পুঁজিবাজার বিপর্যয় নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেছেন, পুঁজিবাজার নিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে চার ঘণ্টা বৈঠক করতে হয়; এটি একটি দেশের জন্য বড় লজ্জার কথা। এখানে পুঁজিবাজারের শৃঙ্খলা ফেরানোর দায়িত্ব থাকার কথা এসইসির (সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন)। কিন' অর্থ মন্ত্রণালয় ও এসইসি নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে খোদ প্রধানমন্ত্রীকে এতে সম্পৃক্ত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর উচিত ছিল সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া। কিন' তিনি খুবই উদার মন নিয়ে পুঁজিবাজারের শৃঙ্খলা রক্ষায় এগিয়ে এলেন। পৃথিবীর কোনো দেশে এর নজির মিলবে না। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাস উদ্দিন বলেছেন, বর্তমানে আইনে ব্যাপক দুর্বলতা রয়েছে। এই দুর্বলতার সুযোগে ডিএসইর ২৫ থেকে ৩০ জন মেম্বার বাজার নিয়ে খেলছেন। গতকাল পুঁজিবাজার নিয়ে বেসরকারি গবেষণা সংস'া সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে তারা এ কথা বলেন।
তীব্র হতাশা ও ক্ষোভের সাথে ইব্রাহিম খালেদ বলেন, সরকার পুঁজিবাজারে আসলে যা ঘটেছে তা আড়াল করার চেষ্টা করছে। অব্যাহত দরপতন মোটেও তারল্য সঙ্কটের জন্য নয়, বরং আস'ার সঙ্কটের কারণে ঘটেছে। আর এ আস'াহীনতা সৃষ্টি হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে ধীরগতির কারণে। যাদের কারণে পুঁজিবাজার ক্ষতিগ্রস্ত হলো তাদেরকেই দায়িত্ব দেয়া হলো সঙ্কট নিরসনে।
সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইদুজ্জামান, এসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক সচিব সিদ্দিকুর রহমান, বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ, আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না, পূবালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান হাফিজ মজুমদার, সংসদ সদস্য ফজলুল আজিম, সৈয়দ আলী আশরাফ, এবিবির সভাপতি কে মাহমুদ সাত্তার, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আহসানুল ইসলাম, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রেসিডেন্ট আল মারুক খান, এইমস ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ডের এমডি ইয়াওয়ার সায়ীদ, অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক বজলুল হক এবং সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস'াপন করেন সিপিডির সিনিয়র রিচার্স ফোলো ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর বর্ষীয়ান অর্থনীতিবিদ খালেদ আরো বলেন, পুঁজিবাজার বিপর্যয়ের পর সরকার তদন্ত কমিটি গঠনের সাথে সাথে অর্থমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নিশ্চয়তা দেয়া হয় এবারের এ রিপোর্ট ৯৬ সালের পরিণতি ভোগ করবে না। অথচ রিপোর্ট যখন জমা দেয়া হয় তখন খোদ অর্থমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বলা হয় যে রিপোর্ট অনুমাননির্ভর এবং এখানে এমন কিছু শক্তিশালী ব্যক্তির নাম রয়েছে যাদের নাম প্রকাশ করা যাবে না। তিনি প্রশ্ন রাখেন, রাষ্ট্রের চেয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে এরা আবার কারা! অথচ তাই ঘটেছে। আর যাদের সম্পর্কে প্রতিবেদনে সরকারকে সতর্ক করা হলো ক’দিন পর দেখা গেলো তাদের কাউকে কাউকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বাজার সি'তিশীল করার। তাহলে এ বাজার কিভাবে ভালো হতে পারে। সরকারের এসব বিষয়ই আস'ার সঙ্কট সৃষ্টি করেছে পুঁজিবাজারে। আর সরকার এ সঙ্কটকে দেখাতে চেষ্টা করছে তারল্য সঙ্কট হিসেবে, যেটা আদৌ সত্যি নয়।
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে এসইসির তৎকালীন চেয়ারম্যান, একজন সদস্য ও একজন নির্বাহী পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যবস'া গ্রহণের কথা বলা হলেও দেখা যায় যেসব সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ ছিল না, অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাদেরকেই প্রথমে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। এসব বিষয়ই পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রবণতা তৈরি করেছে, যা প্রকারান্তরে বাজারে আস'ার সঙ্কট তৈরি করে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে ড. মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, এখন কেউ শেয়ারবাজারে ব্যর্থতার দায়িত্ব নিতে চাচ্ছে না। সবাই অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। তার মতে, বর্তমানে বাজারের দু’টি সমস্যা। তা হলো ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জ্ঞানের অভাব আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অস্বাভাবিক আচরণ। তার মতে, আইনে এসইসিকে যথেষ্ট স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। কিন' দেখতে হবে সরকার এসইসিকে ওই পরিমাণ স্বাধীনতা ভোগ করতে দিতে প্রস'ত কি না। তবে মির্জা আজিজ মনে করেন, বর্তমানে শেয়ারবাজার অতিমাত্রায় অবমূল্যায়িত। আর এ অবস'া থেকে বাজার উঠবেই। এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের বেশ কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, বিনিয়োগযোগ্য সব টাকা শেয়ারবাজারে নিয়ে না আসা, ঋণ বন্ধ করা এবং কোন কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করবে তা যাচাই করে নেয়া। তিনি বলেন, সরকারের দ্রুত তদন্ত কমিটির রিপোর্টের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা উচিত। একই সাথে বাজারে সরবরাহ বাড়ানোর প্রতি জোর দেয়া উচিত।
ড. ফরাস উদ্দিন বলেন, ১৯৬৩ সালে ডিএসইর মেম্বারশিপের দাম ছিল পাঁচ হাজার টাকা। বর্তমানে তা ১০৫ কোটি টাকা। কারণ এরমধ্যে বাজারের ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। তাই শুধু মুনাফার আশায় ডিএসইর ওই চক্রটি নতুন মেম্বারশিপ ইস্যু করতে দেয়নি। এতে তাদের মুনাফা কমে যাবে। তাই স্টক এক্সচেঞ্জের মেম্বারদের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। তার মতে, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ এসএলআর ২০ শতাংশ হওয়া উচিত। কিন' বর্তমানে তা সাড়ে ১৮ শতাংশ। এখান থেকেও এসএলআর কমানোর জন্য রাস্তায় মিছিল হচ্ছে। ড. ফরাস উদ্দিন আরো বলেন, অডিট রিপোর্টে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হলে স্বতন্ত্র কোম্পানির স্বতন্ত্র পরিচালকদের অডিট কমিটির চেয়ারম্যান করতে হবে। এ ছাড়া অমনিবাশ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে হবে।
এসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, বাজারে মূল সমস্যা দরপতন নয়। বাজার যখন পড়ে যাচ্ছে তখন বিভিন্ন প্রণোদনার আশ্বাস দিয়ে কয়েক দিন দাম বাড়ানো হচ্ছে। কয়েক দিন পর আবার কমে যাচ্ছে সূচক। একটি পক্ষকে কারসাজির সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে। অর্থাৎ বিভিন্ন প্যাকেজ বাজারকে আরো অসি'র করছে। তার মতে, বীমা কোম্পানির ক্ষেত্রেও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য আইনকানুন পরিবর্তন করতে হবে।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সমাপনী বক্তব্যে বলেন, পুঁজিবাজারকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে দেয়া উচিত। কারণ-অকারণে এখানে হস্তক্ষেপ বা বেশি বেশি প্রণোদনা পুঁজিবাজারের স্বাভাবিক গতিকে
পুঁজিবাজার বিপর্যয় নিয়ে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রধান খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেছেন, পুঁজিবাজার নিয়ে দেশের প্রধানমন্ত্রীকে চার ঘণ্টা বৈঠক করতে হয়; এটি একটি দেশের জন্য বড় লজ্জার কথা। এখানে পুঁজিবাজারের শৃঙ্খলা ফেরানোর দায়িত্ব থাকার কথা এসইসির (সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন)। কিন' অর্থ মন্ত্রণালয় ও এসইসি নিজেদের ব্যর্থতা ঢাকতে খোদ প্রধানমন্ত্রীকে এতে সম্পৃক্ত করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর উচিত ছিল সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের চাকরি থেকে অব্যাহতি দেয়া। কিন' তিনি খুবই উদার মন নিয়ে পুঁজিবাজারের শৃঙ্খলা রক্ষায় এগিয়ে এলেন। পৃথিবীর কোনো দেশে এর নজির মিলবে না। আর বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. ফরাস উদ্দিন বলেছেন, বর্তমানে আইনে ব্যাপক দুর্বলতা রয়েছে। এই দুর্বলতার সুযোগে ডিএসইর ২৫ থেকে ৩০ জন মেম্বার বাজার নিয়ে খেলছেন। গতকাল পুঁজিবাজার নিয়ে বেসরকারি গবেষণা সংস'া সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকে তারা এ কথা বলেন।
তীব্র হতাশা ও ক্ষোভের সাথে ইব্রাহিম খালেদ বলেন, সরকার পুঁজিবাজারে আসলে যা ঘটেছে তা আড়াল করার চেষ্টা করছে। অব্যাহত দরপতন মোটেও তারল্য সঙ্কটের জন্য নয়, বরং আস'ার সঙ্কটের কারণে ঘটেছে। আর এ আস'াহীনতা সৃষ্টি হয়েছে তদন্ত প্রতিবেদনের সুপারিশগুলো বাস্তবায়নে ধীরগতির কারণে। যাদের কারণে পুঁজিবাজার ক্ষতিগ্রস্ত হলো তাদেরকেই দায়িত্ব দেয়া হলো সঙ্কট নিরসনে।
সিপিডির সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন সাবেক অর্থমন্ত্রী এম সাইদুজ্জামান, এসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী, সাবেক সচিব সিদ্দিকুর রহমান, বিআইবিএমের মহাপরিচালক ড. তৌফিক আহমেদ, আওয়ামী লীগ নেতা মাহমুদুর রহমান মান্না, পূবালী ব্যাংকের চেয়ারম্যান হাফিজ মজুমদার, সংসদ সদস্য ফজলুল আজিম, সৈয়দ আলী আশরাফ, এবিবির সভাপতি কে মাহমুদ সাত্তার, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট আহসানুল ইসলাম, চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) প্রেসিডেন্ট আল মারুক খান, এইমস ফাস্ট মিউচুয়াল ফান্ডের এমডি ইয়াওয়ার সায়ীদ, অগ্রণী ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক বজলুল হক এবং সিপিডির নির্বাহী পরিচালক ড. মোস্তাফিজুর রহমান। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস'াপন করেন সিপিডির সিনিয়র রিচার্স ফোলো ড. খোন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক ডেপুটি গভর্নর বর্ষীয়ান অর্থনীতিবিদ খালেদ আরো বলেন, পুঁজিবাজার বিপর্যয়ের পর সরকার তদন্ত কমিটি গঠনের সাথে সাথে অর্থমন্ত্রীর পক্ষ থেকে নিশ্চয়তা দেয়া হয় এবারের এ রিপোর্ট ৯৬ সালের পরিণতি ভোগ করবে না। অথচ রিপোর্ট যখন জমা দেয়া হয় তখন খোদ অর্থমন্ত্রীর পক্ষ থেকে বলা হয় যে রিপোর্ট অনুমাননির্ভর এবং এখানে এমন কিছু শক্তিশালী ব্যক্তির নাম রয়েছে যাদের নাম প্রকাশ করা যাবে না। তিনি প্রশ্ন রাখেন, রাষ্ট্রের চেয়ে শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে এরা আবার কারা! অথচ তাই ঘটেছে। আর যাদের সম্পর্কে প্রতিবেদনে সরকারকে সতর্ক করা হলো ক’দিন পর দেখা গেলো তাদের কাউকে কাউকে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে বাজার সি'তিশীল করার। তাহলে এ বাজার কিভাবে ভালো হতে পারে। সরকারের এসব বিষয়ই আস'ার সঙ্কট সৃষ্টি করেছে পুঁজিবাজারে। আর সরকার এ সঙ্কটকে দেখাতে চেষ্টা করছে তারল্য সঙ্কট হিসেবে, যেটা আদৌ সত্যি নয়।
খোন্দকার ইব্রাহিম খালেদ বলেন, তদন্ত প্রতিবেদনে এসইসির তৎকালীন চেয়ারম্যান, একজন সদস্য ও একজন নির্বাহী পরিচালকের বিরুদ্ধে ব্যবস'া গ্রহণের কথা বলা হলেও দেখা যায় যেসব সদস্যের বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদনে উল্লেখ ছিল না, অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তাদেরকেই প্রথমে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়। এসব বিষয়ই পুঁজিবাজারে নেতিবাচক প্রবণতা তৈরি করেছে, যা প্রকারান্তরে বাজারে আস'ার সঙ্কট তৈরি করে।
আলোচনায় অংশ নিয়ে ড. মির্জা আজিজুল ইসলাম বলেন, এখন কেউ শেয়ারবাজারে ব্যর্থতার দায়িত্ব নিতে চাচ্ছে না। সবাই অন্যের ঘাড়ে দোষ চাপানোর চেষ্টা করছে। তার মতে, বর্তমানে বাজারের দু’টি সমস্যা। তা হলো ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের জ্ঞানের অভাব আর প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের অস্বাভাবিক আচরণ। তার মতে, আইনে এসইসিকে যথেষ্ট স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে। কিন' দেখতে হবে সরকার এসইসিকে ওই পরিমাণ স্বাধীনতা ভোগ করতে দিতে প্রস'ত কি না। তবে মির্জা আজিজ মনে করেন, বর্তমানে শেয়ারবাজার অতিমাত্রায় অবমূল্যায়িত। আর এ অবস'া থেকে বাজার উঠবেই। এ ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের বেশ কয়েকটি পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। এগুলোর মধ্যে রয়েছে, বিনিয়োগযোগ্য সব টাকা শেয়ারবাজারে নিয়ে না আসা, ঋণ বন্ধ করা এবং কোন কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ করবে তা যাচাই করে নেয়া। তিনি বলেন, সরকারের দ্রুত তদন্ত কমিটির রিপোর্টের সুপারিশ বাস্তবায়ন করা উচিত। একই সাথে বাজারে সরবরাহ বাড়ানোর প্রতি জোর দেয়া উচিত।
ড. ফরাস উদ্দিন বলেন, ১৯৬৩ সালে ডিএসইর মেম্বারশিপের দাম ছিল পাঁচ হাজার টাকা। বর্তমানে তা ১০৫ কোটি টাকা। কারণ এরমধ্যে বাজারের ব্যাপক চাহিদা বেড়েছে। তাই শুধু মুনাফার আশায় ডিএসইর ওই চক্রটি নতুন মেম্বারশিপ ইস্যু করতে দেয়নি। এতে তাদের মুনাফা কমে যাবে। তাই স্টক এক্সচেঞ্জের মেম্বারদের স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে। তার মতে, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশ এসএলআর ২০ শতাংশ হওয়া উচিত। কিন' বর্তমানে তা সাড়ে ১৮ শতাংশ। এখান থেকেও এসএলআর কমানোর জন্য রাস্তায় মিছিল হচ্ছে। ড. ফরাস উদ্দিন আরো বলেন, অডিট রিপোর্টে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হলে স্বতন্ত্র কোম্পানির স্বতন্ত্র পরিচালকদের অডিট কমিটির চেয়ারম্যান করতে হবে। এ ছাড়া অমনিবাশ অ্যাকাউন্ট বন্ধ করতে হবে।
এসইসির সাবেক চেয়ারম্যান ফারুক আহমেদ সিদ্দিকী বলেন, বাজারে মূল সমস্যা দরপতন নয়। বাজার যখন পড়ে যাচ্ছে তখন বিভিন্ন প্রণোদনার আশ্বাস দিয়ে কয়েক দিন দাম বাড়ানো হচ্ছে। কয়েক দিন পর আবার কমে যাচ্ছে সূচক। একটি পক্ষকে কারসাজির সুযোগ করে দেয়া হচ্ছে। অর্থাৎ বিভিন্ন প্যাকেজ বাজারকে আরো অসি'র করছে। তার মতে, বীমা কোম্পানির ক্ষেত্রেও পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের জন্য আইনকানুন পরিবর্তন করতে হবে।
ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য সমাপনী বক্তব্যে বলেন, পুঁজিবাজারকে তার নিজস্ব গতিতে চলতে দেয়া উচিত। কারণ-অকারণে এখানে হস্তক্ষেপ বা বেশি বেশি প্রণোদনা পুঁজিবাজারের স্বাভাবিক গতিকে