আজ ১৪ই ডিসেম্বর-২০১১। প্রফেসর আমিরুল করিমের মন ভাল নেই। না বুদ্ধিজীবীদের জন্য নয়। উনার ব্যালেন্সসিটটি মিলছেনা তাই। তাছাড়া উনার ১৪ হাতের দুই হাত বন্ধ। কেন বন্ধ জানেননা। উপদেষ্টা হিসাবে এবছর অনারিয়ামটাও পাননি। মেজাজ তীরিক্ষী, তাঁর ছেড়ার উপক্রম।
বলে রাখা ভাল, ডুংডাং বিশ্ববিদ্যালয়ের কস্ট এন্ড ম্যানেজমেন্টের প্রখ্যাত প্রফেসর তিনি। বিগত বছর গুলোতে অনেক ছাত্র পড়িয়েছেন তিনি। থিসিস্ করিয়েছেন অনেক ছাত্রকে। অনেক এমএস ও এমফিল দিয়েছেন। পিএইচডি টা দেয় দেয় করে দেয়া হয়নি। কারণ উনি ফেস্টিনি গ্রুফের উপদেষ্টা হওয়ায় আর সম্ভব হয়নি।
স্যাররের ফেইস্ ভ্যালু অনেক। আমার মতো নাখান্দা, নালায়েক, নস্যি প্রভাষক মেজার করার ক্ষমতা রাখেনা। স্যার আপনাকে সালাম। স্যার, আমার এক বন্ধু ফেস্টিনি গ্রুফে নাম লিখিয়েছে। আমার কাছে এসেছিল তার একটা হাত বাড়ানোর জন্য। তার এখন ৬ হাত। ভালো কামায়। তার কাছে শুনলাম আপনার ১৪ হাত। আপনার কথা শুনে আমি হই হই কিন্তু হলাম না। কারণ আমার হাতে সময় নেই।
দুষ্ট লোকেরা বলে প্রভাষকেরা পড়ে, পড়ায় ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যায়। সহকারী আধ্যাপকেরা পড়েনা, পড়ায় ও বিশ্ববিদ্যালয়ে যায়। সহযোগী আধ্যাপকেরা পড়েনা ও পড়ায়না, বিশ্ববিদ্যালয়ে যায়। আধ্যাপকের ব্যাপারটা কেমনে বলি, হাঁটু যে কাঁপছে। আমি প্রথমোক্ত। তাই সদস্য হতে পারলাম না। ক্ষমা ও সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন স্যার।
আমার বন্ধু বরকে জিজ্ঞেসিলাম, ফেস্টিনির প্রোডাক্ট কি? সে বলল কেবল হাত সৃষ্টি। আমি ছাত্রদেরেক ফিজিক্স পড়াই। মাঝে মাঝে বলি ইনপুট ছাড়া আউটপুট হয়না। কোন কিছুর ইফিসিয়েন্সি ১০০% হয়না। স্যার, আপনাদের ইনপুট ছাড়া আউটপুট। ইফিসিয়েন্সি ইনফিনিটি। আমার মাথা ঘুরছে। তাঁর বোধ হয় সবগুলো ছিঁড়ে গেছে। বিশ্ববিদ্যালয় খোলার আগে আমাকে পাবনা পাঠান। তা...না...হলে আমার ছাত্ররা ইলেক্ট্রনিক্সে ফেল করবে।