somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জাকির নায়েক কে আমার ভাল লাগে না কেন?(৫)

০৩ রা ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:২২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

*নাস্তিকদের জন্য পড়া নিষেধ।
*তথা কথিত মডার্ন মুসলমানদের (তথা অসমুসলিমদের) পড়া নিষেধ

আমার এই পোস্টের উদ্দেশ্য শুধু মাত্র যে সমস্ত মুসলমান যারা সত্যিকার অর্থেই হুযুর(স.)-এর উম্মত যারা স্বীকার করেন যে হুযুর(স.)-এর তরীকাতেই দুনিয়া ও আখেরাতে শান্তি আর কামিয়াবী আছে তারা যেন জাকির নায়েকের চক্রান্তের ব্যাপারে সাবধান হতে পারেন। আর যারা এর স্বীকার করেন না যে হুযুর(স.)-এর তরীকার ভিতরে পূর্ববর্তী যুগের লোকেদের সফলতা থাকতে পারে কিন্তু বর্তমান আধুনিক যুগে তা অনুসরণীয় নয় তারা বেঈমান। কারন আল্লাহ তাআলা কোরআনকে সর্বকালের প্রত্যেক মানুষের পথ প্রদর্শন কারী হিসাবে পাঠিয়েছেন। আর সেই কোরআন বলেছে: উত্তম চরিত্রের উৎকর্ষের জন্যই আপনাকে(রাসুলকে) পাঠানো হয়েছে। সূরা নূরে উল্লেখ আছে সুন্নতই হেদায়াত। অর্থাৎ রাসুলের তরীকাই আল্লাহ তাআলার কাছে সঠিক পথ। অর্থাৎ রাসুল যেমন পোশাক পড়তেন সেই পোশাকই আল্লাহ তাআলার কাছে সঠিক পোশাক। রাসুল যেভাবে ঘুমাতেন সেই ভাবে ঘুমানোকেই আল্লাহ তাআলা পছন্দ করতেন। আমি নিজে মানতে পারি আর না পারি আমাকেও এই কথা স্বীকার করতে হবে রাসুলের মত ঘুমানোর মধ্যেই আমার দুনিয়া ও আখেরাতে কামিয়াবী আছে। রাসুলের মত পোশাক পড়াতেই আমার কামিয়াবী আছে। কিন্তু কারও যদি এমন অবস্থা হয় যে সে ডান কাতে ঘুমাতে পারেনা। তাহলে সে প্রথমে চেষ্টা করবে যদি না পারে তাহলে যেভাবে পারে সেভাবে ঘুমাবে। কিন্তু উপুর হয়ে ঘুমাবে না। কারন উপুর হয়ে ঘুমাতে রাসুলের নিষেধ আছে। কিন্তু বাম বা চিৎ হয়ে ঘুমাতে নিষেধ নাই। কিছু জিনিস আছে মুস্তাহাব কিছু জিনিস আছে ওয়াজিব কিছু আছে ফরজ। ওয়াজিব, ফরজ পালন না করলে গোনাহগার হতে হবে এতে কোন সন্দেহ নাই। মুস্তাহাব ছেড়ে দিলে কোন গোনাহ হবে না। তবে কেউ যদি বলে এটা এখনকার যুগে মানায় না তাহলে সে শুধু গোনাহগার হবে না বরং তার ঈমান নষ্ট হয়ে যাবে। কারন আল্লাহ তাআলা সরাসরি বলেছেন সুন্নতই হেদায়াত। যাই হোক জাকির নায়েকের ব্যাপারে আরও কিছু লিখছি:
৯। তার লেকচারে খ্রিস্টানরা যে সব বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন তার সব বিষয়ের উত্তর জাকির নায়েক দেন না। যেমন ৫ টা বিষয়ে কথা বললে তিনি উত্তর দেন ৩টা বিষয়ে। যদিও বাকী ২ টা বিষয়ের উত্তরও আছে। এখন ধরুন তার ইন্তেকালের পর যদি খ্রিস্টানরা যদি নতুন মুসলমানদের কাছে গিয়ে বলে দেখ তোমাদের জাকির নায়েকের মত এত বড় জ্ঞানী লোকও এই ২ টা বিষয়ের উত্তর দিতে পারেন নাই। আর তারমত এত বড় জ্ঞানী লোক যখন এর উত্তর দিতে পারেন নাই তাহেল এর কি আর কোন উত্তর আছে? তখন নতুন মুসলমানদের মনে স্বাভাবিক ভাবেই বিশ্বাস হবে যে এই দইটা বিষয়ের কোন উত্তর নাই। তখন তারা পুনরায় খ্রিস্টানদের অনুসরন করা শুরু করবে।

১০। আজকে সারা দুনিয়াতে মুসলমানদের যে দূরাবস্থা তার কারন এই নয় যে মুসলমানদের সংখ্যা কম। বরংচ এর এক মাত্র কারন হল মুসলমানদের ঈমানী শক্তি নাই বললেই চলে। কিন্তু জাকির নায়েকের দাওয়াতী কার্যক্রম শুধু মুসলমান বানানোর জন্য। মুসলমানদের ঈমানী শক্তি বাড়ানোর জন্য না। বরংচ এর আগের পোস্ট গুলো থেকে প্রমানিত হয় যে তিনি মুসলমানদের রাসুল যে দ্বীন রেখে গেছেন তা থেকে মানুষকে বিন্দু পরিমান হলেও দূরে সরিয়েছেন। আরও বেশি প্রমানিত হয় ঐ পোস্ট গুলোতে জাকির নায়েকের অন্ধভক্তদের কমেন্টের মাধ্যমে। যেখানে জাকির নায়েকের অন্ধভক্তদের উক্তি থেকে প্রমানিত হয় যে তাদের ঈমানী শক্তি একে বারেই কম। যেমস একজন কমেন্ট করেছিলেন যে মুসলমানরা আজকে জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চা থেকে দূরে সরে যাওয়ার কারণেই নাকি অন্যান্ন জাতির হাতে বিপর্যস্ত। যেটা ঈমান দুর্বল হওয়ার আলামত। আমার জানা মতে মুসলমানরা বিজ্ঞান নিয়ে আগের থেকে আরও বেশি গবেষণা করছে। কিন্তু করতে পারতেছে না কিছুই। কারন মুসলমানদের সাহায্যের ওয়াদা ঈমান আর আমলের সাথে। এই ক্ষেত্রে দুর্বল হওয়ার কারনেই মুসলমানরা জ্ঞান-বিজ্ঞান, খেলাফতিত্ব বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিপর্যস্ত। কিন্তু পূর্বেকার লোকেরা এসমস্ত ক্ষেত্রে এগিয়ে গিয়েছিলেন ঈমান-আমলের কারনেই। দুনিয়াবী কোন যোগ্যতার কারনে না।
২০টি মন্তব্য ১৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×