দেখো; একদিন শীতঘন কুয়াশামুড়ে তিনি আসবেন
মলিন শতাব্দীর শোকগাঁথা রথে চড়ে।
আমাদের ভঙ্গুর খেলাঘরে, আমপাকা হাওয়ার উষ্ণতায় পুঁড়ে
তিনি জলের তৃষ্ণায় ভেসে আসবেন পুরানো সাবেকী কুঁড়েঘরে।
হাতে তার সহিষ্ণুফুলের মালা, বেতারের মিহি শব্দে
অসংখ্যদূরের চিহ্নে ফুটে ওঠা আনন্দবার্তা, কোমল স্পর্শে।
দেখো; মেঘশীতল বিষদ্ধবাতাসে ভেসে তিনি আসবেন
একদিন এইসব তড়িঘড়ি পথের বাঁকে।
সমস্ত রাজপথ শ্লোগানমূখর হলে, মায়ের পবিত্রহাসির ভাঁজে
তিনি আসবেন তুমুল স্বপ্নের ছক এঁকে, অসম্ভব সত্যচোখে
পড়ে নিও তাঁর, প্রীদিম আলোর ভিতর। কী আর্শ্চয! এইসব
অহেতুক প্রশ্নরা করুণ আর্দনাদে মরে যাবে বেদনায়।
বিজয় শব্দে এঁকে দিও তার দেহ, স্বাধীন বর্ণমালায়।