somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পাশের বাসায় ঘটে গেল বর্বর জাহেলিয়াত যুগের পুনারবৃত্তি

২৫ শে নভেম্বর, ২০১১ দুপুর ১২:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মা-বাবা আর ১২‍/১৩ বছরের মেয়ে নিয়ে চমৎকার সংসার। প্রতিদিনের মতো মেয়ে বাবার সাথে খেলা করে, সেই ছোট্ট বেলা থেকে, এতো বড় হয়েছে এখনো বাবার গায়ের উপর আব্বু বলে ঝাপিয়ে পড়ে। বাবা-মেয়ের খেলা দেখে মায়ের মন তৃপ্তিতে ভরে ওঠে। অবুঝ মেয়ে তার বাবাকে যে কতো ভালোবাসে তা ওর মা বুঝতে পারে। পারবেই বা না কেন, আপন রক্ত যে; রক্তের টান পৃথিবীর সবচেয়ে বড় টান।এভাবেই চলতে থাকে দিনের পর দিন বছরের পর বছর।

হঠাৎ বাবার মনে দেখা দেয় কাম বাসনার নতুন চিন্তা, নতুন ভাবনা, নতুন কিছু করা কারন এক বউ তাকে হয়তো তৃপ্ত করতে পারে না; কেনই বা পারবে বাবার শখ প্রায়ই ব্লু ফ্লিম দেখা। অশ্লীল ছবি দেখতে দেখতে তার মন হয়ে ওঠে অশ্লীলতায় পরিপূর্ন, চোখর সামনে ভাসতে থাকে ব্লু ফ্লিমের সেই জঘন্য নারীদের যারা চরম সীমা লংঘনকারী, যারা অভিশপ্ত। যারা এসব অশ্লীল ছবি দেখে বেড়ার তারাও এদের মত আল্লার রহমত বঞ্চিত, তাদের অন্তরকে আল্লাহ মোহর করে দিয়েছেন, তারা আর ফিরবে না। তাই বাবাও আজ চরম সীমা লংঘনকারী।

মা অনেকদিন পরে মার্কেটে যান টুকটাক কিছু কেনা কাটা করতে। মেয়ে প্রতি দিনের মতো স্কুলথেকে ফিরে বিছানার গড়াগড়ি খায়, আপন মনে খেলা করে। বাবার মনে দেখা দেয় জাহেলিয়াত যুগের চিন্ত ভাবনা। যেই ভাবা সেই কাজ, মেয়েকে জোর করে ধর্ষন করে। অতটুকু মেয়ে বাবার এহেন ঘৃণ্য কাজ দেখে বাকহারা হয়ে পড়ে। সে তার বাবাকে কতো ভালোবাসে; তার হৃদয় ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যায়। তার নিষ্পাপ মনের কোনে কালো মেঘের বাসা বাধে। বাকশক্তি হারা মেয়েটা যেন কিছুই করতে পারে না শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে চেয়ে থাকে আর নিরবে চোখ দিয়ে পানি ঝরে পড়ে।

মার্কেট থেকে এসে মেয়েকে বোবা হয়ে বসে থাকতে দেখে মায়ের মনটা কেঁপে ওঠে। কি হয়েছে মা? এমন করে বসে আছ কেন, মন খারাপ? মেয়ের মুখে কোন কথা নেই। মা কাছে আসে, বুঝতে পারে কিছু একটা ঘটে গেছে। আদর করে বুকের মধ্যে টেনে নেয় মেয়েকে, আলতো করে মুখে একটা চুমু দেয়। মায়ের সেই চির মমতা মাখা চুমু খেয়েই মেয়ের চোখের জল বাঁধ ভাঙ্গা জোয়ারের পানির মতো বয়ে চলে দুগাল বেয়ে। মায়ের মন বলে কথা, কি হয়েছে মা? বার বার জিজ্ঞেসা করে কিন্তু কি বলবে ওই ছোট্ট মেয়েটা? ওর মুখের জবান যেন বন্ধ হয়ে গেছে ভিতর থেকে। মা ওর কাপড়ে রক্তের দাগ দেখে বুঝতে পারে, তার মেয়ের জীবনে ঘটে গেছে অনেক বড় অঘটন। কিন্তু তখনো জানে না এই অঘটনের নায়ক কে;

বাবাকে ঘরে না দেখে মা বিচলিত হয়ে ওঠে; সে মেয়ের মুখে সব শুনতে চায়, অবশেষে মেয়ে ডুকরে কেঁদে ওঠে, মাকে সব জানায়। মায়ের চোখে মুখে আগুন জ্বলে ওঠে। এই অপমান, লজ্জা আর ঘৃণা তার মনের কোনো এমন ভাবে বাসা বাঁধে স্বামীর মুখ দেখার আগেই ঝুলান্ত ফ্যানের সাথে নিজের গলা পেচিয়ে মা চির দিনের মতো সবাইকে ছেড়ে চলে যায়। পুলিশ এসে নরপশুটাকে গ্রেফতার করে। জানিনা তার বিচার কি হবে। হয়তো দুই চার বছরের জেল, হয়তেবা খালাশ পেয়ে যাবে স্বাক্ষীর অভাবে।

এদিকে মা-বাবা দু'জনকে হারিয়ে এতটুকু মেয়েই বা এখন কি করবে? তার জীবনতো অভিশপ্তের ন্যায় হয়ে গেল !!! যত দেন বেঁচে থাকবে চোখের সামনে ভেসে উঠবে নরপিচাশ বাবার মুখের ছবি, ঘৃণা ভরে।

আল্লাহ পাক আমাদের চমৎকার বিধান দিয়েছেন তার পবিত্র আল কোরআনের মাধ্যমে। সেখানে রয়েছে বিভিন্ন ঘটনা যা আমারা কোনদিন জানতে পারতাম না যদি না আল্লাহ পাক আমাদের জানাতেন। আল কোরআনের মাধ্যমে আল্লাহ পাক অসংখ্য উদাহরন দিয়েছেন মানব জাতীকে, যেন তারা সঠিক পথে চলতে পারে। সতর্ক করে দিয়েছেন তাদের যারা আল্লাহকে স্বীকার করেন না। যারা তাদের নিজ প্রবৃত্তির অনুসরন করে এবং তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকে। যারা ধর্মীয় শাসন ব্যবস্থাকে মানতে চায় না, যারা আজ কাম প্রবৃত্তির জন্য নিজেদের স্ত্রীকে ছেড়ে অন্যদের বেছে নিয়েছে যা ইসলামে সম্পূর্ন হারাম ও কবিরা গুনাহ। তাদের জন্য রয়েছে সতর্ক সংকেত এবং ভয়াবহ আগুনের শাস্তি। কিন্তু যারা পরকালকে বিশ্বাস করেনা তারা এসকল হুমকি ধামকির পরোয়া করে না বিধায় এমন সব অপকর্ম অহরহ ঘটতে থাকে। আল্লাহ পাক আমাদের সহি সালামতে রাখুন। আমিন
২৬টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আল্লাহর সাহায্য

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৫ শে মে, ২০২৪ রাত ৯:৪০



দুই মেয়ের পরীক্ষা বিধায় আমার স্ত্রীকে লক্ষ্মীপুর রেখে আসতে গিয়েছিলাম। বরিশাল-মজুচৌধুরীর হাট রুটে আমার স্ত্রী যাবে না বলে বেঁকে বসলো। বাধ্য হয়ে চাঁদপুর রুটে যাত্রা ঠিক করলাম। রাত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডয়েজ ভেলে'র প্রকাশিত এই প্রামাণ্যচিত্রটি বেশ উদ্বেগজনক

লিখেছেন ইফতেখার ভূইয়া, ২৫ শে মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার বিভিন্ন বাহিনী থেকে প্রশ্নবিদ্ধ কর্মকান্ডে যুক্ত সৈনিকদের ইউ.এন. এর পিস কিপিং মিশনে পাঠানোর বিষয়ে ইউ.এন. এর কর্মকর্তাগণ বেশ উদ্বিগ্ন। এ বিষয়ে ডয়েচ ভেলে ক'দিন আগেই একটি প্রামাণ্যচিত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুলের চিন্তার কাবা প্রাচ্য নাকি পাশ্চাত্য?

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে মে, ২০২৪ ভোর ৫:০৫


কাজী নজরুলের বড় বিপত্তি তিনি, না গোঁড়া ধর্মীয় লোকের কবি আর অতিমাত্রায় বামের কবি, না হোদাই প্রগতিশীলের কবি। তিনি সরাসরি মধ্যপন্থীর। অনেককেই দেখি নজরুলের কিছু কথা উল্লেখ করে বলেন কাফের।... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘূর্ণিঝড় রিমাল সর্তকতা।

লিখেছেন কাল্পনিক_ভালোবাসা, ২৬ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০৩

প্রিয় ব্লগারবৃন্দ,
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া ঘূর্ণিঝড় রিমাল প্রবল ঘূর্ণিঝড়ে রূপ নিয়েছে এবং ইতিমধ্যে বাংলাদেশের উপকূলের দিকে এগিয়ে আসছে। সংশ্লিষ্ট অঞ্চলগুলোর ব্লগারদের কাছে যদি স্থানীয় ঝড়ের অবস্থা এবং ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিংশ শতাব্দীতে পৃথিবীতে চিরতরে যুদ্ধ বন্ধের একটা সুযোগ এসেছিল!!

লিখেছেন শেরজা তপন, ২৬ শে মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:০৩


মনে হয় শুধু মানুষের কল্পনাতেই এমন প্রস্তাবগুলো উপস্থাপন সম্ভব- যদি বাস্তবে হত তবে কেমন হত ভাবুন তো?
প্রত্যেকটি দেশের সমস্ত রকমের সৈন্যদল ভেঙে দেওয়া; সমস্ত অস্ত্র এবং সমর-সম্ভার, দুর্গ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

×