somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঘুরে এলাম বগুড়া....

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ১০:১৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

রাত বাজে তখন ১০.৩০,আমরা ৪ বন্ধু মিলা এক চায়ের দোকানে আড্ডা দিতেছিলাম।হঠাৎ এক ফ্রেন্ডে কইল দোস্ত অনেক দিন কোথাও ঘুরতে যাইনা; চল মেহেদির (আমাদের এক বন্ধু যার বাড়ি বগুড়া)বাড়ি থেকে ঘুরে আসি,আমি কইলাম যামূনে এক সময়..এই টাইমে আরেক ফ্রেন্ডে কইল 'চল এখনি যাই মাঝখানে একদিন থাকমু পরদিন চইলা আসমু' আমি মানা করতে যাইতে ছিলাম কিন্তু হারামিগুলাX( সব রাজি হইয়া গেল,তো আমার আর কি করার অনিচ্ছা সত্তেও যাইতে রাজি হইলাম/:)তো আসেন কথা না বাড়াইয়া কামের কথায় আসি...রাত ১১.৩০ টায় একটা লোকাল বাসে উঠলাম..নামটা ঠিক মনে করতে পারতাছিনা যাই হোক সকাল ৬.৩০ টায় বগুড়ার মহাস্থানগড়ে আমাদের নামাইয়া দিল।আসার সময় যতটা বিরক্তি নিয়া আসছিলাম এখানে এসে ততটাই মুগ্ধ হলাম।সকালের নাস্তা সেরে আমরা মহাস্থানগড় দেখার জন্য রওনা দিলাম

মহাস্থানগড়ের পাশেই একটা জাদুঘর আছে।জাদুঘরে অনেক পুরাকির্তী ও মূর্তির সমাহার।সবগুলো জিনিষই ৫/৬ শ বৎসর আগের ।এর মধ্যে আছে বিষ্ণু মূর্তি,শিব লিঙ্গ,ব্যবহারিক জিনিষপত্র,অলংকার,মনসা মূর্তি,গনেশ আরো অনেক কিছু।জাদুঘরে মোবাইল ব্যবহার নিষিদ্ধ।জাদুঘর দেখা শেষ করে আমরা মহাস্থানগড়ে যাই,পুরাকির্তী সম্বলিত যেরকম এক ধ্বংসস্তুপ দেখব বলে ভেবেছিলাম আসলে তার কিছুই এখন আর অবশিষ্ঠ নেই..তারপরও মহাস্থানগড় আমাদের মুগ্ধ করেছে তার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দ্বারা।

জাদুঘরের পাশে গোবিন্দভিটা নামে একটা জায়গা আছে ,বলা হয়ে থাকে এখানে দুটি মন্দির ছিল।দুপুরের খাওয়া দাওয়া শেষে আমরা রওনা দিলাম বেহুলার বাসর ঘর দেখার জন্য।মহাস্থানগড় থেকে বেহুলার বাসর ঘরে টমটমের ভাড়া মাথাপিছু ৮ টাকা।এটি মূলত একটি বৌদ্ধ স্তম্ভ যা সম্রাট অশোক নির্মাণ করেছিলেন বলে মনে করা হয়। স্তম্ভের উচ্চতা প্রায় ৪৫ ফুট। এটি বেহুলার বাসর ঘর নামেই বেশি পরিচিত।দূর থেকে একে দেখলে মনে হয় যেন হাজার বছরের কোন ঘূমন্ত রাজপূরি।
এরপর আমরা গেলাম হযরত শাহ সুলতান মাহমুদ বলখী (র)এর মাজার শরীফে ।এটি মহাস্হানগড় থেকে পশ্চিমের দিকে সমান্য দূর।বিকাল ৫ টার সময় আমরা ফ্রেন্ডের বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেই..রাত্রে আমরা হাটবাজারে যাই বগুড়ার বিখ্যাত দই খাওয়ার জন্য..এখানে অনেক ধরনের দই দেখলাম তবে আমার কাছে সবচেয়ে ভাল লাগছে খিরসাপাতি দই। এইতো....আর কত লিখমু..পরদিন দুপুরে আমরা ঢাকায় ফিরিয়া আসি।
২টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×