গৌতম ঘোষের ডিরেকশন বা মেকিং নিয়ে নতুন করে কিছু বলার নেই! মুভিটির অসাধারণ লাইটিং প্রসেনজিত সহ অন্যান্য শিল্পীদের অনবদ্য অভিনয় এখনো চোখে লেগে আছে! কিন্তু এখানে ও সেই একই ইতিহাস বিকৃতি লালনকে ঘিরে...
নাহ, আজ মনের মানুষ কে নিয়ে কোন রিভিউ লিখতে বসিনি! আজ লিখবো তরুণ পরিচালক হাসিবুর রেজা কল্লোলের কাহিনী, চিত্রনাট্য ও পরিচালনায় তৈরি আনরিলিজড একটি আর্টফিল্ম নিয়ে, নাম “অন্ধ নিরাঙ্গম” The Veil Of Dust।
অন্ধ নিরাঙ্গম-যার অর্থ গুরুর শিক্ষা যাদের উপরে কোনো প্রভাব ফেলেনা।
সম্প্রতি আমরা গুণী পরিচালক তারেক মাসুদকে হারিয়েছি, যার অভাব সহজে পুরণ হবার নয়। তবে এই তরুণ পরিচালকের কাজ দেখে চলচ্চিত্র বোদ্ধাদের ধারণা, সম্ভবত আমরা আরেকজন তারেক মাসুদকে পেতে যাচ্ছি!
পরিচালক হাসিবুর রেজা কল্লোল পড়াশোনা করেছেন যশোর ক্যান্টনমেন্ট কলেজ এবং যশোর এম এম কলেজ থেকে। তিনি একুশে টেলিভিশনের সিনিয়র প্রডিউসার (ইনচার্জ, নিউজ এ্যান্ড কারেন্ট এ্যাফেয়ার্স) হিসাবে দীর্ঘদিন ধরে কর্মরত আছেন।
ফকির লালন সাই। বাউল সম্রাট। পৃথিবী জুড়ে বাংলা সংস্কৃতিকে তুলে ধরেছেন তাঁর মিস্টিরিয়াস আধ্যাত্নিক গান আর একতারা মাধ্যমে। তাঁর স্মরনোৎসব পালন করা হয় প্রতিবছর ১৭ অক্টোবর। এমনই এক স্মরনোৎসবে যোগ দিতে আসেন কয়েকজন বিদেশী পর্যটক।
রেল গাড়ীতে উঠে বাংলাদেশের অপার সৌন্দর্য দেখতে দেখতে তারা চলতে থাকেন। গন্তব্য কুষ্টিয়ার ছেউড়িয়ায় লালন ফকিরের আখড়া বাড়ী। সঙ্গে থাকা গাইডকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে তারা জেনে নেন- কে ছিলেন লালন! কয়েক স্টেশন পরে তাদের সহযাত্রী হন দুজন পোশাকধারী বাউল। একই গন্তব্যে চলা শুরু হয়। বাউল দুজন গান ধরেন ।
রেল পথ শেষ হয়ে স্থানীয় ভাবে নির্মিত যান নসিমনে চড়েন সবাই একসাথে। পৌছে যান ছেউড়িয়ায় আখড়া বাড়ীতে। লালন ভক্তদের পদচারণায় মূখর আখড়া বাড়ীর সীমানা ছেড়ে পদ্মা নদীর চরে হাটতে হাটতে বাউল শফি মন্ডলের কাছে একজন বিদেশী পর্যটক জানতে চান- এখন লালন কে আমরা কোথায় খুজে পাবো? শুরু হয় অন্ধ নিরাঙ্গমের কাহিনী...
আগামীকাল অর্থাৎ ২০শে ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টায় মুভিটির প্রিমিয়ার হবে স্টার সিনেপ্লেক্স এ। ২৩শে ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন স্টার সিনেপ্লেক্স এ দেখানো হবে মুভিটি।
যারা গৎবাঁধা চলচ্চিত্রের বাইরে সুস্থ্যধারার চলচ্চিত্র দেখতে ভালবাসেন, যারা চলচ্চিত্রের মাঝে মনের খোরাক খুজেন- তারা দেখতে পারেন এই মুভিটি।