ধারাবাহিক প্রতিবেদন
দ্বিতীয় পর্ব
হত্যা-সন্ত্রাস, মানবাধিকার লংঘন
১/ বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের বিচারের রায় কার্যকর করার পথে বাধা সৃষ্টি এবং বঙ্গবন্ধু
হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্তদের রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা দিয়ে পুরস্কৃত করা ;
২/ জেল হত্যার বিচারকার্য যথাযথভাবে না করা;
৩/ বিএনপি-জামাত জোট রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বশবর্তী হয়ে গত সাড়ে চার বছরে
শাহ এ এম এস কিবরিয়া এমপি, আহসান উল্লাহ মাস্টার এমপি, অ্যাডভোকেট
মঞ্জুরুল ইমাম, মমতাজউদ্দিন আহমদ, কৃষক নেতা এস এম আজম, ছাত্রনেতা
সাইফুল রসুল পলাশ, অ্যাডভোকেট খোরশেদ আলম বাচ্চু প্রমুখসহ হাজার হাজার
আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীকে হত্যা এবং লক্ষাধিক নেতা-কর্মীকে আহত ও পঙ্গু করা;
৪/ লক্ষ লক্ষ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মী-সমর্থকদের ওপর হামলা, লুট, অগ্নিসংযোগ,
বাড়ি-ঘর, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান দখল, নির্যাতন এবং ছয় লক্ষাধিক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে ১ লক্ষাধিক মিথ্যা মামলা দায়ের;
৫/ সন্ত্রাসমুক্ত সমাজ গড়ার অঙ্গীকার করেও জোট সরকার জনগণের জানমালের
নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে; বিএনপি-জামাত জোটের রাজনৈতিক প্রতিহিংসা ও
সামাজিক সন্ত্রাসের ফলে সাড়ে চার বছরে ৪০ হাজার ৬৫৮ জন মানুষকে হত্যা এবং
রাজনৈতিক নিপীড়নে ১ লাখ ৬১ হাজার ৭৬৭ জনকে আহত করা;
৬/ গত সাড়ে চার বছরে ৭৭ হাজার ৯৫০ জন নারী, শিশু-কন্যাকে বিএনপি-জামাত
জোটের ক্যাডার ও সন্ত্রাসী কর্তৃক ধর্ষণ, গণধর্ষণ, নির্যাতন, অপহরণ ও পাচার;
৭/ দেশে গড়ে দৈনিক ৯টি করে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হচ্ছে। (মানবাধিকার প্রতিবেদন,
ইত্তেফাক-৩ মে,২০০৬);
৮/ এথনিক ক্লিনজিং : দেশের হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান প্রভৃতি ধর্মীয় সংখ্যালঘুদের
দেশত্যাগে বাধ্য করার লক্ষ্যে বিএনপি-জামাত জোট পরিকল্পিতভাবে অধ্যক্ষ গোপাল
কৃষ্ণ মুহুরী, বৌদ্ধ ভিক্ষু জ্ঞানজ্যোতি মহাথেরো, পুরোহিত মদন গোপাল গোস্বামীর
মতো সংখ্যালঘু স¤প্রদায়ের অসংখ্য নেতৃস্থানীয় ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়েছে।
সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ, আহত করা, নারীদের সম্ভ্রমহানি ও ঘর-বাড়ি, ব্যবসা
প্রতিষ্ঠান দখল করেছে জোট সন্ত্রাসীরা;
৯/ ক্ষমতায় এসেই ৪০ হাজার সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে সাধারণ ক্ষমা প্রদান এবং ৭০
হাজার হাজতি সন্ত্রাসীকে মুক্তি দিয়ে সন্ত্রাসীদের লালন-পালন;
১০/ বিএনপি ক্যাডার পলাতক ফাঁসির আসামি জিন্টুকে ২২ বছর পর প্রধানমন্ত্রী খালেদা
জিয়ার সুপারিশে রাষ্ট্রপতির সাজা মওকুফ।
১১/ ডাকাতি, লুট, দখল, চাঁদাবাজি, ছিনতাই, অপহরণ ২১ লাখ ৩৩ হাজার ২২৯টি।
১২/ বিদ্যুৎ সরবরাহে অনিয়ম, দুর্নীতি রোধ ও দাম কমানোর দাবি জানানোয়
চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে উপর্যুপরি ২০ জন কৃষক হত্যা।
১৩/ রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ, পানি সংকট ও হামলা, গ্রেপ্তারনির্যাতন।
১৪/ জোট সরকার তাদের মেয়াদ শেষ হওয়ার প্রাক্কালে দলীয় সন্ত্রাসী-ক্যাডারদের বিরুদ্ধে
রুজুকৃত সকল মামলা প্রত্যাহার এবং জামিনে মুক্তি দিতে শুরু করেছে। ফলে
সরকারি মদতপুষ্ট সন্ত্রাসী গডফাদারগণ বেপরোয়া হয়ে রাজধানী ঢাকাসহ দেশব্যাপী
খুন, ডাকাতি, রাহাজানি, ছিনতাই, দখল এবং চাঁদাবাজি বাড়িয়েছে।