somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাবু মামা ভূত না

২১ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ৯:৪৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



সিড়ি দিয়ে চারতলায় উঠতে উঠতে শুভ সবাইকে দেখছে। কেউ উঠছে কেউ নামছে। উপর থেকে কান্নার আওয়াজ পাওয়া যাচ্ছে। বাড়ির লোকজন কাঁদছে। যারা কাঁদছে না তারাও মন খারাপ করে আছে।
চারতলায় উঠতেই শুভ'র মাকে জড়িয়ে ধরে কান্নায় ভেঙ্গে পড়লেন বড় খালা। মা-ও অঝোড়ে কাঁদছেন। শুভ তার শাড়ি ধরে আছে। শুভ'র কাঁধে হাত দিলেন অপু ভাই। অপু ভাই ক্লাস এইটে পড়ে। শুভ টুতে।
'এদিকে আয়।' শুভকে ডেকে নিলো অপু। অপু শুভ'র খালাতো ভাই। বড় খালার ছেলে। শুভকে ছোট ড্রইং রম্নমে নিয়ে গেলো অপু।
এ ফ্ল্যাটে আটটি কৰ। প্রতিটি কৰই বেশ বড়। ছোট ড্রইং রম্নমটিও ছোট না।
'কে মারা গেছে জানিস?' শুভকে জিজ্ঞেস করলো অপু ভাই।
'না'।
'বাবু মামা মারা গেছে।'
শুভ মন খারাপ করে অপু ভাইয়ার দিকে তাকিয়ে রইলো। বাবু মামা কেন মারা যাবেন? উনি তো খুব ভালো। মনে মনে বললো শুভ।
'শোন বড় ড্রইং রম্নমে লাশ রাখা আছে। লাশ বরফের উপর রাখা। যাতে গন্ধ না বের হয়। বড় মামা আমাদের লাশ দেখতে না করেছে। বাবু মামা ফাঁসি দিয়ে মারা গেছেন। এ লাশ দেখলে বাচ্চাদের ভয় লাগতে পারে।'
'লাশ কি?'
'মানুষ মরে গেলে তাদের লাশ বলে।'
'লাশ বলে কেন?'
'বলে। এটাই নিয়ম। সবাই বললে আমি কি করবো?'
ছোট ড্রইং রম্নমে ছোটরা সবাই বসে আছে। পালি আপু, কচি আপু কাঁদছে। পলি আপু ক্লাস টেনে কচি আপু নাইনে পড়ে। অপু ভাইয়ার বড় দুই বোন এরা।
শুভ বসছে না। মন খারাপ করে দাড়িয়ে আছে।
কিছুৰন পর পলি আপু এসে শুভকে সোফায় নিয়ে বসালো। 'শুভ মন খারাপ করিস না। সবাই একদিন মরে যাবে...'
সবাই একদিন মরে যাবে কেন? শুভ মনে মনে ভাবতে লাগলো। ওর মা-ও একদিন মরে যাবে? কেন মরে যাবে? কি দোষ তার?
'শুভ বাবু মামাকে দেখে এসেছিস?'
'না, অপু ভাইয়া দেখতে না করেছে।'
'যাস না। না গেলেই ভালো। ভয় পেতে পারিস। না গেলে আরেকটা লাভও আছে। মামা যে মরে গেছে এটা তোর মনে থাকবে না। অনেক দিন পরে মনে হবে বাবু মামা আছে। হয়তো কোথাও বেড়াতে গেছে। বা কলেজে ক্লাস করতে গেছে। কিছুৰন পর চলে আসবে। '
আরো অনেক আত্মীয়রা আসছে। শুভ'র বাবার সাথে ওর ছোট বোন নিশিও এসেছে। মামাতো ভাই ইমন এসে ওর পাশে বসে রইলো।
কান্না কান্না ধীরে ধীরে বাড়ছে। আগড়বাতির গন্ধ চারিদিকে। শুভ আর বাবু মামাকে দেখতে যায়নি। মামাকে বাসা থেকে নিয়ে যাওয়া পর্যনত্দ বসে রইলো ছোট ড্রইংরম্নমে।


বিকেলের রোদ এসে পড়ছে শুভ'দের বাড়ান্দায়। ফ্রীজের ফেলে দেয়া ককশিটের মধ্যে শুভ পুতুলের জন্য খেলনা বাড়ি বানিয়েছে। ওর খেলনা পুতুল যাচ্ছে স্কুলে।
'স্কুলে যাও। কিন্তু স্কুলের আপা যদি বকা দেয় তাহলে মন খারাপ করবে না। আপারা তো ছোটদের ভালোর জন্যই বকা দেয়। তাই না?' পুতুল বাচ্চাকে বোঝাচ্ছিলো শুভ।
'স্কুলের আপা তোমাকে বকেছে শুভ?' বাবু মামা জিজ্ঞেস করলেন।
শুভ নিচের দিকে তাকিয়ে বললো,'হ্যা, মামা বকেছে।'
'আপাকে বকে দেবো? না আপার সাথে ভাব করবে?'
'না বকো না। আপার সাথে ভাব নেবো।'
'তাহলে একটা কাজ করো। পুকুর পাড়ের গন্ধরাজ গাছটা থেকে কাল সকালে একটা ফুল নিয়ে আপাকে দিয়ে দে। দেখিস আপা আর তোকে বকবে না।'
'গাছে তো ফুল নেই।'
'ফুল নেই কলি আছে। সকালে কলি থেকে ফুল ফুটবে।'
'আচ্ছা।'



শুভ বিছানায় বাঙ্ নিয়ে খেলছে। অনেকগুলি ছোট বড় বাঙ্। এখন বাঙ্রে ট্রেন যাচ্ছে। খাটের এক পাশে কোল বালিশ। শুভ'র পাহাড়। বাঙ্রে ট্রেন আসত্দে আসত্দে কোল বালিশের পাহাড়ে উঠছে।
বিছানার আরেক পাশে শুয়ে আছেন বাবু মামা। কারেন্ট চলে গেছে। দুপুরে রোদ বেশ কড়া। গরমে মামা একটু নড়ে চড়ে উঠলেন।
'শুভ কারেন্ট চলে গেছে?'
'হ্যা' শুভ খেলতে খেলতে উত্তর দিলো।
'জানিনা মামা। লাঠি দিয়ে ফ্যান ঘুরিয়ে দেবো?'
'দে।'
শুভ ঘর ঝাড়ার ঝাড়ুর লাঠি নিয়ে এলো। ফ্যান ঘুরাতে লাগলো। ঘুরাতে ঘুরাতে যখন ও ঘেমে লালচে হয়ে গেছে তখন কারেন্ট আসলো।
বাবু মামা আরামে ঘুমিয়েছেন। শুভ যে এতৰন লাঠি দিয়ে ফ্যান ঘুরিয়েছে তা তিনি বুঝতেই পারেননি।



'ওর মামা গেছেন কবে?' ডা: মাহবুব জিজ্ঞেস করলেন।
'তিন মাস হয়েছে।'
'সমস্যাগুলি আবার একটু বলেন তো নোট নেই।'
শুভ শুভ'র মা-বাবা তিনজনেই এসেছে ডাক্তারের কাছে। শুভ'র মা কথা বলছে।
' ও আমার মৃত ভাইয়ের সাথে কথা বলে।'
' ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে বলে?'
'ঘুমিয়েও বলে। তবে জেগেও বলে। জেগে এমনভাবে কথা বলে যেন ওর মামা ওর সামনেই আছে। কয়েকদিন আগে বাসার কারেন্ট চলে গেছে। ও দেখি লাঠি দিয়ে ফ্যান ঘুরাচ্ছে। প্রথমে ভাবলাম খেলছে। একসময় দেখি ফ্যান ঘুরাতে ঘুরাতে ঘেমে লাল হয়ে গেছে। জিজ্ঞেস করাতে বলল বাবু মামা মানে আমার ভাই শুয়ে আছে। কারেন্ট চলে যাওয়ায় বাবুর গরম লাগছে। তাই ফ্যান ঘুরিয়ে বাবুকে বাতাস দিচ্ছে।'
'ও। কবে থেকে সমস্যাটা হচ্ছে? তিনমাস ধরেই?'
'কতদিন ধরে ঠিক জানিনা। তবে আমরা টের পেয়েছি দশ পনের দিন ধরে।'
'ওর ঘুম খাওয়া কেমন?'
'খাবার ঠিক আছে। তবে ঘুম কমে গেছে। পায়খানারও সমস্যা হচ্ছে।'
'ওর মামা বোধহয় ওকে বেশ আদর করতো।'
'হ্যা, অনেক আদর করতো।'
'ঠিক আছে আমি কিছু ওষুধ দিচ্ছি। একটা মানষিক ব্যায়াম দিচ্ছি। আশা করি ঠিক হয়ে যাবে। না হলে আমি অন্য আরেক জনের কাছে পাঠাবো।'



স্কুল ছুটি হয়ে গেছে। স্কুলের বিশাল মাঠে বাচ্চারা ছোটাছুটি করছে। অনেকে দাড়িয়ে আছে স্কুলের গেইটে। যার যার বাবা মা এসে নিয়ে যাচ্ছে বাচ্চাদের।
শুভ দাড়িয়ে আছে স্কুলের গেইটে। ও প্রতিদিন সোহেলের সাথে বাসায় ফেরে। সোহেলের মা স্কুলের শিৰিকা। তিনি-ই দু'জনকে বাসায় নিয়ে যান। আর আসার সময় শুভ'র মা ওকে স্কুলে দিয়ে যায়।
আজ এখনও সোহেলরা গেইটে আসেনি। বোধহয় খালাম্মা স্কুলে কাজ করছেন। তাই দেরী হচ্ছে।
'ভাই আইসক্রিম খাইবেন।' শুভ'র বয়েসি একটা ছেলে এসে ওকে জিজ্ঞেস করলো। গরমে দাড়িয়ে থাকতে থাকতে শুভ'র বেশ আগেই আইসক্রিমের পিপাসা ধরেছে। কিন্তু মা বলে দিয়েছে ছুটির পরে স্কুলের গেইটের বাইরে না যেতে। এজন্যই ও বের হচ্ছে না।
'না, ঐ পাড়ে যাবো না।'
'গেলে কিছু অইবো না বাই। এইট্টুক রাসত্দা। আয়েন আপনেরে লইয়া যাই।'
'আচ্ছা চলো।'
শুভ রাসত্দা পাড় হয়ে আইসক্রিমওয়ালার কাছে গেলো। নারিকেলি আইসক্রিম নিলো একটা। আইসক্রিমের পুরোটা নারিকেল দেওয়া। ওহ্ , কি যে মজা। আইসক্রিম খেতে খেতে শুভ টাকা দিতে ভুলে গিয়েছিলো। মনে হতেই ও টাকা দিতে চাইলো।
'এই যে নিন টাকা।'
'না তোমার কাছ থেইকা টেকা নিতাম না।' মিষ্টি হেসে আইসক্রিমওয়ালা বলল। তারপর যাওয়ার পথ ধরলো।
'টাকা নেবেন না কেন? টাকা ছাড়া কিছু নিলে মা বকবে...'
'না তুমি বাইচ্চা মানুষ, তোমার কাছ থেইকা নিতাম না...' আইসক্রিমওয়ালা হাটছে।
'আরে ভাই নেন...'
কথা বলতে বলতে শুভ স্কুল থেকে কিছুটা দূরে চলে এসেছে। আইসক্রিমওয়ালা শুভ'র মাথায় মুখে হাত বুলিয়ে দিয়ে বলল,'না বাবা তোমার কাছ থেইকা টেকা নিতাম না।'
হাত বুলাতে বুলাতে শুভ অজ্ঞান হয়ে গেলো।



যখন জ্ঞান ফিরলো তখন শুভ'র চারিদিকে প্রবল অন্ধকার। নড়াচড়ার চেষ্টা করতে গিয়ে বুঝতে পারলো ওর হাত, পা বাঁধা। মাথায় কিসের যেন ধাক্কা লাগলো। কৰের নিচের দিকের বহূ দূরের একটা ছিদ্র দিয়ে আলো আসছে।
অন্ধকার সয়ে এলে শুভ বুঝতে পারলো ও আইসক্রিম বিক্রির বাঙ্রে ভিতরে। বাঙ্রে নিচের এক কোনায় একটি ছিদ্র। ছিদ্র দিয়ে আলো আসছে। হঠাৎ পুরো বাঙ্ আলোয় ভরে গেলো। শুভ চোখ খোলা রাখতে পারলো না। বন্ধ করে ফেললো।
' ও পৰি দেখি জাইগ্গা উঠছে। ওই মনু তোগো পৰির তো ঘুম ভাইঙ্গা গেছে।'
আসত্দে আসত্দে চোখ তুলে চাইলো শুভ। মাথায় ঝাকড়া চুলওয়ালা একটি লোক। বাঙ্রে ডালা খুলে উঁকি দিয়ে আছে।
'পৰি যেমুন চুপচাপ আছে হেমুন চুপচাপই থাকো। নাইলে মুখে কসটেপ লাগাইয়া দিমু। বলেই বাঙ্রে ডালা বন্ধ করে দিলো লোকটা।
প্রচন্ড ভয় শুভকে আচ্ছন্ন করে ফেললো। লোকগুলো তাকে কি করবে? বেঁচে দেবে? যারা কিনবে তারা নিয়ে কি করবে? সিরিঞ্জ দিয়ে সব রক্ত বের করে নেবে? চোখ, কিডনী খুলে নিয়ে তাকে ফেলে দেবে নদীতে? মাথা ঝিম ঝিম করতে লাগলো শুভ'র। আবার জ্ঞান হারালো সে।

'শুভ, শুভ।' অনেক দূর থেকে যেন কেউ ডাকছে। কে ডাকছে?
'শুভ, শুভ।' চোখ খুললো শুভ। বাঙ্রে ভেতর গুটিসুটি মেরে বাবু মামা বসে আছে।
'কি মামা?'
'অনেকৰন ঘুমিয়েছিস। এবার ঘুম বাদ দে।'
শুভ হেসে উঠলো। 'দিলাম মামা। তুমি কখন এসেছো?'
'এই কিছুৰন আগে।'
'এই লোকগুলো আমাকে কি করবে মামা? কেটে ফেলবে?'
'আরে না। ভয় পাস না। ওরা তোকে কিছু করতে পারবে না। তোর বাবা আসছে পুলিশ নিয়ে। তোকে নিয়ে যাবে। '
'ওদেরকে ধরবে না?'
'ওরা এই ঘর থেকে বের হতেই পারবে না।'
কথা বলতে বলতে আবারও ঘুমিয়ে পড়লো শুভ। এবার জেগে উঠে কেমন ঠান্ডা ঠান্ডা লাগছে।
বাবু মামা আগের মতোই বসে আছে।
'মামা কেমন ঠান্ডা ঠান্ডা লাগছে। '
'আইসক্রিমের বাঙ্ তো। এই কাগজগুলোর বাইরে বরফ আছে। এজন্য ঠান্ডা লাগছে।'
'এতৰন তো লাগেনি।'
'এতৰন তোর ঘুমটা বেশ ভারি ছিলো। এখন হাল্কা হয়ে আসছে। এজন্য এখন ঠান্ডাটা বুজতে পারছিস। '
ছেলেধরাগুলো কথা বলছে। শুভ কান পেতে ওদের কথা শোনার চেষ্টা করলো।
'দেখেছো মামা লোকগুলো কি বলছে?'
'কি বলছে?'
'বলছে ওরা বাবার কাছে টাকা চেয়েছে। টাকা আনতে গেছে বাচ্চু নামের একটা লোক। কিন্তু টাকা নিয়েও ওরা আমাকে ফেরৎ দেবে না। আমাকে ওরা ইন্ডিয়ায় নিয়ে বিক্রি করে দেবে। এর আগেও ওরা একটা বাচ্চাকে ইন্ডিয়া বিক্রি করার জন্য এনেছিলো। বিক্রি করতে না পেরে মেরে ফেলেছে।'
'যাক ভয় পাস না। তোকে নিতে পারবে না। এ লোকগুলোকে শাসত্দি দিয়ে দেবো।'
'কি শাসত্দি দেবে মামা?'
'ভংকর শাসত্দি।'
'মামা আমার আবার ঘুম পেয়ে যাচ্ছে। '
'ঘুমিয়ে থাক।'



চিকন সরম্ন মাটির রাসত্দা। দুইদিকে জলা।
সামনে চারজন পুলিশ। সবার আগে খুড়িয়ে খুড়িয়ে হাটছে হাতকড়া পড়ানো বাচ্চু। এরপর দারোগা সালাম। পুলিশের পেছনে শুভ'র বাবা।
'ঐ যে ঐ কোঠাটা।' বাচ্চু দেখিয়ে দিলো।
সদ্য চুনকাম করা একতলা একটা টিনশেড বাড়ি। আশেপাশে বাড়িঘর নেই। বেশ দূর পর্যনত্দ ময়লাডোবা তিনদিকে। কৰের দরজার নিচ দিয়ে রক্তের একটি ধারা মাটিতে এসে নামছে। রক্ত এখনও লাল। কিছুৰন আগেই রক্ত কোন শরির থেকে বের হয়েছে। শুভ'র বাবা চিৎকার দিয়ে মাটিতে বসে পড়লেন।
'শুভ আমার বাবারে, আমার সোনারে...শুভ।'
দরজার চাবি ছিলো বাচ্চুর কাছে। তার কাছ থেকে নিয়ে দারোগা সালাম দ্রম্নত দরজা খুলে ফেললো। পেছনে তিন পুলিশ অস্ত্র তাক করে আছে। বাচ্চু দেখিয়ে দিলো কোন বাঙ্ েশুভকে রাখা হয়েছিলো।
দারোগা শুভকে কোলে করে বাঙ্ থেকে বের করে আনলেন।
জ্যানত্দ, সুস্থ।
তবে ঘুমে এখনও চোখ জড়িয়ে আসছে। বাবার কোলে উঠে ঘুম ঘুম চোখে চারদিক দেখার চেষ্টা করছে শুভ।
ঘরের দুই প্রানত্দে দুই ছেলে ধরার লাশ। একজনের ঘার পেছন দিকে মটকানো। একজনের পাশে।
'মনে হয় ভাগাভাগি নিয়ে ঝগড়া করে ওদের গ্রম্নপেরই কেউ এদের মেরে রেখে গেছে।' দারোগা বললো।
বাচ্চু চিৎকার করে প্রতিবাদ জানালো। ' না স্যার, হেগো ঘার মটকাইছে ভূতে। যে ভূতে আমার পাও মটকাইছে হে-ই এই কাম করছে।'
কেউ বাচ্চুর কথা বিশ্বাস করলো না। শুভ আংশিক বিশ্বাস করলো। কাজটা বাবু মামা-ই করেছে। তবে বাবু মামা ভূত না। #

শরীফ উদ্দিন সবুজ
মোবাইল ফোন: ০১৯১৩৩৯৮২২০
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্যারিস্টার সুমন দায়মুক্ত , চু্ন্নু সাহেব কি করবনে ?

লিখেছেন শাহাবুিদ্দন শুভ, ০৮ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৭


দেশে প্রথম কোন সংসদ সদস্য তার বরাদ্ধের ব্যাপারে Facebook এ পোষ্ট দিয়ে জানিয়ে থাকেন তিনি কি পেলেন এবং কোথায় সে টাকা খরচ করা হবে বা হচ্ছে মানুষ এসব বিষয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়ের নতুন বাড়ি

লিখেছেন সাদা মনের মানুষ, ০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২২

নতুন বাড়িতে উঠেছি অল্প ক'দিন হলো। কিছু ইন্টরিয়রের কাজ করায় বাড়ির কাজ আর শেষই হচ্ছিল না। টাকার ঘাটতি থাকলে যা হয় আরকি। বউয়ের পিড়াপিড়িতে কিছু কাজ অসমাপ্ত থাকার পরও পুরান... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। শিল্পী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:৩৮










চিত্রকলার কোন প্রথাগত শিক্ষা ছিলনা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের। ছোট বেলায় যেটুকু শিখেছিলেন গৃ্হশিক্ষকের কাছে আর পাঁচজন শিশু যেমন শেখে। সে ভাবে আঁকতেও চাননি কোন দিন। চাননি নিজে আর্টিস্ট... ...বাকিটুকু পড়ুন

জাহান্নামের শাস্তির তীব্রতা বনাম ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে অমুসলিম উপস্থাপিত বিবিধ দোষ

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৫৪



জাহান্নামের শাস্তির তীব্রতার বিবেচনায় মুমিন ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে অমুসলিম উপস্থাপিত দোষারোপ আমলে নেয় না। আমার ইসলাম সংক্রান্ত পোষ্ট সমূহে অমুসলিমগণ ইসলামের বিবিধ ক্ষেত্রে বিবিধ দোষের কথা উপস্থাপন করে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শ্রান্ত নিথর দেহে প্রশান্তির আখ্যান..... (উৎসর্গঃ বয়োজ্যেষ্ঠ ব্লগারদের)

লিখেছেন স্বপ্নবাজ সৌরভ, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১:৪২



কদিন আমিও হাঁপাতে হাঁপাতে
কুকুরের মত জিহবা বের করে বসবো
শুকনো পুকুর ধারের পাতাঝরা জামগাছের নিচে
সুশীতলতা আর পানির আশায়।

একদিন অদ্ভুত নিয়মের ফাঁদে নেতিয়ে পড়বে
আমার শ্রান্ত শরীর , ধীরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×