somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অনলাইনে জগতে ঠাটাইয়া থাপ্পর মারা,পুটু মারা,জিহাদ করা ইত্যাদি কাজগুলো কোন রকম পরিশ্রম ছাড়াই কেবল কিবোর্ড চাইপাই করা যায়

২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



অনলাইনে জগতে ঠাটাইয়া থাপ্পর মারা,পুটু মারা,জিহাদ করা ইত্যাদি কাজগুলো কোন রকম পরিশ্রম ছাড়াই কেবল কিবোর্ড চাইপাই করা যায় ।বাস্তব জীবনে এরাই হয়ত তেলাপোকার ভয়ে সিলিং ধইরা ঝুলে থাকে ।সবার কথা বলছি না কিছু কিছু মানুষের ফেসবুকিয় জিহাদ আর বাস্তব জীবনের কর্মকান্ড দেইখা তাই মনে হয় ।একটা গল্প বলি :এক লোক মাথায় গুলি খেয়ে মরছে,চারিদিকে কান্নাকাটি,হাহাকার আর আর্তনাদ ।এর মধ্যে আসল এক শুভাকাঙ্খি ।এসেই মৃত মানুষটির পুত্রের হাত ধরে বলল "বাবা কাইন্দো না তোমার বাপের কপাল দেখছ একটুর জন্য চোখটা বাইচ্চা গেছে !এমন শুভাখানকি আমাদের আশপাশেই শিকড় গজিয়ে বসে আছে ।এদের থেকে সাবধান থাকবেন ।
শাহবাগ আন্দোলনের পক্ষে বিপক্ষে কোটি কোটি শব্দ খরচ করা হয়েছে ।লাভের গুড় গেছে মোবাইল কম্পানীর ঘরে !পক্ষের মধ্যে আবার ভাগ তৈরি হয়েছে ।কেউ হোমিওপ্যাথিক ঔষধের পক্ষে কেউ ডাইরেক্ট এন্টিবায়োটিক এর পক্ষে ।বিকেলে বলছিলাম, যেহেতু স্বর্গ নরকের মধ্যে কোন নো ম্যানস ল্যান্ড নাই তাই ন্যায় অন্যায়ের মধ্যেও কোন নিরপেক্ষ অবস্থান নাই ।তাই নিজের অবস্থান পরিস্কার করার প্রয়োজন বোধ করছি ।আমি ধীরে চলো নীতিতে বিশ্বাসী ।

কেন ?
প্রজন্ম চত্ত্বরের বেশীর ভাগ প্রতিবাদকারী হল একেবারে সাধারন মানুষ ।যাদের গায়ে কোন রাজনৈতিক লেবেল লাগানো নাই ।সিংহভাগই স্কুল কলেজে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুন যুবক যুবতী ।এরা কোন রাজনৈতিক দলের পক্ষ হয়ে তাদের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে আসেনি ।এসেছে কেবল তাদের চেতনার জায়গা থেকে প্রতিবাদ জানাতে ।৩০ লাখ শহীদের এই বাংলায় তারা আর একমুহুর্ত রাজাকারদের দেখতে চায় না ।এরা একেবারেই সাধারন মানুষ ।এরা কখনও মিছিল মিটিং পিকেটিং হামলা মারামারির মধ্যে জড়ায়নি ।যে যুদ্ধে তারা নেমেছে তাতে জয়ী হওয়াটা অনেক দুরের পথ । প্রতিপক্ষ কেবল জামাত শিবির নয় আরো অনেক যা আস্তে আস্তে প্রকাশিত হচ্ছে ।একটি সামান্য মানববন্ধন থেকে যখন লক্ষ মানুষের জনসমুদ্র তৈরি হল তখনই বুঝলাম আর ফিরে যাবার পথ নাই ।বাঙ্গালী তাদের অবস্থান জানিয়ে দিয়েছে এবার তা বাস্তাবায়নের কাজ আমাদের ।হুট করে কোন কঠোর কর্মসুচী দিলে তা পালন করার সামর্থ আমাদের আছে কিনা সেটা আগে বুঝতে হবে ।আমরা তো জামাত বি এন পি না যে গুলশান অফিসে বসে হরতালের ডাক দিলাম কাওরান বাজারে কিছু বাস পুড়িয়ে দিলাম,পরদিন হরতাল সফল হয়ে গেল ।জনতাই আমাদের একমাত্র অস্ত্র, স্লোগানই আমাদের প্রতিবাদের হাতিয়ার ।আচ্ছা ধরুন প্রধানমন্ত্রীর অফিস ঘেরাও এর কর্মসুচী দেওয়া হলো ।এতদিন পুলিশকে ফুল দিয়েছেন সেই পুলিশ কিন্তু আমাদের তখন ছেড়ে দেবে না ।আর জামাত শিবিরের গুপ্তহত্যাকারীরা তো আছেই ।ঘেরাও করতে সেদিন কতজন কে রাস্তায় পাবেন ?আচ্ছা ধরে নিলাম লক্ষ মানুষ একত্রিত হবে ।প্রধান মন্ত্রীর অফিস ঘেরাও করতে যাব আমরা ।সেদিন পুলিশ নিশ্চয়ই আমাদের জন্য ফুল নিয়ে বসে থাকবে না ।এত বড় মুভমেন্ট সামলাতে নিশ্চিত গুলি করা হবে ।হয়ত আমরা দু দশজন মারা যাব ।প্রতিবাদে ফেটে পড়বে বাংলাদেশ ।সত্যি বলছি আর ক্ষমতায় থাকা সম্ভব হবে না এই সরকারের।পতন ঘটবে নতুন সরকার আসবে ।কিন্তু তাতে তো আমাদের আলটিমেট অবজেকটিভ তো পুরন হবে না ।শহীদের সংখ্যাই কেবল বাড়বে । নিশ্চয়ই আমরা নিরীহ ছাত্রের উপর গুলি করা আম্লিগকে ভোট দেব না ।ধরুন মন্দের ভালো বিম্পিকে পছন্দ করলাম।এবার আপনিই বলুন এই বি এন পি কি কোনদিন রাজাকারদের বিচার করবে ।এই বিম্পি সরকারই কিন্তু জাহানারা ইমামকে রাস্ট্রদ্রোহী বানিয়েছিল ।আচ্ছা বলুন তো,শাহবাগে লক্ষ মানুষের স্রোত যে আজ হাজারে পরিনত হয়েছে এর কারন কি ? আপনার কি মনে হয় বাকী লোকগুলো তাদের স্বাধীনতার চেতনা হারিয়ে কফির কাপে চুমুক দিয়ে বসে আছে ?না,তারা ঠিকই আছে ।প্রয়োজন মতো আবার স্লোগান তুলবে।তার চেয়ে কি এই ভালো নয়,আমরা একটু একটু করে সংগঠিত হই,ক্রমান্বয়ে আন্দোলকে কঠোর করে সরকারকে সবসময় চাপের মধ্যে রাখি তারপর যে কোন সময় সুযোগ বুঝে শেষ আঘাত হানবো ।যাতে সরকার বাধ্য হয় আমাদের দাবী মেনে নিতে ।


সবশেষ একটা কথা বলি আমাদের এই বিভক্তি দেইখা ছাগুদের আনন্দে বোগল বাজানোর কিছু নাই ।সবার আখেরী চয়েজ কিন্তু তুমাগো রাজনীতি শেষ করা ।খালি ধরনটা ভিন্ন ।কেউ তোমাগো পুটু মাইরা শেষ করতে চায় কেউ তোমাগো অন্ডকোষ চাইপা শেষ করতে চায় ।ফলাফল কিন্তু একই ।

শহীদ রুমী স্কোয়াডের প্রত্যেকটা অনশনকারী যোদ্ধাকে জানাই স্যালুট !তোমরা আছো বলেই এখনও স্বপ্ন দেখতে সাহস পাই !

সর্বশেষ এডিট : ২৮ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:২০
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্যাড গাই গুড গাই

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:০৩

নেগোশিয়েশনে একটা কৌশল আছে৷ ব্যাড গাই, গুড গাই৷ বিষয়টা কী বিস্তারিত বুঝিয়ে বলছি৷ ধরুন, কোন একজন আসামীকে পুলিশ হেফাজতে নেয়া হয়েছে৷ পারিপার্শ্বিক অবস্থায় বুঝা যায় তার কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার... ...বাকিটুকু পড়ুন

টান

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১১ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:২২


কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর
বিচ্যুতি ঠেকা‌তে ছু‌টির পাহাড়
দিগন্ত অদূর, ছ‌বি আঁকা মেঘ
হঠাৎ মৃদু হাওয়া বা‌ড়ে গ‌তি‌বেগ
ভাবনা‌দের ঘুরপাক শূণ্যতা তোমার..
কোথাও স্ব‌স্তি নেই আর।
:(
হাঁটুজ‌লে ঢেউ এ‌সে ভাসাইল বুক
সদ্যযাত্রা দম্প‌তি... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরী

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৯

স্বল্প আয়ের লক্ষ্যে যে স্কিলগুলো জরুরীঃ


১। নিজের সিভি নিজে লেখা শিখবেন। প্রয়োজন অনুযায়ী কাস্টোমাইজ করার অভ্যাস থাকতে হবে। কম্পিউটারের দোকান থেকে সিভি বানাবেন না। তবে চাইলে, প্রফেশনাল সিভি মেকারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না

লিখেছেন সোনাবীজ; অথবা ধুলোবালিছাই, ১১ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৫

অহনা বলেছিল, তুমি হারাবে না
অহনা বলেছিল, আমি জানি আমি তোমাকে পেয়েছি সবখানি
আমি তাই নিশ্চিন্তে হারিয়ে যাই যখন যেখানে খুশি

অহনা বলেছিল, যতটা উদাসীন আমাকে দেখো, তার চেয়ে
বহুগুণ উদাসীন আমি
তোমাকে পাওয়ার জন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিয়াল ফিলিস্তিনীরা লেজ গুটিয়ে রাফা থেকে পালাচ্ছে কেন?

লিখেছেন সোনাগাজী, ১১ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১০



যখন সারা বিশ্বের মানুষ ফিলিস্তিনীদের পক্ষে ফেটে পড়েছে, যখন জাতিসংঘ ফিলিস্তিনকে সাধারণ সদস্য করার জন্য ভোট নিয়েছে, যখন আমেরিকা বলছে যে, ইসরায়েল সাধারণ ফিলিস্তিনীদের হত্যা করার জন্য আমেরিকান-যুদ্ধাস্ত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

×