লিংক
একটি স্থানিয় পত্রিকায় চোখ বুলাতেই এই সিন দেখার পর আপনাদের সাথে নিউজটা সহ শেয়ার করলাম।
এক সপ্তাহ ধরে কক্সবাজার জেলা জুড়ে চলছে অবৈধ মোটর সাইকেল পাকড়াও অভিযান।
ফলে রেজিষ্ট্রেশনবিহীন মোটর সাইকেল চালকেরা বিপাকে পড়েছেন। তবে নানা পন্থায় অবৈধ মোটর সাইকেল রাস্তা নামাচ্ছেন অনেকেই। খোদ পুলিশের মোটর সাইকেল চলছে নাম্বার প্লেট ছাড়া। জানা গেছে, সাম্প্রতিক সময়ে জমি বিক্রির দালালী, ইয়াবা বাণিজ্য আর মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসীদের পাঠানো অর্থে জেলা জুড়ে নতুন নতুন মোটর সাইকেল কেনার হিড়িক পড়েছে। তবে এসব মোটর সাইকেলের রেজিষ্ট্রেশন করানো নিয়ে মাথা ঘামান না তারা। অন্যদিকে চোরাই পথে আসছে ১৫০ সিসি/২০০সিসি ক্ষমতাসম্পন্ন মোটর সাইকেল। বিআরটিএ সূত্রে জানা গেছে, দেশে এই উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মোটর সাইকেল আমদানী নিষিদ্ধ। ফলে এইসব মোটর সাইকেল রেজিষ্ট্রেশন করানোর কোনো সুযোগ নেই। অন্যদিকে দেশের বিভিন্ন্ স্থানে ছিনতাই করা মোটর সাইকেল নিয়ে আসা হচ্ছে কক্সবাজারে। শহরের বখাটে যুবকেরা মূলতঃ ছিনতাইকৃত এবং উচ্চগতির মোটর সাইকেল চালায়। ঈভ টিজিং, ভ্রাম্যমান মাদক বিক্রি এবং ছিনতাইয়ের কাজে ব্যবহার করা হচ্ছে এইসব চোরাই ও উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মোটর সাইকেল। পুলিশের চোখে ধুলা দিতে ঢাকার ভূয়া নাম্বার প্লেট লাগানো থাকে এসব মোটর সাইকেলে। এদিকে গত বৃহস্পতিবার থেকে কক্সবাজার জেলা জুড়ে চলছে অবৈধ মোটর সাইকেল আটক অভিযান। এই অভিযান থেকে বাঁচতে অবৈধ মোটর সাইকেল আরোহীরা নাম্বার প্লেটে লাগাচ্ছে নানা পেশাগত পরিচিতি। কেউ লাগাচ্ছে “সাংবাদিক” কিংবা “প্রেস”, কেউ লাগাচ্ছে “ছাত্রলীগ”। এমনকি নাম্বার প্লেটে “পুলিশ“ লিখেও চালানো হচ্ছে অবৈধ মোটর সাইকেল। তবে ছাত্রদল কিংবা বিরোধী দলের পরিচয় সম্বলিত কোনো নাম্বার প্লেট দেখা যাচ্ছে না কোনো মোটর সাইকেলে। সচেতন এক ব্যক্তি মন্তব্য করেছেন, এইসব অবৈধ মোটর সাইকেলে ছাত্রদল, যুবদল কিংবা বিরোধীদলের পরিচয় থাকলে আইনের সঠিক প্রয়োগ হতো।
এদিকে কক্সবাজার ট্রাফিক পুলিশ অফিস সূত্রে জানা গেছে,ক্ষমতাসীন দলের নেতাদের চাপে আটককৃত অনেক মোটর সাইকেল ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছেন তারা।
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:৩৩