কোরবানির পশুর বর্জ্য আপদ নয়, সম্পদ
১. পশুর রক্ত, নাড়িভুঁড়ি, ট্যানিং চামড়া, ভুসি- এগুলো সরাসরি হাঁস, মুরগি ও মাছের খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
২. প্রক্রিয়াকরণের মাধ্যমেও এগুলো থেকে হাঁস-মুরগি ও মাছের প্যাকেটজাত খাদ্য ও প্রোটিন তৈরি হয়।
৩. পশুর বর্জ্য থেকে বায়োগ্যাস ও উৎকৃষ্ট মানের জৈবসার উৎপন্ন হয়।
৪. হাড় থেকে ওষুধ শিল্পের মূল্যবান উপকরণ তৈরি হয়।
৫. ফেলে দেয়া চামড়া ও হাড় থেকে জিলেটিন, শিরিষ গাম ও জ্বালানি তেল উৎপাদন শুধু বহির্বিশ্বেই নয়, আমাদের দেশেও হচ্ছে।
রক্ষণাবেক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণের অভাবে এ সব মূল্যবান সম্পদ অযত্নে আবর্জনা হিসেবে পরিবেশ দূষিত এবং পানি দূষিত করছে। অন্য দিকে আবর্জনা হিসেবে এগুলোকে অপসারণ করতে গিয়ে মূল্যবান অর্থ ও শ্রমের অপচয় হচ্ছে।
এগুলোকে সম্পদ হিসেবে গ্রহণ করলে অনেক শিল্পকলকারখানা গড়ে উঠবে, কর্মসংস্থান সৃষ্টি হবে, বেকারত্ব কমবে। পোলট্রি ফিড, ফিশ ফিড, ওষুধ শিল্প ও কৃষির অনেক পণ্যের আমদানিনির্ভরতা কমবে। ফলে বৈদেশিক মুদ্রার সাশ্রয় হবে এবং অনেক পণ্য রফতানির মাধ্যমে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জিত হবে।
প্রতিটি সরকার আবর্জনা ব্যবস্পথাপনার ক্ষেত্রে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। বাংলাদেশ পশুর রক্ত ও বর্জ্যকে সম্পদে পরিণত করার লক্ষ্যে দেশী-বিদেশী উদ্ভাবকদের প্রযুক্তি ও পলিসি নিয়ে দীর্ঘ দিন ধরে গবেষণা করে আসছে। এই লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকারসহ সর্বমহলকে সার্বিক সহযোগিতার জন্য ‘আশার আলো বাংলাদেশ’ প্রস'ত রয়েছে।
-------------------------------------
এস এম কাউসার হোসেন
ডিরেক্টর (প্রজেক্ট), আশার আলো বাংলাদেশ