somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ঢাবি আইনবিভাগ ও কালক্ষেপণ

০৭ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


উপরের শিরোনাম দেখে অনেকেই হয়তো লেখার বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা করতে পারেন । আমি উপরের ''আইনবিভাগ ও কালক্ষেপণ'' নামের শিরোনামটি দিয়ে আসলে আইনবিভাগের সাথে কালক্ষেপণের যে নিবিড় সম্পর্ক বিদ্যমান তা বোঝানোর চেষ্টা করলাম ।আইনবিভাগের সাথে কালক্ষেপণের সম্পর্কের বিষয়টা কয়েকটি উদাহরণের সাহায্যে ব্যাখ্যা করা যাক ।
২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষের সকল বিভাগের ক্লাস শুরু জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে কিন্তু আইনবিভাগের ক্লাস শুরু মে তে। আইনবিভাগ=কালক্ষেপণ ( প্রমাণিত)
সকল বিভাগের পরীক্ষার ফলাফল দেওয়া হয় ৩-৪ মাসের মধ্যে কিন্তু আইনবিভাগ ফলাফল দিতে সময় নেয় ৮-১০ মাস ।আইনবিভাগ =কালক্ষেপন ( প্রমাণিত)
২০০৭-০৮ শিক্ষাবর্ষের সবাই ৪র্থ বর্ষের ফাইনাল পরীক্ষা শেষ করবে আগামী জানুয়ারি-মার্চের মধ্যে আর আইনবিভাগের সবাই শেষ করবে জুলাই-আগস্টের মধ্যে ।আইনবিভাগ =কালক্ষেপন ( প্রমাণিত)
গত ০১-১২-১১ শ্রম আইন পরীক্ষা ১২টায় হওয়ার কথা থাকলেও শুরু হয় ২০ মিনিট পর ।আইনবিভাগ =কালক্ষেপন ( প্রমাণিত)
অনেক বই পুস্তকে পেয়েছি সময় চলে গেলে আর ফিরে আসে না , সময়ের মূল্য কোনো কিছু দিয়ে পরিমাপ করা যায় না ।কথাগুলো যে সত্যি তার প্রমাণও বাস্তব জীবনে পেয়েছি ।কিন্তু আইনবিভাগ কর্তৃপক্ষের আচরণ দেখে মনে হয় তারা এসব কথা বিশ্বাস করে না , কেউ বিশ্বাস করুক তাও চায় না । সময় সম্পর্কে তাদের লিখতে দেওয়া হলে লেখাটি হতো এরকম………… সময় অফুরন্ত, সময় একবার চলে গেলে আগামীকাল আবার আসে তাই চিন্তার কোনো কারণ নাই, সময় অপচয় করলে তেমন কোনো সমস্যা হয়না, আইনবিভাগের ছাত্রছাত্রীদের কাছে সময়ের মূল্য থাকা উচিত নয় ……………………।
শুধু কালক্ষেপন নয় পড়াশোনার পাশাপাশি আইনবিভাগ থেকে নিয়ে যাচ্ছি দায়িত্বজ্ঞানহীনতা, উদাসীনতা এবং চাটুকারিতার মত মহৎ গুণ যেগুলো ধরে রাখতে পারলে জীবনে রাতারাতি বড় হওয়া তো পৃথিবীর সহজতম কাজের একটি । তাই বলছি, হে কালক্ষেপণ বিভাগের ছাত্রছাত্রীরা তোমাদের আর কিসের চিন্তা ………।
এইচ.এম.মুনতাসির নিজাম
আইনবিভাগ, ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয় ।
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই জানুয়ারি, ২০১২ রাত ১০:১৫
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মোজো ইদানীং কম পাওয়া যাচ্ছে কেন?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৭


শুনলাম বাজারে নাকি বয়কটিদের প্রিয় মোজোর সাপ্লাই কমে গেছে! কিন্তু কেন? যে হারে আল্লামা পিনাকী ভাট ভাঁওতাবাজিদেরকে টাকা দিয়ে 'কোকের বিকল্প'-এর নামে 'অখাদ্য' খাওয়ানো হচ্ছিলো, আর কোককেই বয়কটের ডাক... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিউ ইয়র্কের পথে.... ১

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৫৮

আজ (১০ মে ২০২৪) রাত দুইটা দশ মিনিটে নিউ ইয়র্কের পথে আমাদের যাত্রা শুরু হবার কথা। এর আগেও পশ্চিমের দেশ আমেরিকা ও কানাডায় গিয়েছি, কিন্তু সে দু’বারে গিয়েছিলাম যথারীতি পশ্চিমের... ...বাকিটুকু পড়ুন

জমিদার বাড়ি দর্শন : ০০৮ : পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১২ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:২৪


পাকুটিয়া জমিদার বাড়ি

বিশেষ ঘোষণা : এই পোস্টে ৪৪টি ছবি সংযুক্ত হয়েছে যার অল্প কিছু ছবি আমার বন্ধু ইশ্রাফীল তুলেছে, বাকিগুলি আমার তোলা। ৪৪টি ছবির সাইজ ছোট করে ১৮ মেগাবাইটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ এবং পরিমার্জিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর মধ্যে সে একজন ।।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ১৩ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৯



আপনারা কতজন Umma Kulsum Popi চেনেন, আমি ঠিক জানি না। আমার পর্যবেক্ষণ মতে, বাংলাদেশে সবচেয়ে ক্রিয়েটিভ এবং পরিমার্জিত কনটেন্ট ক্রিয়েটরদের একজন হলেন উনি। যদি বলি দেশের সেরা পাঁচজন কনটেন্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদিস অস্বীকার করে রাসূলের (সা.) আনুগত্য সম্ভব

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ১৩ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা আনুগত্য কর আল্লাহর, আর আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×