আমরা যে প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বর আসলেই বিজয় বিজয় বলে চিল্লাইতে থাকি ... সে বিজয় মানে আসলে কিসের বিজয় তা আমরা নিজেই জানি না।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে যারা প্রাণ হারিয়েছিল তারা তো বেঁচে গিয়েছিল আর যারা প্রাণপণ লড়াই করে বেচে গিয়েছিল তারা এখন বেচে থেকেও মরা। কারণ যে মানুষটি চলাফেরা করে কিন্তু কথা বলতে পারে না সমজে সে মানুষটির নেই কোন সম্মান নেই কোন অধিকার সে কারো উপকারে আসে না এবং অন্য কারোও উপকার করতে পারে না তাই সমাজে তার কোন দাম নেই।
১৯৭১ সালে যারা মুক্তিয়ুদ্ধ করেছিল তারা আজ ভিক্ষাবৃত্তি করে জীবন ধারণ করতে হচ্ছে।
বিজয় মানে স্বনির্ভরতা অন্যের কাছে ভিক্ষা চাওয়া নয়। আমাদের বিজয় মানে হচ্ছে রাজাকার নির্ভরতা । স্বাধীনতার ৪০ বছর পর আজ আমরা দেখাতে পাচ্ছি যে অতিতে রাজাকারের লিস্টে যাদের নাম ছিল তারা অগণিত অট্টালিকার মালিক আর যারা নিজের রক্তের বিনিময়ে শকুনের মুখ থেকে এই দেশটা ছিনিয়ে এনেছে সেই শকুনের কাছেই আবার নিজেকে বিকিয়ে দিচ্ছে ।
কি করবে আমাদের সেই মক্তিযোদ্ধারা ? পেট তো একটা আছে তাদের । অন্তত তাদের জীবন-ধারণ যে করতেই হবে।
প্রবাদ আছে .. অল্প শোকে কাতর আর বেশি শোকে পাথর। ঠিক সেই প্রসঙ্গ টেনে যে দেশে বারবার অধিকার আদায়ের প্রত্যাশা করেও আদায় হয় না সেই দেশে অধিকারের প্রসঙ্গটা না টানাই ভাল।
ইতি টানতে বলতেই হয়......যে....... আমাদের দেশে যতদিন রাজাকারের এবং দেশ-দ্রোহীর ছায়া পর্যন্ত থাকবে, ততদিন পর্যন্ত আমাদের মুক্তিযোদ্ধারা থাকবে নির্যাতিত, নিপীড়িত, ক্ষুধার্ত, এবং লাঞ্চিত।
কারণ বাঘ আর মহিষ তো এক ঘাটে জল খেতে পারে না।
তো.... দেশপ্রেমিক আর দেশদ্রোহী একই ভুখন্ডে কিভাবে থাকবে?