ছেকেন্ড ইয়ার, সাল ২০০৮। সিওমেক শামসুদ্দীন ক্যান্টিনের কলিকাল চলে তহন। তহন যারা ক্যান্টিন চালাইত, তাগোরে আমার খুব রহস্যময় মনে অইত, আমার মনে অইত এগোর আসলে অইন্য কোনো পেশা আছে, ক্যান্টিনে নিতান্ত বাধ্য অইয়া এমনেই ৩-৪ ঘন্টা সময় দেয়।
যাউক, ক্যান্টিন বা নিম্নমানের হোটেলের খিচুড়ি মানেই অইল হলুদ-দেওয়া ভাত, আমার ফিলিস্তিনি বন্দু তামের মোহাম্মদ 'খিচুড়ি' নাম জানত না, ১ম থাইকাই জিনিসটা খাইয়া হেতে নাম দেয় 'ইয়েলো রাইছ'। শামসুদ্দীন হোস্টেল ক্যান্টিনে এই ইয়েলো রাইছ খাইতে খাইতে অতিষ্ঠ হইয়া পড়ি।
১দিন ইয়েলো রাইছ খাইয়া বিল দেওনের সময় রুমমেইট শ্রীমান অতনু দাস ক্যান্টিন-মামারে জিগাইয়াই ফালায়, "মামা কন তো দেহি খিচুড়ি বানাইতে কী কী লাগে?"
মামা সম্ভবত বিপদ আঁচ কইরা ফালায়।
কয়, "এই তো চাইল পিঁয়াজ হলুদ মরিচ লবণ তেল..."
দাস কয়, "আর কিচ্ছু লাগে না?"
মামা আশ্চার্য অইয়া কয়, "আর কী!?"
দাস কয়, "ডাইল লাগে না?"
মামা যেমুন নিতান্ত অনিচ্ছায় মিনমিন কইরা কয়, "এঁউঁউঁ... তা ডাইল দেওন যায় অবৈশ্য!"
আমরা হাসমু না কানমু না চিল্লামু বুইঝা পাই না!
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ রাত ২:১৫