somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

+৩৬ রাম ছাগলের রবীন্দ্র দর্শন +১৮

২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এক দেশে ছিলো এক ছাগু। একটু বাঁট ব্যাকা ঘার ত্যার ছাগু। খোয়ারে কাঠাল পাতা খেতো আর ব্যা ব্যা করে মানুষকে বিরক্ত করতো। একদিন তার গোলামন বাপ (বড় বাপ, ছাগুদের আবার বাপের ঠিক নাই সব কয় ডায় বাপ।) তারেধরায়ে দিলো কিছু বই যাতে লিখা আছে কি ভাবে সাচ্চা মুসলিম (আসলে মাদার চোদ হওয়া শিখায়, ইসলাম না) হবেন। তাতে লিখা ছিলো বিধর্মীর বাসায় খাবার খাওয়া পাপ এই খাবার খাইলে ইসলাম যাইবো গা (পাক্কা হিন্ধুত্ত্ববাদী কথা যা তারা শিখায়, কিন্তু নবী বলেছেন তাদের বাড়ির মাংশ খেয়ো না কারণ সে গুলো আল্লাহর নামে কুরবানি হয় না। মিষ্টি জাতীয় দ্রব্য ও সবজি খাওয়া হালাল) সে যাই হোক সে পরতে লাগ্লো বই এর পর বই শেষ করে আল্লামা মুউদুদীর পুরা সব চাইট্টা ফালায়ে সে ছাগু থেকে খাশ গোলামে পরিনত হলো। এর পর সে একদিন খাশ আউমী দালাল টিভি কেকাশে দেখলো। সেখানে দেখে ‘অনেক লোককে জীবনের সকল ক্ষেত্রে আদর্শ হিসাবে মেনে নেওয়াই ভাল। রবীন্দ্রনাথই হচ্ছেন এমন ব্যক্তি।’ এটা দেখে গোলাম ভাবলো দেখি তো এই লোক টা কে নাম রবীন্দ্রনাথ ইসলাম :-/ :-/ :-/ (!?!?!) দাড়ি দেখে ভাব্লো এটো আল্লাহর ওলী মহান বান্দা মুখে কত্তো বড় দাড়ি। গোলাম এর পর সব রবিন্দ্রনাথের বই পড়া শুরু করলো। এর পর তার বড় বাপেরে কইলো রবীন্দ্রনাথ ইসলাম রে নিয়া। তার বাপে একটা ঠাডানি দিলো ঠাডানি খাইয়া হয় ঘোষ্ণা দিলো ‘রবীন্দ্রনাথ কাব্যগ্রন্থ রচনা করেছেন ৫৬টি,ছোট গল্প লিখেছেন ১১৯টি,উপন্যাস ১২টি,ভ্রমন কাহিনী ৯টি এবং শিশুসাহিত্য ৮টি । এগুলো সংগ্রহ করে পনের বছর ধরে পড়েছি । ৩০০ গান সংগ্রহ করেছি আর কি যোগ্যতা দরকার ? কথায় কথায় এক শ্রেণীর আতেলদের মতো কথায় কথায় তার কবিতা আর গান আওরাতে হবে নাকি ?’ এর পর সে আরো ভাষ্য দেয় ‘মনে রাখতে হবে, বাংলাভাষী মুসলিমাদের সংস্কৃতি রবীন্দ্রনাথের বাঙ্গলী সংস্কৃতি বা ভারতীয় সংস্কৃতির নামের কোন হিন্দু সংস্কৃতি নয়। স্মরণ রাখতে হবে, ১৯১৮ সালে রবীন্দ্রনাথ লিখে গেছেন যে, হিন্দীকেই স্বাধীন ভারতের বাষ্ট্রভাষা করতে হবে। ১৯৩৮ সালে তিনি তার শান্তি নিকেতনে হিন্দী ভবনও প্রতিষ্ঠা করে গেছেন। পাকিস্তান আমলে উর্দু ভাষার বিরুদ্ধে লড়াই করার পর এখন কি আমাদের শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্রভাষা হিসেবে হিন্দীকেই গ্রহণ করতে হবে ?’


শালা ছাগুর পো এটা বুঝে নাইক্কা ভারতের সামান্য কিছু মানুষের মায়ের ভাষা হিন্দি, মানুষ হিন্দিতে কথা কয় বাধ্য হয়ে রবীন্দ্রনাথ হিন্ধির কথা কয়েছিলেন কারণ মহত্মা গান্ধীর ভাষা হিন্দি তাই। এটার পেছনে আমাদের জিন্নাহ সাহেবের মতো কোন নেক উদ্দেশ্য ছিলো না। রবীন্দ্রনাথ নিজে কিন্তু বাংলায় কথা বলতো তার পরিবারের উত্তর পুষেরাও বাংলায় কথা বলেন


এর পরে গোলাম বলে ‘এ ধরনের সাক্ষাৎকার ও অযাচিত প্রচার নতুন নয়। এটা স্পষ্টতই উদ্দেশ্যমূলক। যে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষ মুসলিম সে দেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ধর্ম ও সংস্কৃতি পাল্টে ক্রমে অন্য ধর্ম ও সংস্কৃতিতে নিয়ে যাওয়ার প্রক্রিয়ারই একটা সুপরিকল্পিত অংশ এটা। বৈদিক ব্রাক্ষণ শাসিত মনুসংহিতা সমাজের এক জাতিতত্ত্বের ধারণা মোতাবেক বাঙালী সংস্কৃতির নামে আমাদেরকে যে হিন্দু ধর্ম ও সংস্কৃতি গ্রহণের পথেই ক্রমে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে সেটা ইতিহস, ঐতিহ্য, ধর্ম ও সংস্কৃতি সচেতন প্রতিটি নিষ্ঠাবান মুসলমিই বোঝেন। তারা বোঝেন বলেই বাংলাদেশকে সিকিমের মতো হিন্দু প্রধান ভারত তার অঙ্গরাজ্য বানাতে পারছে না । তারপরও মতলবী প্রচার – প্রচারণা থেমে নেই।’ তোমার সোনা বুঝে। হিন্দু মুসলমান ভাই ভাই এই কথা বলে রাখী কে পরিয়ে দিয়েছিলেন মুসলমানদের ? তোমার গোলামন বাপ?

এর পর গোলামের কথা হইলো ‘কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার শান্তি নিকেতনে ব্রাহ্মচর্যাশ্রমে আড়াই হাজার বছর আগের ব্রাক্ষণ শাস্ত্রকারদের অন্যায়, বর্ণগত ও শ্রেণীগত স্বার্থ সংরক্ষণ করার লক্ষ্যে রচিত জীবন ব্যবস্থাকে গ্রহণ করেছিলেন । সেই বর্ণভেদাশ্রয়ী জীবন ব্যবস্থা স্পষ্টত অমানবিক এবং বিভিন্ন ধর্মীয় সম্প্রদায়ের রাজনৈতিক সহাবস্থানের পরিপন্থী মাত্রই নয় তা নিন্মবর্ণের হিন্দু নারী- পুরুষদের আর্থ- সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক অধিকার অনুমোদন করে না। এসমাজের সমর্থকরা এবং মুসলিমদের যে কোন রকম আর্থ-সামাজিক, সাংস্কৃতিক এবং রাজনৈতিক অধিকারের বিরোধী রবীন্দ্রনাথ বাংলাদেশের মুসলিমদের আদর্শ হন কিভাবে’


প্রথম কথা রবীন্দ্রনাথ হিন্ধু ছিলেন না তিনি ছিলেন একেশ্বরবাদ ব্রাক্ষ। আর তাঁকে বাধ্য হয়েই বর্ণ বোইশম্য চালু করতে হয়েছিলো কারণ তাঁর এখানে যে শিক্ষক ছিলেন তার অধিকাংশই নিচু বর্ণের আর তাঁর স্কুলে উচুঁবর্ণের মানুষ ছাড়া কেউ প্রতে আসেন নাই, কারণ নিচু বর্ণের মাঝে সেই রাজনৈতিক চেতনা তখনো ছিলো না। রবীন্দ্রনাথ নিজেও এর জন্য আক্ষেপ করেছে।


এর পর গোলামের বানী ‘গণমাধ্যমে রবীন্দ্রনাথের একচ্ছত্র আধিপত্য থাপকার পরও বাংলাদেশের তরুণ সমাজ রবীন্দ্র সাহিত্য আত্মস্থ করা তো দূরে থাক, পড়ছেও না। এর কারণ কি? তার উত্তরও রয়েছে বদলে দাও বদলে যাও স্লোগানের পত্রিকা প্রথম আলোতেই । রবীন্দ্র দৃষ্টিতে সখ্যতার সংকট শীর্ষক প্রবন্ধে আবুল কাশেম ফজলুল হক রবীন্দ্রনাথ জীবনে কখনো সরাসরি, অবিসংবাদিত ভাষায় ভারতবর্ষে ব্রিটিশ শাসনের অবসান ও স্বাধীনতার কথা বলতে পারেননি মন্তব্য করার সাথে সাথে তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথের সময়ে যেসব সমস্যা ছিল এখন পরিবর্তিত বিশ্ব পরিস্থিতি ও কাল পরিক্রমায় সেগুলো আজ আর নেই’ কোন হালায় এই গোলাম রে বুঝাইবো রবীন্দ্রনাথ কি এখন সরাসরি বাঙ্গালীর পক্ষে কথা কইয়া পথে বসবে? রবীন্দ্রনাথ কি অখন্ড বাংলা চায় নায়? না কি সেটা তোর গোলামন বড় বাপে চাইছিলো? যদি তোমার নিজের জমিদারি থাক্তো তুমি নিজেও এক ই কাম করতা ক্ষমতা বাঁচানোর জন্য


এদের মাথায় যে কইত্তে কি ঢুকে যা জানে না যা বুঝে না তাই নিয়া ফাল পারে এদের জন্য কি আমাদের নতুন করে রবীন্দ্রনাথ পরতে হবে?
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১১:৫৯
৭টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ভারতে পচা রুটি ভাত ও কাঠের গুঁড়ায় তৈরি হচ্ছে মসলা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৩০

আমরা প্রচুর পরিমানে ভারতীয় রান্নার মশলা কিনি এবং নিত্য রান্নায় যোগ করে খাই । কিন্তু আমাদের জানা নেই কি অখাদ্য কুখাদ্য খাচ্ছি দিন কে দিন । এর কিছু বিবরন নিচে... ...বাকিটুকু পড়ুন

যমদূতের চিঠি তোমার চিঠি!!!!

লিখেছেন সেলিম আনোয়ার, ১৪ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:০৮

যমদূতের চিঠি আসে ধাপে ধাপে
চোখের আলো ঝাপসাতে
দাঁতের মাড়ি আলগাতে
মানুষের কী তা বুঝে আসে?
চিরকাল থাকার জায়গা
পৃথিবী নয়,
মৃত্যুর আলামত আসতে থাকে
বয়স বাড়ার সাথে সাথে
স্বাভাবিক মৃত্যু যদি নসিব... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×