জীবিত অবস্থায় আমি রক্ত বা তরল পদার্থ। মৃত্যুর পর আমি বায়বীয় পদার্থ।
তরল পদার্থের মধ্যে তরল পদার্থ ঢুকতে পারে। তরলের মধ্যে তরল মিশে যেতে পারে। কিন্তু তরলের মধ্যে সব কঠিন পদার্থ মেশে না। তরলের মধ্যে বায়বীয় পদার্থ মিশতে পারে। কিন্তু বায়বীয় পদার্থের মধ্যে তরল পদার্থ মিশতে পারে না কিংবা বায়বীয় পদার্থের মধ্যে কঠিন পদার্থ মিশতে পারে না।
আমার শরীর তিন রকম পদার্থ দিয়ে তৈরী - বায়বীয় পদার্থ,কঠিন পদার্থ,তরল পদার্থ। আমার নাক দিয়ে বাতাস আমার শরীরে ঢোকে। তাহলে এই বাতাস আমার শরীরের তরল পদার্থ অর্থাৎ রক্তে মিশে যায়। আমি আবার জল গ্রহণ করি। এই জলীয় পদার্থ আমার শরীরের রক্তে মিশে যায়। আমার গোটা শরীরটাই রক্তে ভরা। পুকুরের জলে চারপাশের ছবি ভেসে ওঠে। তেমনিভাবে আমার দুই চোখের পুকুরে সামনের যাবতীয় ছবি ভেসে ওঠে। কঠিন পদার্থ বাদ দিয়ে আর সবই আমার রক্তে ঢুকে যায়। তোমার কথা কিংবা সকলের কথা আমার রক্তে ঢুকে যায়। তোমার ছবি আমার রক্তে ভেসে ওঠে।যখন আমি নেই তখন আমার রক্ত জমাট বেঁধে যায়,তরল আর তরল থাকে না। আমি জীবিত। রক্ত জীবিত। আমি মৃত, মানেই রক্তের মৃত্যু। রক্তের ভেতর যে ছবি আর শব্দ লুকিয়ে ছিল, সেগুলি চলে যায় বায়বীয় পদার্থে। জীবিত অবস্থায় আমি রক্ত বা তরল পদার্থ। মৃত্যুর পর আমি বায়বীয় পদার্থ।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে অক্টোবর, ২০১২ দুপুর ১২:০৪