হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এখানে বিলাসী রাত কাটাবার সব উপকরণ রয়েছে। এটি চলছে একজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর নাম ভাঙিয়ে। নিকেতনের ১২নং রোডের একটি বাড়িতে মধুকুঞ্জ খুলেছেন কথিত এক ড্যান্স ডিরেক্টর। নাটকের, চলচ্চিত্র নায়িকা ও মডেলদের নিয়মিত যাতায়াত এখানে।
আলোচিত ব্লগ
শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক
আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।
“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন
কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য
ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার
(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন
প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭
ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।
এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন
একাত্তরের এই দিনে
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন
হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে
তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন