শুভ জন্মদিন!!সৃষ্টিকর্তার দরবারে আমারও প্রার্থনা যেন আজ শুরু হওয়া নতুন বছরটি ভালো যায়।নিজে কখনো নিজের অমঙ্গল কামনা করেনা।আর মঙ্গল কামনার অধিকাংশ সময় হচ্ছে কেবল সৃষ্টিকর্তার প্রার্থনারত সময়ে পবিত্র স্থানে।নিজের জন্মদিনে আমরা অন্যের অভিবাদনের অপেক্ষায় থাকি,কখনো নিজে একবার নতুন বছরে নিজের মঙ্গল কামনা করে প্রার্থনা করিনা,করলেও তা সংখ্যায় অনেক কম।একটি বছর অতিবাহিত হওয়া মানে পৃথিবীতে নিজের স্থায়ীত্ব থেকে একবছর কমে যাওয়া।বেচে থাকাকে ঘিরে লালিত পালিত অনেক স্বপ্নের আরো কাছাকাছি চলে যাওয়া।যদিও স্বপ্নের কোন মৃত্য নেই নিজের কাংখিত স্বপ্ন অর্জনের পরও মানুষ আরেক স্বপ্নের দিকে নিজেকে ধাবিত করে।কারো স্বপ্ন অধরাই থেকে যায়।কেউবা বেচে থেকেও নিজের কাংখিত স্বপ্নের সাথে নিজের মিলন ঘটাতে পারেনা।তারই পথ ধরে অন্য সকলের মত আমারও জীবন চলছে।আর জীবন চলার পথে আজ আমার আরো একটি বছরের পরিসমাপ্তি ঘটল।আমি বলব স্বপ্নের কাছাকাছি নয় মৃত্যর আরেকটু কাছে নিয়ে পৌছলাম ।মানুষ তার জীবদ্দশায় দুই জীবন কে সাথে করে চলে।কেউ ইহ জীবনের জন্য নিজেকে তৈরী করে আবার কেউবা ইহজীবনকে একটু কম সময় দিয়ে পরজীবনের কথা চিন্তা করে।তবে দুই জীবনে তাদের সাধ থাকে সুখের জন্য।কেহ ইহ সুখকে প্রাধান্য দিয়ে তার রস আস্বাদন করে যায় আবার কেহ পরজীবনের সুখ কে প্রাধান্য দিয়ে অস আস্বাদনের আশায় পৃথিবী ত্যাগ করে।দুই জীবনেই নিজের চিহ্ন রেখে যেতে মরিয়া থাকে।ইহ জীবনের সফলতা চোখে ধরা গেলেও পরজীবনের সফলতা সৃষ্টিকর্তাই জানেন,তবে সাধনা হয়ত কারো মনে স্বস্তির ছায়া ফেলে পরজীবনের জন্য।জীবনের প্রায় অর্ধেকটা তো শেষ করে ফেললাম,হিসেবের খাতাটা কি মেলাতে পারবো?যতই মেলানোর চেষ্টা করি ব্যর্থতার ভার এত পরিমানে নিজেকে গ্রাস করে আছে কেবল তাই ভেসে বেড়ায় চোখের সামনে।প্রাপ্তিটুকু কখনোই আমার/আমাদের চোখে প্রাধান্য পায়না এ বোধহয় চিরসত্যই।মনে হচ্ছে ইহ জীবনের বাকি সময়ের জন্য আর পর জীবনের অসীম সময়ের জন্য কোন কিছুই করতে পারিনি।তাহলে কি ইহজীবনের বাকি সময়টুকু আমার কিভাবে যাবে,পরজীবনের অসীম সময় আমি কিভাবে কাটাবো??চিন্তা আমাদের মস্তিস্কে ব্যঘাত ঘটায়,বিজ্ঞান বলে অধিক চিন্তা থেকে নিজেকে দূরে রাখা ভালো।চিন্তার সাথে কতটা সময় আমি কাটাই তা আমি জানিনা।তবে কোন মস্তিষ্কই চিন্তা থেকে দূরে নয়।চিন্তাই মস্তিষ্ককে সতেজ রাখে,একজন মানুষকে বাচিয়ে রাখে।নতুন বছরের আগমনী বার্তা যখন শুনতে পেয়েছি,তখন থেকেই একটা ব্যাপার আমাকে ক্রমাগতই গ্রাস করে চলেছে।হিসাব মেলাতে এখনো বসিনি,তবে তারই পথে আমার নতুন ভাবনা যোগ হল।ভাবলাম-নতুন বছর নিয়ে মাতামাতি করে কী হবে?চলে যাওয়া বছরটি নিয়ে আফসোস কিংবা খুশি হলে কী হবে?কিংবা কী লাভ?প্রকৃত পক্ষে কিছুইনা।নিয়মানুযায়ী মৃত্যর সময় আসার আগ পর্যন্ত আমাকে যতগুলো বছর পার করতে হবে,তা এমনি ই চলে যাবে।বেচে থাকার ঠিকঠিকানা নেই,এত হায় হায় করে কিছু হবেনা।যেমনভাবে এতগুলো বছর কাটিয়েছি,তেমন ভাবেই চলে যাবে বাকি সময়……।সৃষ্টিকর্তার কাছে বাকি সময়ের মঙ্গল কামনা করে প্রার্থনা করার চেয়ে বিগত বছরগুলো অতিবাহিত করে আজ পর্যন্ত বেচে থাকার জন্য সৃষ্টিকর্তার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা উচিত।হয়ত পৃথিবীর অনেক স্বাধ এখনো অপুর্ন রয়ে গেছে তাতে কী?যে স্বাধ এত গুলো বছর পেয়ে এসেছি তাতেই বা কম কিসে?পৃথিবীতে আলোর মুখ না দেখলে তো তাও সম্ভব হত না।দুঃখের মুহুর্ত বা সময়গুলো বাদ দিলেতো বাকি সকল সময় ই ছিল সুখের কেউ কী বলতে পারবো সঠিক এ সময়ের পরিমান কত ঘন্টা?পার করে আসা সময়ের মধ্যে আনন্দে আমরা সুনির্দিষ্ট কতটা সময় কাটিয়েছি?বলতে পারবোনা,তবে এ সময়ের পরিমানও কম নয়।অনেক সময় আমরা কাটিয়েছি অনেক আনন্দে,কারনে অকারনে আমরা হেসেছি অনেক দিন,ঘন্টা,মাস।এ হাসিটুকুকে নিজের প্রাপ্তি মনে করেই এগিয়ে যাই।আর এ হাসির যোগান দাতা তো মা বাবাই,যাদের কারনে পৃথিবীতে আসতে পেরেছি।তাহলে আমি/আমরা প্রতিটা জন্মদিনে মা বাবার কৃতজ্ঞতা স্বীকার করে তাদের প্রান ভরে স্মরন করে তাদের কল্যান কামনা করা কি উচিত নয়।তারা যে প্রতিজন্মদিন নয়,প্রতিটা ক্ষনই আমার মঙ্গল কামনায় ব্যস্ত।তাই আজ এই জন্মদিনে আমার শ্রদ্ধেয় মা বাবার প্রতি সৃষ্টিকর্তার কাছে তাদের মঙ্গল কামনা করছি। বাকি জীবনের কথা না হয় থাক,ফেলে আসা জীবনের হাসিগুলোকে প্রাপ্তি মনে করে প্রচন্ড তৃপ্ততা নিয়ে খুশিমনে প্রানভরে আজ নিজেই নিজেক বলতে ইচ্ছে করছে শুভ জন্মদিন।
আলোচিত ব্লগ
মধ্যবিত্ত শ্রেণীর ফাঁদ (The Middle Class Trap): স্বপ্ন না বাস্তবতা?
বাংলাদেশে মধ্যবিত্ত কারা? এই প্রশ্নের যথাযথ উত্তর দেওয়া আমার পক্ষে সম্ভব নয়। তবে কিছু রিসার্চ এবং বিআইডিএস (BIDS) এর দেওয়া তথ্য মতে, যে পরিবারের ৪ জন সদস্য আছে এবং তাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ এঁটেল মাটি
শাহাবাগের মোড়ে দাঁড়িয়ে চা খাচ্ছিলাম, মাত্র একটা টিউশানি শেষ করে যেন হাপ ছেড়ে বাঁচলাম । ছাত্র পড়ানো বিশাল এক খাটুনির কাজ । এখন বুঝতে পারি প্রোফেসরদের এতো তাড়াতাড়ি বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন
আসুন সমবায়ের মাধ্যমে দারিদ্র বিমোচন করি : প্রধানমন্ত্রী
বিগত শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নিজ সংসদীয় এলাকায় সর্বসাধারনের মাঝে বক্তব্য প্রদান কালে উক্ত আহব্বান করেন ।
আমি নিজেও বিশ্বাস করি এই ব্যাপারে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুবই আন্তরিক ।
তিনি প্রত্যন্ত অন্চলের দাড়িয়ারকুল গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন
পাইলট ফিস না কী পয়জনাস শ্রিম্প?
ছবি সূত্র: গুগল
বড় এবং শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পাশে ছোট ও দূর্বল প্রতিবেশী রাষ্ট্র কী আচরণ করবে ? এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধিক্ষেত্রে দুইটা তত্ত্ব আছে৷৷ ছোট প্রতিবেশি... ...বাকিটুকু পড়ুন
বড় এবং শক্তিশালী প্রতিবেশী রাষ্ট্রের পাশে ছোট ও দূর্বল প্রতিবেশী রাষ্ট্র কী আচরণ করবে ? এ নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক অধিক্ষেত্রে দুইটা তত্ত্ব আছে৷৷ ছোট প্রতিবেশি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ছেলেবেলার অকৃত্রিম বন্ধু
খুব ছোটবেলার এক বন্ধুর গল্প বলি আজ। শৈশবে তার সাথে আছে দুর্দান্ত সব স্মৃতি। বন্ধু খুবই ডানপিটে ধরনের ছিল। মফস্বল শহরে থাকতো। বাবার চাকুরির সুবাদে সেই শহরে ছিলাম... ...বাকিটুকু পড়ুন