ছোটবেলায় জইন্তা আর গোয়াইন ঘাটের সীমানায় গাঢ় সবুজ পাহাড় গুলো দেখে মনে করতাম বড় হলে সেখানে যাব , একা ঘুরে বেড়াব,প্রকৃতির নিস্তব্ধতা ইন্দ্রিয় ভরে কুড়িয়ে নেব। বড় হয়েছি, এক বুক আশা নিয়ে সীমানা থেকে সীমানায় ঘুরে বেড়িয়েছি একটা ছোট্ট অবিশ্বাস বুকে নিয়ে যে হয়ত কোথাও পাহাড় গুলো বাংলাদেশের, কিন্তু সে ভুল আমার ভেঙ্গেছে বড়ই দ্রুত।
যারা পিয়াইন নদীর ধার ধরে হেঁটে বেড়িয়েছেন কখনো , দেখেছেন নদীর ওপাড়ে জয়ন্তিয়া পাহাড়, দুটো পাহাড়ের পিছনে আরেকটি পাহাড়, খাঁজ থেকে পড়ছে ঝরনা , পাহাড়ের বাঁক ঘুরে বেড়িয়ে এসেছে এক নদী, পাহাড়ের কান্না এসে মিশছে নদীর জলে, অশ্রুজল না হলে টা কেন অত স্বচ্ছ আর শীতল হবে বলুন তো?
তাহিরপুরে গিয়েছেন কখনো? টাঙ্গুয়ার হাওরের নীল জলে খাসিয়া পাহাড়ের প্রতিচ্ছবি দেখে ,না না মুখ সরিয়ে নিচ্ছেন যে , বুকে হাত দিয়ে বলুন তো আপনি একটি বারের জন্য হলেও চিন চিনে ব্যাথা অনুভব করেন নি? আপনার কষ্ট টা বেড়ে যাবে যখন আপনি জানবেন শিলং পিক এর উচ্চতা ১৯২১ মি, আর খাসিয়া জয়ন্তিয়া পাহাড়ের গড় উচ্চতা ১২৭৮মি, যেখানে তাজিওদং হল ১২৩১ মি। গোয়াইন নদীর এপাড়ে দাঁড়িয়ে শুধু আফসোস ই করি ওপারের চেরাপুঞ্জি(১৪৮৪ মি) দেখে, ভাবি হায় আমাদের কি সম্পদ কেড়ে নিয়েছে ভারত(দেশ বিভাগের সময় )।
লাউড় রাজার রাজ্য ছিল খাসিয়া পাহাড়, যাদুকাটা নদীর পাড়ে ছিল তার রাজধানী । আজ সেখানে অসহায় লাউড় রাজা হাহাকার করে তার হারানো রাজ্য ফিরে পাবার জন্য। জয়ন্তিয়া রাজার সব কিছু তো নিয়েছে ই ভারত, এমনকি যে মন্দির টি আমাদের তাও সীমানা কেন্দ্রিক কলহের বন্ধকি হিসেবে রেখেছে।
তারা এত নিয়েও তৃপ্ত নয়, এখন বাটপারের দল আমাদের পুরো অস্তিত্ব সঙ্কটাপন্ন করে তোলার কাজ শুরু করে দিয়েছে।
আসুন আমরা সবাই নিজ নিজ আবস্থান থেকে এরপ্রতিবাদ করি, অন্তত ভারত কে অন্তর দিয়ে ঘৃণা করতে শিখি।
javascript:void(1);
javascript:void(1);
javascript:void(1);