সামাজিক মিডিয়া জরিপকারী একটা প্রতষ্ঠান বিফোর এর মতে ফেইসবুকে ফটোশেয়ারিং এর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি আগ্রহ দেখা যায় টিন এজ মেয়েদের মধ্যে।আর সম্প্রতি তাদের মধ্যে একটা নতুন ক্রেজ শুরু হয়েছে। টিন এজ মেয়েরা প্রায় নগ্ন হয়ে ছবি তুলে সেগুলো পোস্ট করছে ফেসবুকে।
এমনকি বিষয়টা কখনও কখনও এতোদূর চলে যাচ্ছে যে তারা পুরো শরীরে কোনও কাপড়ই রাখছে না। শুধু একটা বিকিনি কিংবা মাথার টুপি দিয়ে যৌনাঙ্গটুকু ঢেকে ছবি তুলে সেগুলো পোস্ট করছে।আমাদের দেশের মেয়েরাও পিছিয়ে নেই।স্বল্প বসনা বা দেশীয় সংস্কৃতির সাথে অসামঞ্জস্যপূর্ণ ড্রেস পড়ে তারা ছবি
আপলোড করছে অহরহ।বিশেষ করে হাই স্কুলের ছেলেমেয়েরা এই কাজে একে অপরকে উৎসাহিত করছে।আর এটাকে তারা অভিহিত করছে ”কুল” (cool) ফ্যাক্টর হিসেবে।কিন্তু সমাজবিজ্ঞানীরা এতে বেশ চিন্তিত হয়ে পড়েছেন।
সমাজ বিজ্ঞানী ডঃওয়েইনার এর মতে,এতে করে তরুন তরুনীরা যে নিজেদের ভবিষ্যতে ঝুকির দিকে ঠেলে দিচ্ছেন তা নয়; এর ফলে শিশু পর্ণগ্রাফি বেড়ে যাচ্ছে।সমাজে পড়ছে বিরুপ প্রতিকৃয়া।এই সব সোস্যাল মিডিয়াতে অনেক বাজে মানুষ রয়েছে যারা তাদের এই উচ্ছ্বাসকে কাজে লাগিয়ে বিপথে নিয়ে যেতে পারে।
তবে সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয়টি হলো, এভাবে ছবি পোস্ট করা, আর ব্যক্তিগতভাবে কারো সাথে ছবি শেয়ার করা এক জিনিষ নয়।প্রাইভেসি সেটিং করা না থাকলে, কার কমিপউটার থেকে সেটা কোথায় চলে যাবে, সেটা চিন্তারও বাইরে।এই বয়সের অনেকের কাছেই মনে হতে পারে, এটা এক ধরনের মজা;বেশি মানুষের রেসপন্স পাওয়া তাদের কাছে একটা নেশার মত,কখনো প্রতিযোগিতা!কিন্তু এই ব্যাপারটিই যে ভয়াবহ সামাজিক বিশৃঙ্খলা বয়ে আনতে পারে এটা তাদের কল্পনাতেও থাকে না।
আসলে এই বয়সটাকে সেই আদিকাল থেকেই দেখা হচ্ছে একটা বিপদজনক সময় হিসেবে।আর আজ তার সাথে যুক্ত হয়েছে প্রযুক্তি।আপনার টিন-এজ বাচ্চারা ফেসবুকে কী করছে, সেটা তাদের সাথে অবসর সময়ে খোলামেলা কথা বলে জেনে নিন।এতে লজ্জার কিছু নেই।অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় যে অনেক অবিভাবকের সোশ্যাল মিডিয়াগুলো নিয়ে জ্ঞানখুবি সীমিত।সম্ভব হলে সোশ্যাল মিডিয়া সম্পর্কে জ্ঞান নিন অভিজ্ঞ কারো কাছে।এরপর তাদের সাথে আলোচনা করুন।তাদেরকে সঠিকপথে গাইড করার দায়িত্ব আপনারই।