somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

একটা চটের বস্তায় লেখা ও সিভি জমা হচ্ছে। আমিও দিলাম।

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ দুপুর ২:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

কিস্তি-৯ সাংবাদিকতার প্রথম পাঠ


অনেকে লেখে। আমি কেবল পড়ি। এভাবে পড়তে পড়তে আমারো লিখতে ইচ্ছে করে। আমার এক বছরের সিনিয়র আরিফ লেখেন, আশরাফ ভাইও। তাদের লেখা পড়ি। একদিন আরিফ ভাই ও আশরাফ ভাইকে বললাম, পত্রিকায় আমিও লিখতে চাই। নবিশ হিসাবে আমাকে যথেষ্ট হেল্প করলেন তারা। তাদের পরামর্শে সিডিসিতে ভর্তি হলাম। সাংবাদিকতার বিভিন্ন বই-পাঠ চলছে। এর মধ্যে পরিচয় হলো বুয়েটের মোকাররম ভাইয়ের সাথে। খুবই সজ্জ্ন মানুষ। এত পছন্দ করতেন, ভালো লাগতো। তার কাছেই শুনলাম প্রথম আলো একটা বিজ্ঞাপন দিয়েছে 'প্রদায়ক সংবাদদাতা' নিবে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরীতে গিয়ে প্রথম আলোর দ্বিতীয় পৃষ্ঠায় বিজ্ঞাপনটা দেখলাম। একটা লেখা ও সিভি জমা দিতে বললো। পরের দুদিন খেটে খুটে একটা রিপোর্ট তৈরি করে প্রথম আলো অফিসে গেলাম, দেখি লম্বা লাইন। বাইরে একটা চটের বস্তায় লেখা ও সিভি জমা হচ্ছে। আমিও দিলাম। কিছু হবে বলে মনে হলো না। কিন্তু না, মাস দেড়েকর মাথায় ডাক পড়লো। হজির হলাম। রাজিব ভাই অনেক কথা শোনালেন। প্রথম আলোর দোতলার ছোট ক্যান্টিনের চিপায় দুজনে বসে গোল্ডলিপ সিগারেট আর চা পানে অনেক আলাপ হলো। পরিকল্পনার কথা জা্নালেন। বললেন, কাজে নেমে পড়। তাই শুরু করলাম।
শুরুতেই দেশের নাম্বার ওয়ান কাগজে লেখার সুযোগ। আমার মুগ্ধতার শেষ নেই। আমার এলাকা হিসাবে ঠিক করা হলো পুরনো ঢাকার লালবাগ ও হাজারীবাগ। এ সব এলাকার নাগরিক সমস্যা নিয়ে আমার প্রথম রিপোর্ট। হেঁটে রিপোর্ট বের খুঁজতে থাকলাম। কিন্তু 'আলোকিত রাজধাণী' পাতা আর আলোর মুখ দেখছে না। অবশেষে ২০০১ সালে পাতাটি প্রকাশিত হলো এবং এতে আমার প্রথম লেখা ছাপা হলো। বেশ সাড়া পেলাম । ক্লাশের বন্ধুরা শুভেচ্ছা জানালো।
এখনো মনে পড়ে রিপোর্টটা কীভাবে শুরু করবো তা নিয়ে একটা উত্তেজনা ছিল। পরে লিখেছিলাম। এবং আনকাট সেটি ছাপা হয়েছে দেখে বিস্মিত হয়েছিলাম। প্রথম আলোয় লিখলে আর বাইরে কোথাও লেখা যায় না। তাই প্রথম আলোতে সাপ্তাহিক দু থেকে তিনটা লেখা দিতে থাকলাম। ছাপাও হতে থাকলো।
রাজিব ভাইয়ের বদলে আমাদের দেখভালে দায়িত্ব পড়লো সুমন কায়সার ও টোকন ভাইয়ের ওপর। সুমন ভাই অসাধারণ একজন মানুষ। আমার দেখা এ রকম ভালো ও শান্ত মানুষ দ্বিতীয়টি সংবা্দ মাধ্যমে মনে করতে পারছি না। টোকনও ভাই সজ্জন। আমাকে পছন্দ করতেন। ভালো লাগতো। কাজ করতে করতে আমরা কয়েকজন বেশ ভালো বন্ধু হয়ে গেলাম। তাদের মধ্যে সবাই এখনো মিডিয়া জগতেই আছেন।

এর মধ্যে একদিন প্রথম আলোতে বিজ্ঞাপন দেখলাম প্রিয়মুখ নামে একটি পাক্ষিক বের করবেন কয়েকজন তরুণ। সেখানে রিপোর্টার লাগবে। সুমন ভাইয়ের অনুমতি নিয়ে সেখানে গেলাম। আলাপ আলোচনায় কাজের কথা চূড়ান্ত হয়ে গেলো। এটা নিয়ে এক কিস্তি লিখবো। তার আগে ঢাবি হলে ওঠা ও নেমে পড়ার কাহিনী জানাবো পরের কিস্তেতে।
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×