somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

Basement of Student Politics

১৫ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:৫০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

Basement of Student Politics

ধার ধারি না পাড়া পড়শীর ধার ধারি না কারো, আমাদের এমনই অহম যে আমরা এখন আর নিজেরটা ছাড়া কিছুই বুঝি না, একজন স্টুডেন্ট তার ক্যাম্পাসে রাজনীতিতে জড়াবে তখনই যখন তার নিজের পড়ালেখা কোন একটা কারনে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে, আমার মা বলত নিজের পায়ে কুড়াল মারছিস, ঠিকইতো আমাদের ক্যাম্পাসসমূহের অবস্থা দেখলে আমার তাই মনে হয়, আমাদের কলেজ, ভার্সিটিতে যে বুদ্ধিবিদ্ধিক যোগ্যতা যাচাই না করেই শিক্ষার্থীকে শুধুমাত্র তাদের কাগজ, উত্তরাধিকার ও টাকার যোগ্যতায় যাচাই করে, শবদাহের পূর্বপ্রস্তুতিস্বরূপ নবীনবরন ও সীমানা নির্ধারন করে দিয়ে বুঝানো হয়, আমাদের শিয়াল মাতাদের আচঁলের তলার সুবাস ও আরামে অভ্যাস্ত করিয়ে কসাইয়ে রূপান্তরিত করা হয়, তা যে কোন ক্যাম্পাসের সাধারণ চিত্র। আর তাই তো আমাদের শিক্ষার্থীরা কখনও শিক্ষকের মান নিয়ে আন্দোলন করে না, ল্যাব, লাইব্রেরী ফ্যাসিলিটিস নিয়ে আন্দোলন করে না, ইভ টিজিং এর বিরূদ্ধে কোন আন্দোলন তো নেইই বরং আছে নিত্যনতুন ইভ টীজার তৈরীকরন, কাউকে বলতে শুনিনা প্রশ্নপত্র রিপিটেশন আমরা পরীক্ষা দিব না, বরঞ্চ আছে পরীক্ষা পিছাও আন্দোলন, জাতীয় লেজুরবিত্তিক রাজনীতির কমিটিকরণ, আমাদের শিক্ষার্থীরা কোন গাড়ী নিয়ে গবেষনা তো দূরে থাক, বড় বাবার ডাকে রাস্তায় নেমে গাড়ি ভাংচুরের সময় সেই একই কায়দায় ভাংচুর করে, ঠিক একটা বলদ যেমন মাটিতে গুঁতোতে থাকে, গাড়ি ভাংঙ্গার কি দরকার পার্টসগুলো খুলে নিয়ে ল্যাবে রেখে দে, পড়ে কিছু একটা শিখলেও শিখতে পারিস, না হয় গাড়ি চুরিই শিখবি, এমনিতেতেও চোর, চোরের সাগরেদ কিংবা চোরের ঘর থেকে এসেছিস। আমি প্রায়ই আমার ছাত্রত্ব নিয়ে লজ্ঝায় পড়ি, ছাত্র বলতে খুব ভয় হয়, কি ছাত্র হব বলতো যে ছাত্র তার ক্লাশমেটের ওড়ানা ধরে টানে, ম্যাডামকে অশ্লীল উক্তি করে, যে কোন এক শিয়ালের লিঙ্গে বেড়ি পড়ানো হলো কি হলো না তা নিয়ে আন্দোলন করে। প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সাংস্কৃতিক উৎসব উপলক্ষে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করে শিল্পী ও শিল্প আনানো হয়, তাহলে কি ধরে নিতে হচ্ছে আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছাত্ররা সংস্কৃতি জানে না, সাংস্কৃতিক কোন শিক্ষাই নেই। যেকোন কাজে ঠিকাদার জোগাড় করতে হয়, ধরেই নিলাম আমাদের শিক্ষার্থীরা কিছু তৈরীও করতে জানে না, আমাদের ছাত্রদের নিয়ে বিশাল বিশাল আন্দোলনের ডাক দেন জাতীয় খাশি ও শিয়াল সমাজ, তারাও ছাগলের তিন নাম্বার বাচ্চার মত লাফাতে লাফাতে এগিয়ে যায় ...... পিপিঁলিকার পাখা গজাাঁয় মরিবার তরে। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা সড়ক দূর্ঘটনায় মারা গেলে কিছু ভাংচুর বা অবরোধ না করে রাস্তা থেকে কিছু গাড়ি ক্রোক করে বিক্রিত টাকা দিয়ে ঐখানের সড়ক সংস্করনও করার যোগ্যতা আমাদের ছাত্রদের নেই, তারা বসে থাকে, বিদেশ থেকে আব্বা কিনে এনে দিবে, ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার, উদ্ভাবক, মেশিনারীজ ।


------------ মাঝে মাঝে ধোলাইখালের কথা শুনি
---------------------- লক্ষাধিক শ্রমিক বানিয়ে চলছে অবিরত......
----- তাদের বইয়ের দরকার হয়নি----------
তাদের প্রতিষ্ঠানের দরকার হয়নি------------
তাদের সরকারী পৃষ্ঠপোষকতার দরকার হয়নি-------------
---------------------- ধোলাইখালটাই যে বর্তমানে বাংলাদেশের সর্ব্বোচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান তা এখন আমরা বুঝি---------
আমার সন্তানকে তাই ধোলাইখালেই ভর্তি করাবো সিদ্ধান্ত নিয়েছি।....................

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহে গবেষণার জন্য টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয় না, কিন্তু ঠিকই মাদকের জন্য বরাদ্দটা জুটে যায়, শিক্ষার্থীরা চাঁদা তুলছে, শিক্ষকরাও চাঁদা তুলছে, সরকার, বিভিন্ন শিল্প-প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে, দোকানদার, চায়ের দোকানদারদের থেকে, ছিনতাই করছে, দূর্নিতি করছে........... বেশ মোটা অংকইতো হওয়ার কথা না! এগুলো দিয়েওতো বেশ ভালো কয়েকটা ল্যাব তৈরী করা যায় না!
আমার ছোট মাথায় যা বুঝি তা হল, একজন শিক্ষার্থীর রাজনীতি হবে সম্পূর্নই জ্ঞান অর্জনের লক্ষ্যে, এই অধিকারটুকু পূরন না করেই সে জনগনের অধিকার নিশ্চিত কিভাবে করবে, আমাকে বলবেন কি?
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×