সরকারের মেয়াদের শেষ সময়ে এসে নতুন ১১টি বীমা কোম্পানির অনুমোদন দিয়েছে বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ- আইডিআরএ।
Published : 04 Jul 2013, 02:17 PM
নতুন যে ১১টি কোম্পানির বীমা কার্যক্রম চালানোর অনুমতি পাচ্ছে তার মধ্যে নয়টি জীবন বীমা এবং দুটি সাধারণ বীমা কোম্পানি।
ফজলুল করিম বলেন, মোট ৭৭টি আবেদন থেকে যাচাই বাছাই করে এই ১১টি প্রতিষ্ঠানকে নিবন্ধনের জন্য অনুমোদন দেয়া হয়েছে।
বোর্ড সভায় অনুমোদনের পর সংশ্লিষ্ট কোম্পানি কর্তৃপক্ষকে মতিঝিলে আইডিআরএ কার্যালয়ে ডেকে এনে অনুমোদনপত্রও দেয়া শুরু হয়েছে। অবশ্য সব প্রতিষ্ঠান প্রথম দিন অনুমোদনপত্র নিতে হাজির হতে পারেনি।
অনুমোদন পাওয়া নয়টি জীবন বীমা কোম্পানির মধ্যে রয়েছে মার্কেন্টাইল ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, জেনিট ইসলামী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, বেস্ট লাইফ ইন্স্যুরেন্স, সোনালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স, তাইও সামিট লাইফ ইন্স্যুরেন্স, গার্ডিয়ান লাইফ ইন্স্যুরেন্স, এনআরবি গ্লোবাল লাইফ ইন্স্যুরেন্স, চাটার্ড লাইফ ইন্স্যুরেন্স এবং প্রটেকটিভ লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।
এরমধ্যে তাইও সামিট লাইফ ইন্সুরেন্স জাপান ও বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের যৌথ মালিকানায় গঠিত কোম্পানি।
আর অনুমোদন সাধারণ বীমা কোম্পানি দুটি হচ্ছে সেনা কল্যাণ ইন্স্যুরেন্স ও শিকদার ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড।
গত ১০ ফেব্রুয়ারি সরকার ‘বীমাকারীর নিবন্ধন প্রবিধানমালা-২০১৩’ গেজেট আকারে প্রকাশ করে। এরপর ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৫ মে পর্যন্ত নতুন বীমা কোম্পানির নিবন্ধনের জন্য আবেদন সংগ্রহ করা হয়।
এই সময়ের মধ্যে নতুন লাইসেন্স পাওয়ার জন্য ৭১টি জীবন বীমা কোম্পানি এবং ৬টি সাধারণ বীমা কোম্পানির আবেদন আইডিআরএর কাছে জমা পড়ে। যাচাই বাচাইয়ের পর গত ১৬ থেকে ২০ জুন এসব আবেদনের ওপর শুনানি হয়।
বুধবার আইডিআরএর চেয়ারম্যান এম শেফাক আহমেদ অনুমোদনের বিষয়টি চূড়ান্ত করতে অর্থমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করেন।
বর্তমানে দেশে সরকারি-বেসরকারি মিলিয়ে মোট ৬১টি বীমা কোম্পানি কাজ করছে। এর মধ্যে সরকারের জীবন বীমা কর্পোরেশনসহ ১৯টি জীবন বীমা এবং সাধারণ বীমা কর্পোরেশনসহ ৪২টি সাধারণ বীমা সেবা দেয়।
ফজলুল করীম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নতুন বীমা কোম্পানিগুলো কার্যক্রম শুরু করলে বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়ার মাধ্যমে বীমা খাতের মানোন্নয়ন হবে বলে আমরা আশা করছি।”