আজ খুব ভাল লাগছে। শেষ পয়ন্ত অনতত: আ.মালেক চাচার জন্যে কিছু করতে পারলাম।ওনার বড় ছেলের চাকুরি হয়েছে।এই ভাবেই যেন করে যেতে পারি।
আ: মালেক বয়স ৫০ উদ্ধে। জীবিকার তগিদে আজ নিরুপায় হয়ে রিক্সা চালান। বরগুনার অধিবাসি চাকুরি সুত্রে স্হায়ী হয়েচিলেন ফরিদপুর। তিন সন্তান নিয়ে সুখের সংসার ভালই কাটাচ্ছিলেন। ১ম ছেলে পড়াশুনা করছে আনাস্ ফাইনাল ইয়ার, ২য় ছেলে বি,এ এবং ছোট মেয়ে পড়াশুনা করছে বি,এ।চাকুরি করতেন ফরিদপুর জুট ফাইবার কো: তে অফিস সহকারির পদে।সোনালি অতিত এর সোনালি শিল্প আজ আর নেই মিল বন্ধ।সন্ঞিত অথ্র ও কোন চাকুরি না থাকায় নিরুপায়।
অফিস শেষ করে রিক্সা ঠিক করছিলাম তাড়া ছিল।অন্ধকার কোন হতে শুনতে পেলাম কোথায় যাবেন।ডাক শুনে ভাল ভাবে লক্ষ্য করলাম, পোষাক পরিচ্ছেদে ও চেহারায় রিক্সা চালকের কোন ছাপ দেখতে পেলাম না।কিছু চিন্তা না করে ভাড়া ঠিক না করে চড়ে বসলাম।ভেবেছিলাম আমার ধারনা হয়ত ভুল হবে।তার চালনা দেখে বুঝলাম ধারনা সঠিক।আর জানার জন্যে আলাপ শুরু করলাম।
তার এক আকুতি এখনও কানে বাজছে "আমার ছেলে কে কি একটা চাকরি দিতে পারেন আর পারছি না বয়স ও ফুরিয়ে আসছে জানিনা কতদিন চলতে পারব?"। কথা দিতে পারলাম না। যোগাযোগ রাখতে বললাম আমার নম্বরে।জানিনা কি করতে পারবো?