ঘর হইতে মাত্র দুই পা ফেলিয়া,
জুতা দুইখান পায়ে ঢুকাইয়া...
দেখিতে গেছিলাম পাসের বাসার মাইয়া...
নাম খান যার বিন্দু...
ওর বাপে আইসা কয়...
খাড়া, তোরে দেখাইতেছি আমি নীল নদ আর সিন্ধু!
আমার কি দোষ?
বাড়তেছে বয়স, পারি না রাখতে কন্ট্রোল এ...
হালার বেটায় যদি বুঝত এইটা...
থাকত কি দুঃখ আমার কপালে ?
ঘর হইতে মাত্র দুই পা ফেলিয়া,
পাশের বাসায় সামনে উকি মারিয়া
দেখতে গেছিলাম সালমার বাসায়
তার ছোট বোন শিশির রে...
কোথা থেকে তাহার ভাইজান বাইর হইয়া
আমার সামনে ফুইলা দাড়াইয়া বলে...
"বোন হয় আমার...
আব্বে হালা! চিনছ তুই আমারে?"
দেখতে যামু পাহাড় পর্বত্
দেখতে যামু সিন্ধু...
তাও দেখুম না, কানে ধরছি...
ঘরের সামনের "শিশির-বিন্দু"...
যার ইচ্ছা দেখুক সে গিয়ে...
ফ্রী পয়সাতে "শিশির-বিন্দু"...
আমার কাছে এই ভাল...
অই যে দুরের সিন্ধু...
এক খানা আজব যন্ত্র কিনিয়া...
তাহাতে আমি নজর রাখিয়া...
দেখতেছি সমানে লাল বাড়িতে
রয়েছে আমার সিন্ধু...
সিন্ধুর কাক্কু খুজলেও আমারে
পাবে না একবিন্দু...
ঘর থেকে বেশ ভালই দেখছি...
দরকার কি দু পা ফেলানোর?
বেচারা কবি, হুদাই তুমি...
ঘর থেইকা বাইরে গিয়া দেখছিলা "শিশিরবিন্দু"।
Date:2/12/11 at 1:30 am