somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ডিসিসি ভাগঃ দূর্নীতির বিকেন্দ্রীকরন, অতঃপর.......

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আহারে আমাদের ঢাকা শহরের বর্তমান আর সাবেক মেয়ররা এ নগরীর মানুষের জন্য কি কষ্টটাই না করে গেছেন। এতো বড় ঢাকা শহর, এতো এতো কাজ........ মেয়রদের অবস্হা যেন এনার্জি ড্রিংকের এ্যাডের সেই নায়কের মতই। বিপুল কাজের চাপে দিশেহারা মেয়র আর তার কর্মীবাহিনীর এখন মেন্টাল হওয়াটাই বাকী। এ অবস্হায় নগরপিতার কাছ থেকে নূন্যতম নাগরিক সুবিধা আশা করাই যেন চরম অমনাবিকতা। আসলেই তো, নূন্যতম নাগরিক সুযোগ সুবিধার বিষয়গুলোর চিন্তা আমাদের আমজনতার মাথায় আসে কি করে?
কোথায় আমরা নগরপিতার প্রতিঃ

সহমর্মিতা দেখাব,
তার মাথায় আইস ব্যাগ দিয়ে বলব ভাই মাথা ঠান্ডা রাখেন,
অন্ততঃ নিজেদের গাটের পয়সা খরচ করে তাকে এনার্জি ড্রিংক পান করাব.......ইত্যাদি ইত্যাদি......।

তা না, উল্টো.....সে যাই হোক;

নতুন ডিজিটাল ফর্মূলা এসে গেছে এখন, কি যুগান্তকারী ডিজিটাল ফর্মূলা....ডিসিসি ভাগ, সম্পূর্ন নতুন আঙ্গিকে ডিভাইড এন্ড রুল...রাতারাতি ৫০% কাজের চাপ শেষ....(সাথে সাথে ৫০% উপরি হিসাবের খাতা থেকে গায়েব হয়ে যাবে কি যাবে না তা নিয়ে হয়ত সংশ্লিষ্টরা ইতিমধ্যেই ভাবনা চিন্তা শুরু করে দিয়েছেন....) আর তাতে করে রাতারাতি নাগরিক সেবার মানোন্নয়নের রঙ্গিন ফানুস রীতিমত উদাহরন সহকারে (লন্ডন, ম্যানিলা, অস্ট্রেলিয়া......অবশ্য সেখানকার নগরপিতারা আমাদের নগরপিতাদের মত আকন্ঠ দূনীর্তি নিমজ্জিত কিনা সে বিষয়টা যথারীতি উহ্যই থেকে গেছে) আমাদের আম জনতাদের দেখান শুরু হয়েছে। হায়রে রঙ্গিন ফানুস....।

ডিসিসি কেন ঢাকার নাগরিকদের যথাযথ সেবা দিতে পারছে না এটা আমরা সবাই জানি। যে সব ঠিকাদাররা ডিসিসিতে কাজ করেন তারা আরো ভালভাবেই জানেন যে কিভাবে সেখানে কাজ হয়। কাজ পাওয়া থেকে শুরু করে বিল পাওয়া পর্যন্ত সামনে ঘুষ পেছনে ঘুষ ডাইনে ঘুষ বায়ে ঘুষ, কি বলা যা একে....আবহমান কাল থেকে চলে আসা ঘুষাঘুষি কালচার। কালচারই বটে। কয়েকজন ঠিকাদারদের কাছ থেকে এরকম বেশ কিছু দূর্নীতির উদাহরন শোনার পর একবার মনে হলো পশ্চিমারা তাদের প্রতিপক্ষকে ঘায়েল করার জন্য এতো এতো বোমা বর্ষন করে আর আমাদের এই নগর ভবনে একটা হাজার পাউন্ডের বোমা ফেললেই তো হয়। দুষ্টু গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল (কিংবা নগরভবন) ভাল। কিন্তু পরক্ষনেই ভাবি এই যে ফাইনাল সল্যুশন বা চুড়ান্ত সমাধান টাইপের চিন্তাভাবনা; এতে কি সমাধান হবে? হিটলারের গেটো আর স্টালিনের গুল্যাগ; কত অসংখ্য চুড়ান্তু সমাধানের ঘটনারই না উদাহরন সে সব? সমাধান কি হয়েছে? হয়নি। ইতিহাসই তার সাক্ষী।


আমাদের এখনকার পারিবারিক পরিমন্ডলটাই কেমন যেন....? নীতি নৈতিকতা বা মূল্যবোধের ব্যাপারগুলো নিয়ে হয়ত সেখানে আলোচনা হয় কিন্তু পরিবারের কোন সদস্য যখন সত্যি সত্যি তারপাশে ঘটে যাওয়া নীতিবিরোধী কোন কর্মকান্ড ঘটতে দেখে প্রতিবাদ করতে যায় তখন প্রথম বাধাটা কিন্তু আসে সেই পরিবার থেকেই। মুখে মুখে তুমি নীতিবোধ আর মূল্যবোধের বুলি কপচিয়ে যাও নো চিন্তা কিন্তু কার্যক্ষেত্রে তুমি হবে মূর্তির মতো ভাবমূর্তিধারী, hushhhhh একদম চুপ, মূর্তির মতই না কিছু কানে শুনতে পাও না কিছু বলার ক্ষমতা রাখো, আরো মানুষ আছে না, কি দরকার ঘরের খেয়ে বনের মোষ তাড়ান.....। এই হল আমাদের পারিবারিক শিক্ষা। এই বিকলাঙ্গ মানসিকতা জিইয়ে রেখে গোয়াল শুন্য করলেও দুষ্ট গরুর যোগান কিন্তু বন্ধ হবে না। একপাল দুষ্টু গরুর জায়গা দখল করবে আরেক পাল আরো বড় বড় শিং ওয়ালা আপগ্রেডেড দুষ্টু গরু।


ডিসিসি ভাগ করার যে ফলাফলটা সবচেয়ে দ্রুত পাওয়া যা তা এই লেখার শিরঃনামেই উল্লেখ করা হয়েছে। ওলট পালট করে দে মা, লুটে পুটে খাই। হ্যাঁ আমরা বাঙ্গালীরা ওলট পালট করার এই কাজটা বেশ নিষ্ঠার সাথেই করি আর কিছু না পারি।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১২:৪৬
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জলদস্যুরা কি ফেরেশতা যে ফিরে এসে তাদের এত গুণগান গাওয়া হচ্ছে?

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭


জলদস্যুরা নামাজি, তাই তারা মুক্তিপণের টাকা ফেরত দিয়েছে? শিরোনাম দেখে এমনটা মনে হতেই পারে। কিন্তু আসল খবর যে সেটা না, তা ভেতরেই লেখা আছে; যার লিংক নিচে দেওয়া হলো।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মৃত্যু ডেকে নিয়ে যায়; অদৃষ্টের ইশারায়

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৭ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৩৯

১৯৩৩ সালে প্রখ্যাত সাহিত্যিক উইলিয়াম সমারসেট মম বাগদাদের একটা গল্প লিখেছিলেন৷ গল্পের নাম দ্য অ্যাপয়েন্টমেন্ট ইন সামারা বা সামারায় সাক্ষাৎ৷

চলুন গল্পটা শুনে আসি৷

বাগদাদে এক ব্যবসায়ী ছিলেন৷ তিনি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ঋণ মুক্তির দোয়া

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৯



একদিন রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববিতে প্রবেশ করে আনসারি একজন লোককে দেখতে পেলেন, যার নাম আবু উমামা। রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘আবু উমামা! ব্যাপার... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

রূপকথা নয়, জীবনের গল্প বলো

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৩২


রূপকথার কাহিনী শুনেছি অনেক,
সেসবে এখন আর কৌতূহল নাই;
জীবন কণ্টকশয্যা- কেড়েছে আবেগ;
ভাই শত্রু, শত্রু এখন আপন ভাই।
ফুলবন জ্বলেপুড়ে হয়ে গেছে ছাই,
সুনীল আকাশে সহসা জমেছে মেঘ-
বৃষ্টি হয়ে নামবে সে; এও টের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×