সংসদ উপনেতা সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী বলেছেন, ‘জিয়াউর রহমান কোনদিন মুক্তিযুদ্ধ করেছেন এমন প্রমাণ যদি কেউ দিতে পারে তাহলে তা মেনে নেবো। কিন্তু তিনি মুক্তিযুদ্ধ করেননি। ওই সময়ে মুক্তিযোদ্ধাদের একটি ক্যাম্পে তিনি ছিলেন।’
বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজারবাগ টেলিকম ভবনে সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
সাজেদা চৌধুরী বলেন, ‘রোববার যারা গুপ্ত হামলা করছে তাদেরকে আর ক্ষমা করা যাবে না। তারা দেশের মানুষকে শান্তিতে থাকতে দেবে না।’
‘কোন ধরনের অন্যায় বরদাশত করা হবে না’ বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘কারো কোন ধরনের সুপারিশে ছাড় দেওয়া হবে না। যারা ভয় পায় তারাই কেবল চোরাগুপ্তা হামলা করে।’
কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, ‘পুলিশ মানুষের ভরসার জায়গায় রয়েছে। দেশে জঙ্গিবাদ দমনে পুলিশ সবচেয়ে বেশি সাফল্যের দাবিদার।’
চোরাগুপ্তা হামলা সম্পর্কে বিরোধী দলের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে তিনি বলেন, ‘কাপুরুষের মতো চোরাগুপ্তা হামলা নয়, সরাসরি কোথায় নামতে হবে বলুন। আমরা পুলিশ ছাড়াই নামবো। তখন দেখা যাবে।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন বলেন, ‘গত দশ বছরের মধ্যে আইন-শৃংখলার সবচেয়ে উন্নতি হয়েছে। মুক্তিযুদ্ধের বিরোধীতাকারীরা এখন সবচেয়ে সোচ্চার।’
অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি অতিরিক্তি আইজিপি (প্রশাসন) শহীদুল হকের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরো বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শামসুল হক টুকু, আইজিপি হাসান মাহমুদ খন্দকার, পুলিশ সমন্বয়ক ফণিভূষণ চৌধুরী, ডিএমপি কমিশনার বেনজির আহমেদ, সিআইডি প্রধান মোখলেসুর রহমান প্রমুখ।
এ সময় পুলিশ কর্মকর্তারা পুলিশের বর্তমান কাঠামো পরিবর্তনের জোর দাবি জানান।
তারা বলেন, ‘ব্রিটিশের তৈরি করা কাঠামোতেই পুলিশ এখন চলছে। এ কাঠামোর পরিবর্তন দরকার।’
Click This Link
বর্তমান সংসদ উপনেতা সাজেদা চৌধুরী সহ ১৯৭০-এর নির্বাচনে বিজয়ী আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্যের মধ্যে থেকে ৮৯ জন প্রেসিডেন্ট ইয়াহিয়া খান ও তার গভর্নর জেনারেল টিক্কা খানের সরকারের প্রতি আনুগত্য প্রকাশ করে তাদের সদস্যপদ পুনর্বহাল করেছিলেন। তৎকালীন পাকিস্তান সরকার গেজেট নোটিফিকেশনের মাধ্যমে ঐ ৮৯ জন আওয়ামী লীগ এমপির নাম, পিতার নাম, ঠিকানা এবং সংসদীয় এলাকার উল্লেখ করে তালিকা প্রকাশ করেছিল। এই তালিকার ৮৪ নম্বরে বেগম সাজেদা চৌধুরীর নাম রয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৯:১৮