আমার চিন্তায় সব সময় কেন যুদ্ধ থাকে তা নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন করেছেন । আগে উত্তর দিতাম না। কিন্তু এখন দেই।কারণ আমার মনে হয় দেয়া উচিৎ। ১৯৪৮ দেশ মুক্ত হলো বৃটিশ অধিকার থেকে। কিন্তু কোন দেশ? যে দেশ হাজার হাজার মুস্লিম, হিন্দু ,শিখ , পারশি,পাশ্তুন দেখতে চেয়েছিলো এটা কি সেই দেশ। না কি এটা সেই দেশ যাকে বৃটিশ রা চেয়েছিলো।
এর পর এলো একাত্তর। আমরা স্বাধীনতা চাইলাম পেলাম। কিন্তু কোন স্বাধীনতা যেখানে একজন মানুষ মরে গেলে মন্ত্রী বলে আল্লাহর মাল আল্লায় নিছে সে দেশ? নাকি যে দেশে অর্থমন্ত্রী বলেন দেশে কোন অর্থনৈতিক সমস্যা নেই সেই দেশ। এর জন্য আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি যুদ্ধ করার বিপ্লব করার।
বিপ্লব কি ভাবে হবে? অর্থাৎ বিপ্লবের নীল লাল কালা যালা বলেন সেই নকশা। প্রথমে দরকার ১০০০ স্ব শিক্ষিত প্রগতীশীল ভাব্ধারায় আংশিক বিশ্বাসী মানুষ যারা সারা দেশে ছড়িয়ে পরবে শিক্ষা বিস্তারে। ২০০ সিপাহী যারা কাজ করবে বিভিন্ন রেজিমেন্টে এভাবেই বিপ্লব হবে।
না এ ধরণের কল্পনা দিয়ে বিপ্লব সম্ভব নয় । এর জন্য দরকার একটা সংবদ্ধ প্লাট ফরম আর সামরিক শাখা। রাজনৈতিক প্লাটফরমের জন্য সবার আগে দরকার স্বশিক্ষিত মানুষ। আমার কামিলো সিয়েনফিয়েগোসের মতো অক্ষর জ্ঞান হীন মানুষ হলেও চলবে যে বুঝে দেশের কি দরকার। তার কি দরকার। আমার বি এস সি এম এস সি দরকার নাই। আমার হাতি ঘোড়ার দরকার নাই। আর দরকার একটা বিশাল লাইব্রেরি। শোষনের ইতিকথা। যেখান থেকে মানুষ বেরিয়ে আসবে ভারতীয় কেরানী মানষিকতা থেকে। এর পর বিপ্লবের পথে উত্তরণ সম্ভব।