somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শীতের সকাল

০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০১১ সন্ধ্যা ৬:২৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

সুন্দরকে কে-না ভালবাসে। সৌন্দর্যের পুজারী সকলে। সুন্দর জিনিসটিকে নিজের কাছে ধরে রাখতে সবাই পছন্দ করে। হোকনা না কেন মনের মাঝে লুকানো ভালবাসার মানুষটি, হোকনা কেন কোন প্রিয় জিনিস। প্রকৃত জিনিসটি প্রতিটি ঋতুর মাঝে দেখা যায়। প্রতিটির ঋতুর রয়েছে নিজস্ব সৌন্দর্য। এর মধ্যে একটি হচ্ছে শীতকাল শীতের সাকালে কুয়াশাচ্ছন্ন ভরা আমেজ মজাদায়ক একটা দৃশ্য। আমাদের গ্রামে শীতের সকালের দৃশ্যটা একটু ভিন্ন। শীতের সকালে প্রথম যেটা সবাই প্রত্যাশা করে সেটা হচ্ছে রোদের স্পর্শ। এ এক মজার অনুভূতি। আবার কেউ শীতের ঠান্ডার ভয়ে লেপ মুড়িয়ে বসে থেকে, কিংবা শুয়ে থেকেই সকালে ঠান্ডা শিশিরভেজা আমেজটাকে বিদায় জানায়। যা এই কাজটি করে, আসলে এই কুয়াশাচ্ছন্ন রুপ উপভোগ করা থেকে বঞ্চিত রাখে। এদিকে আবার গ্রামের মানুষ গুলে শীতের ঠান্ডা আবহওয়াকে একটু উৎসবের মত মনে করে। বাড়িতে বাড়িতে আগুনের মিষ্টি -আচ- নেয়ার জন্য আগুন জালানো হয়,ঠিক তথন আগুনের চারপাশে বসে শীত কমানোর চেষ্টা করা হয়। যেখানে একটু সূর্যের কীরণ পড়ে মাটিতে সেখানেও সাবাই বসে নান গল্পে মেতে উঠে। বিশেষ করে আমার সবচেয়ে মনে- নাড়া- দেয় সেই ছোট বেলার কথা। রাত পুরোপুরি ভঅব শেষ হতে পারতোনা, আমি উঠে পড়তাম ভোররাতে তখন আমার প্রথম কাজ ছিল সকালে দৌড় দিয়ে সবার প্রথমে শিউলী ফুল কুড়ানো। মনে হতো সে সময়ে বন্ধুদের সাথে শিউলী ফুল কুড়ানো প্রতিযোগীতা।
তারপরে ছিল-মা-বাবা ও বড়দের কাছে পিঠা খাওয়ার বায়না। কারণ শীতের সকালে আমাদের গ্রামে পিঠা বিক্রি করতে আসতো। তখন পিঠার হাড়ি থেকে সবচেয়ে বড় পিঠটা আমার চাই....চাই......। এই রকম ছিল আমার বায়না।
সাথে ছিল শীতের সকালে মজাদার খাওয়ার খেজুরের রস ও মুড়ি। একসাথে খেতে ভাল লাগতো। সাবই মিলে শীতের পোশাক পরে একসাথে মৌলবি/হুজুরের কাছে কুরআন হাদীস শিথকে যাওয়া এখানো অনেক মনে নাড়া দেয়।

আমার শীতের সময় শীতের পোশাক পরার মজায় ছিল আলাদা ও তাবুও আবার নতুন পোশাক । বিভিন্ন রংঙের কোট,সুয়েটার ,মাপলার,টুপি, ইত্যাদি রয়েছিল আমার মা-বাবার কাছে বায়না।

শীতের দিনে আমি একটি জিনিসকে খূব ভয় পায় । সেটা হচ্ছে পানি। কারণ শীতের সময় পানি থাকে ঠান্ডা। তাই সে সময় গোসল করা ছিল একটি মুসকিল কাজ। এই জন্যে যে -মা-এর কাছে কত বকুনি ও মার খেয়েছি।......


শহরে আমি কাটিয়েছি শীতের দিনগুলো কিন্তু আমার গ্রামের মত মজা নেই। আমার গ্রামই ভাল –আজও আমাকে ভাললাগে। এখনো উপভোগ করি। শীতের দিনগুলো।
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মেট্রোরেল পেয়েছি অথচ হলি আর্টিজানে নিহত জাপানিজদের ভুলে গেছি

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ২৫ শে মে, ২০২৪ সকাল ৯:১১

জাপানে লেখাপড়া করেছেন এমন একজনের কাছে গল্পটা শোনা৷ তিনি জাপানে মাস্টার্স করেছিলেন৷ এ কারণে তার অনেক জাপানিজ বন্ধু-বান্ধব জুটে যায়৷ জাপান থেকে চলে আসার পরেও জাপানি বন্ধুদের সাথে তার যোগাযোগ... ...বাকিটুকু পড়ুন

যুদ্ধে নিহত মনোজ দা’র বাবা

লিখেছেন প্রামানিক, ২৫ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৩৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

১৯৭১ সালের এপ্রিলের ছব্বিশ তারিখ। দেশে তখন ব্যাপক হত্যাযজ্ঞ শুরু হয়েছে। উচ্চ শিক্ষিত এবং কলেজ পড়ুয়া ছাত্রদের নিয়েই বেশি সমস্যা। তাদেরকে খুঁজে খুঁজে ধরে নিয়ে হত্যা করছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিয়ে থেতে ভাল্লাগে।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৫ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৯

আমার বিয়ে বাড়ির খাবার খেতে ভালো লাগে। আমাকে কেউ বিয়ের দাওয়াত দিলে আমার খুসি লাগে। বিয়ের দিন আমি সেজে গুজে বিয়ে বাড়িতে আয়োজন করা খাবার থেতে যাই। আমাদের এলাকায় বর্তমানে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সামুর সামনের পাতার ৯টি পোষ্টে শুন্য (০ ) মন্তব্য।

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৫ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০০



আজকে সকালে একটু দেরীতে ( নিউইয়র্ক সময়, সকাল ৮:২১ ) সামুতে লগিন করলাম; লগিন করে আজকাল প্রথমে নিজের লগিন স্ট্যাটাস পরীক্ষা করি: এখনো সেমিব্যানে আছি। মোট... ...বাকিটুকু পড়ুন

আল্লাহর সাহায্য

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৫ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৪০



দুই মেয়ের পরীক্ষা বিধায় আমার স্ত্রীকে লক্ষ্মীপুর রেখে আসতে গিয়েছিলাম। বরিশাল-মজুচৌধুরীর হাট রুটে আমার স্ত্রী যাবে না বলে বেঁকে বসলো। বাধ্য হয়ে চাঁদপুর রুটে যাত্রা ঠিক করলাম। রাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×