চৈনিক খাদ্যের স্বাদ যারা নিতে চান তাদের জন্য ‘মেইনল্যান্ড চায়না’ হতে পারে আদর্শ জায়গা। ঢাকা থেকে উত্তরা যেতে জসীমউদ্দীন মোড় পার হলেই বামদিকে সিয়াম টাওয়ার।এই অট্টালিকার ১৬ তলাতেই রেস্তোরাঁর অবস্থান। নিচতলা দিয়ে ঢুকতেই মিলবে চীনা পরিবেশ। উপরে ওঠার জন্য রয়েছে তাদের নিজস্ব লিফট।
Published : 01 Jul 2013, 01:57 AM
২০১০ সালে ঢাকায় রেস্তোরাঁটির যাত্রা শুরু হয়। মেন্যুতে প্রাধান্য পেয়েছে চীনের হুনান, সিচুয়ান ও সাংহাই অঞ্চলের খাবার। বিশেষত্ব হল, এই তিন এলাকার খাবারে মসলা ও ঝালের ব্যবহার ভিন্ন।
ম্যানেজার সত্যজিৎ দাশ বলেন, “ঢাকার মানুষকে আসল চীনা খাবারের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়াই আমাদের রেস্তোরাঁর আসল উদ্দেশ্য। যে কারণে খাবার উপকরণের বড় একটি অংশ আসে চীন থেকে।”
খাবারে চীনা স্বাদ বজায় রাখতেই এই চেষ্টা। হোটেল ম্যানেজমেন্টের উপর ডিগ্রি নিয়ে এই আন্তর্জাতিক চেইন রেস্তোরাঁর সঙ্গে ৯ বছর ধরে থাকা সত্যজিৎ আরও বলেন, “আমরা সবসময় আসল চীনা রেসিপি মেনে চলি। তারপরও কেউ যদি বলেন, কোনো খাবারে ঝাল বা মসলার পরিমাণ কম বেশি করে দিতে, সেই হিসেবেও আমরা খাবার পরিবেশন করে থাকি।”
মেইনল্যান্ড চায়নার আকৃতি গোলাকার। মাঝখানের অংশে বড় পিলার ঘেঁষে তিন চৈনিক যোদ্ধার মূর্তি। পাশেই ছাদ থেকে মেঝে পর্যন্ত চৈনিক নকশা করা ঝালর ঝুলিয়ে নান্দনিক পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে। জায়গায় জায়গায় রাখা আছে সবুজ বাঁশ।
অন্দরসজ্জায় চমক আনার জন্য রয়েছে ঘূর্ণায়মান বসার ব্যবস্থা। কাচের এপাশ থেকে বসে খেতে খেতে সর্বোচ্চতলা থেকে উপভোগ করবেন আশপাশের পরিবেশ। আর রাতে খাবারের সঙ্গে উপর থেকে আলোঝলমল ঢাকার দৃশ্য উপভোগ করার পাশাপাশি ভেসে আসা মৃদু চীনা মূর্ছনায় তৈরি করবে মায়াবী পরিবেশ।
খাবার তালিকায় ‘প্রন হারগাও’ খাবারটি বেশ মজাদার। ‘হট অ্যান্ড সাওয়ার’ সুপের অন্যরকম স্বাদ টের পাবেন প্রতি চুমুকে। প্রথমত সুপটি খানিকটা ঝাল। এছাড়া লুকিয়ে থাকা বিভিন্ন ফ্লেভার আপনার জিভকে আলাদা আলাদা স্বাদে মোহিত করবে।
কাঁকড়ার মাংসের সুপটিও চেখে দেখার মতো। ‘ক্রিসপি চিকেন’-এ মিষ্টি ও মসলার মিশেলে চমৎকার মচমচে ভাবটিও এই খাবারটির স্বাদের অংশ। ‘চিকেন তাইপে’ খাবারেও পাওয়া যাবে ভিন্ন স্বাদ।
বেশ কয়েক ধরনের নুডলস ও ফ্রাইড রাইস থেকে বেছে নিতে পারবেন আপনার নিজের পছন্দ।
সত্যজিৎ বলেন, “আমাদের গেস্টদের সবচাইতে পছন্দের মিষ্টি খাবার হল ‘সিজলিং ব্রাউনি’।”
১১০ জনের বসার ব্যবস্থা আছে এখানে। কাচের জানালার সঙ্গে লাগোয়া ১০টি টেবিলে বসতে পারবেন ২০জন। অর্থাৎ যুগলদের জন্য আদর্শ, যেখানে বাইরের দৃশ্য লাগবে অসাধারণ।
সত্যজিৎ আরও বলেন, “মেইনল্যান্ড চায়নার রিভলভিং অংশটি এমনভাবে সেট করা, যাতে আমাদের গেস্টরা চার কোর্সের খাবার যেখানে বসে খাওয়া শুরু করবেন শেষ করতে করতে সেই জায়গায় ঘুরে এসেই পৌঁছবেন।”
২ জনের জন্য ৪ কোর্স খাবারের খরচ পড়বে ২ হাজার টাকা।