আমি তোমার প্রতি বোধ করছি একমুঠো তীব্র আবেদন
তোমার নিকষ ঠোটের স্বচ্ছ মুগ্ধতায় নয়-
তোমার অভ্যন্তর বিকাশমানতার-
তোমার প্রসব বেদনার, তোমার সৃষ্টি যন্ত্রণার।
তুমি কবি মহিমান্বিত-
কিন্তু এই বিস্তৃত আকাশ, অতল সমুদ্র, জাজ্বল্যমান সূর্য, খোলামেলা বাতাস;
কবিতায় আমার জন্মান্তর নিল না মেনে।
তোমার আঁটসাঁট জরায়ুর কঠোর অন্ধকার গহ্বরে সটান ঘুমিয়ে পড়তে পড়তে,
তোমার শরীরে নিয়ত প্রবাহমান গাঢ় সুরা পান করে
আমি পরিবর্তিত হয়ে উঠবো সঞ্জীবনী কবিতায়।
না হলে, দগ্ধ হব তোমার বিস্ফোরিত নেত্রের অগ্নি শিখায়;
আমার যেন মৃত্যু হয় কোন সৃষ্টিকর্তার ধ্বংশযজ্ঞে!
তোমাকে রেখেছে ঘিরে ধ্বংশস্তুপের পলেস্তরা খসা দেয়াল-
ভালোবাসার আক্সিজেন মথিত করতে পারেনা তোমার হৃদপিন্ড,
আনাচ-কানাচ ঘুরে ফিরে আসে
আহত অভিমানে হয় নক্ষত্র।
আদরকে সযত্নে রেখেছি মোড়কে বন্দী করে,
ওদের ভেতরে আছে গুপ্ত পাখার মায়াবী বিস্তার!
আমার অস্তিত্ব যখন যাবে মুছে
ডানা মেলে ওরা পৌঁছে যাবে তোমার নিরাভরণ শিল্পের ললাটপুটে।