somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অ-সাম শালা

০২ রা ডিসেম্বর, ২০১১ রাত ৩:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জানি, তোদের মহাব্যস্ত জীবনের ফাঁকে সময় করে মামুনের কিংবা তপু-ফরমানের বাসায় কিংবা কোনো রেস্টুরেন্টে আড্ডা দিস। হয়ত আমাকে নিয়ে দুই/একটা কথাও বলিস। আবার সেইটা ফেসবুকে স্ট্যাটাসও মারিস।মাঝে মাঝে এক দুই ঝলক ছবিও দেখতে পাই। এইসব দেখে রাগে আমার পিত্তি জ্বলে যায়। মনে হয় তোদের ধরে যদি কষে দুই/একটা চটকানা দিতে পারতাম তাহলে হয়ত মনের জ্বালা কিছু কম হতো। রাগ করার যথেষ্ট কারণও আছে। সবাই বা কয়েকজন একসাথে হলে আমাকে কি একটা মেসেজ দেয়া যায়না? তখন আমি ভাবতাম আমার বন্ধুরা আমাকে মিস করছে।কাঠখোট্টা এই প্রবাস জীবনে সেটা যে কতটা টনিকের কাজ দিবে সেটা কি একবার ভাবতে পারিস? নাকি মেসেজ দেয়া না দেয়ার মধ্যে কোনো হিসাবের ব্যাপার আছে?? অতটা জটিল হিসাব-নিকাশ আমি বুঝিনা। তোরা তো জানিস, আমি বরাবরের মতো অংকে বড়ই কাঁচা।

কাউকে কাউকে দেখি ফেসবুকে মাফিয়া ওয়ার-টু খেলতে খেলতে হয়রান হয়ে যাচ্ছে। অথচ ওয়ালে লিখলে কিংবা প্রাইভেট মেসেজ দিলে কোনো উত্তর পাওয়া যায় না। এমনকি ৬/৭ বার টেলিফোন করলেও পাওয়া যায়না। এ বড়ই দূঃখজনক। নিজেকে খুব দরিদ্র মনে হয়। কারণ এই বন্ধুরা-ই আমার সম্পদ। নিজের খারাপ সময়ে যদি এই সম্পদ কাজে লাগাতে না পারি তাহলে হতাশ হওয়া স্বাভাবিক।

কেউ কেউ আমাকে রাগানোর জন্য ফেসবুকে মজার মজার দেশী খাবারের ছবি দেয়। রাগ লাগে আবার ভালোও লগে। ভালোলাগাটা প্রথমেই বলি খাবারের সময় আমাকে নিশ্চয় আমাকে মিস করেছে বলেই ছবিটি দিয়েছে।হাউ সুইট! আর রাগটা নিজের উপর, কেন এতকিছু ছেড়ে এই মরার বিদেশ আছি।

আবার কেউ কেউ ফেসবুকে এসে কোনো আওয়াজ ছাড়া উঁকি মেরে যায়। আওয়াজ না দিলেও বোঝা যায় ওরা আছে। মনে করে এইসব ছেলেখেলা। আরে বাবা, ইজ্জ্বতের যদি এতই ভয় তাহলে ফেসবুকে এ্যাকাউন্ট কেনো, ডিলিট করে দিলেই হয়।ঢং করার একটা সীমা আছে।

শুনেছি কেউ কেউ আমার উপর খুব ক্ষেপে আছে।ভোঁতা দা নিয়ে অপেক্ষা করছে কবে আমি বাংলাদেশ যাবো আর আমার ঘাঁড়ে কোপ দিবে। ভোঁতা দা কেনো? আরে ধারালো দাওয়ের আঘাতে তো আমি এক কোপেই শেষ হয়ে যাবো আর ভোঁতা দা দিয়ে আমাকে তিলে তিলে কষ্ট দিয়ে মারা যাবে।একটু মজা করলাম। আসলেই এমন কিছু হওয়ার নয়। সময়ের পরিক্রমায় আমরা হয়ত মজা করা ভুলে গেছি। কেমন জানি জটিলতার পাকে ঘুরপাক খাচ্ছে জীবন। কেউ মজা করে কিছু করলে সেটা থেকে মজা নিতে পারার আমাদের সেই অসাধারন গুন ধীরে ধীরে জং ধরে যাচ্ছে। হয়ত হতে পারে আমরা আর
ছোট নই বলে সংসার কিংবা কর্মক্ষেত্রের হাজারো ঝামেলা আমাদের ছেঁকে ধরেছে। তাই হয়তো এমন জটিলতার সৃষ্টি।

অথচ, তোরা কি ভুলে গেছিস আমাদের সেই মিস্টি মধুর দিনগুলি? কত মজাই না করতাম আমরা। মেডিকেলের পাহাড়ের উপর আমার জন্মদিন পালন করার কথা? টেকনাফের সেই বিখ্যাত ট্যুরের কথা কি মনে আছে? উফ! কি মজাই না করেছিলাম। পতেংগায় বেড়াতে যাওয়ার সেই উত্তেজনাকর মুহুর্তগুলো।ভার্সিটির ট্রেনে সেই ঝড়তোলা গান গাওয়ার কথা কি আজো কখনো কখনো মনে পড়ে?

মনে করছিস আমার হাতে অফুরন্ত সময় আছে বলে বসে বসে এইসব মনে করছি? তাহলে ভুল করছিস। কারণ আমার আসলেই সময় নিয়ে অনেক টানাটানি হয়। তারপরও চেষ্টা করি তোদেরকে মনে করতে, তোদের সথে কথা বলতে। সেই খুনসুঁটি কি ফিরে পেতে পারি না?

অবশ্যই পারি। আগেও করেছি, পরেও করবো। ভাংবো সকল মনের তালা - আমরা অসাম শালা (Awsome Shala)।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। ঋণ মুক্তির দোয়া

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৪৯



একদিন রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম মসজিদে নববিতে প্রবেশ করে আনসারি একজন লোককে দেখতে পেলেন, যার নাম আবু উমামা। রসুল সাল্লাল্লাহু আলইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বললেন, ‘আবু উমামা! ব্যাপার... ...বাকিটুকু পড়ুন

ফিরে এসো রাফসান দি ছোট ভাই

লিখেছেন আবদুর রব শরীফ, ১৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৮

রাফসানের বাবার ঋণ খেলাপির পোস্ট আমিও শেয়ার করেছি । কথা হলো এমন শত ঋণ খেলাপির কথা আমরা জানি না । ভাইরাল হয় না । হয়েছে মূলতো রাফসানের কারণে । কারণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুমীরের কাছে শিয়ালের আলু ও ধান চাষের গল্প।

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪০



ইহা নিউইয়র্কের ১জন মোটামুটি বড় বাংগালী ব্যবসায়ীর নিজমুখে বলা কাহিনী। আমি উনাকে ঘনিষ্টভাবে জানতাম; উনি ইমোশানেল হয়ে মাঝেমাঝে নিজকে নিয়ে ও নিজের পরিবারকে নিয়ে রূপকথা বলে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সভ্য জাপানীদের তিমি শিকার!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ১৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:০৫

~ স্পার্ম হোয়েল
প্রথমে আমরা এই নীল গ্রহের অন্যতম বৃহৎ স্তন্যপায়ী প্রাণীটির এই ভিডিওটা একটু দেখে আসি;
হাম্পব্যাক হোয়েল'স
ধারনা করা হয় যে, বিগত শতাব্দীতে সারা পৃথিবীতে মানুষ প্রায় ৩ মিলিয়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে ভ্রমণটি ইতিহাস হয়ে আছে

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১:০৮

ঘটনাটি বেশ পুরনো। কোরিয়া থেকে পড়াশুনা শেষ করে দেশে ফিরেছি খুব বেশী দিন হয়নি! আমি অবিবাহিত থেকে উজ্জীবিত (বিবাহিত) হয়েছি সবে, দেশে থিতু হবার চেষ্টা করছি। হঠাৎ মুঠোফোনটা বেশ কিছুক্ষণ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×