.
.
বছরটা উনিশো ষাট আমার প্রথম তাকে দেখা ,ভালোবাসা ।একতরফা ভালোবাসতে বাসতে একসময় তাকে ভালোবাসার কথা জানানোর জন্য তার পুকুর থেকে পানি আনতে যাওয়ার সময় শিস বাজানো কিংবা চুলে তেল দিয়ে মাঝখানে সিথি করে ,চোখে গগলস লাগিয়ে তার জন্য অপেক্ষা করা ছিল আমার কাজ ।একদিন বাড়িতে কলসি দিয়ে পানি নেওয়ার সময় তাকে প্রথম বলা ভালোবাসি ।ভালোবাসি কথাটা শুনে মেয়েটির লজ্জায় মাথা নিচু করে ফেলে হাতের কলসি টি মাটিতে পড়ে যেয়ে ভেঙ্গে যায় ।তারপর প্রায় এক বছর মেয়েটির পিছনে পিছনে ঘুরঘুর করি ।কিন্তু সারা না পেয়ে মেয়েটিকে আবার রাস্তায় আটকাই এরপর সেই পথ দিয়ে যাওয়া এক মুরব্বির আমাদের দেখে ফেলে এবং কিয়ামতের দিন এসে পড়লো বলে পরের দিন সালিস ডাকলো এবং মেয়েটিকে পরপুরুষের সাথে কথা বলার জন্য দশটি বেতের বাড়ি মারলো এরপর মেয়েটি লজ্জায় আত্ম্যহত্যা করে ফেলল ।
সময়টা দু হাজার পন্চাশ একটি মেয়ের একটি ছেলেকে ভালো লেগে গেলএবং ছেলেটি পিছনে ঘুরঘুর করে তার মোবাইল নাম্বার নিয়ে ছেলেটিকে রাত বারোটার পর ফোন দিল এবং প্রথম দিনই বললো ভালোবাসি এবং ছেলেটিকে বললো চলো আমরা ডেটিং এ যাই ।ছেলেটির শুধু বললো কোথায় ? মেয়েটি তার পছন্দমতো জায়গায় নিয়ে গেল ছেলেটিকে ।এবারো মুরুব্বির দেখে ফেলা এবং বলা কিয়ামত আইতে আর বেশী দেরি নাই !এবারও কি সালিশ ডাকা হবে ? না এইবার মেয়েটি বললো যৌবন মেরা তো কিয়া হুয়া তেরা । চাচা মিয়া চাচীরে বাদ দিয়া কার লগে ঘুরছেন চাচীরে কইয়া দিমু কিন্তু !যা বুইড়া ভাগ এই জায়গায় কি তোর পোলার বয়সী ছেলের লগে প্রেম করি এইডা আবার দাড়াইয়া দেখস লজ্জা করেন !ভাগ ! এইবার বুইড়া দাড়িতে হাত বুলাতে বুলাতে ইয়ে মানে বলে চলে গেল এবং তারা সুখে শান্তিতে প্রেম করিতে থাকিল ।সাথে ঘুমন্তও এই প্রথম তার সম্পূর্ন গল্পের সমাপ্তি টানতে পারলো