কাল রাতে প্রথম আলোর ওয়েবসাইটে পড়লাম হুমায়ূন আহমেদের "ব্ল্যাক ফ্রাইডে" লেখাটি। পড়ে ভাল লাগেনি। প্রথমত লেখাটিতে ভারসাম্যর অভাব টের পেলাম। আমেরিকার ব্ল্যাক ফ্রাইডের কেনাকাটার ধুম্ নিয়ে কথা বলতে শুরু করে উনি ওনার জ্যামাইকাবাসী বন্ধুকে টেনে আনলেন। আরও কিছু ব্যপারও ছিল। যেমন, উনি যে পল্লীগীতি শিল্পীর কথা তার লেখাতে উল্লেখ করেছেন, তিনি আর কেউ নন, তিনি মোস্তফা জামান আব্বাসী। মোস্তফা আব্বাসীর ছোট মেয়ে আজকে জানালো যে তার বাবা সেই সময় শুধু একজন শিল্পী ছিলেন না, এক সময়কার অতি মেধাবী ছাত্র আব্বাসী সেই সময় একটি মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীর জিএম ছিলেন। একজন জিএমের মরিস মাইনর চালানো কোন বিশাল ব্যপার ছিল না সেসময়। বোঝা গেলো যে হুমায়ূন আহমেদের লেখাটি পড়ে মোস্তফা জামান আব্বাসীর পরিবার দু:খিত হয়েছেন। দু:খ পাওয়াটাই হয়তো স্বাভাবিক।
উনি একজন প্রিয় লেখক, প্রিয় লেখকেরা যখন ক্ষুদ্রতার পরিচয় দেয় তখন অনেক সময় সেটি পীড়াদায়ক। অবশ্য ভুলত্রুটি তো সব মানুষেরই কমবেশি হয়।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১২ রাত ৩:৩২