somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দয়া করে ১৮ বছরের নিচে কেউ প্রবেশ করবেন না। কোন ছাগু প্রবেশ করবেন না।

২০ শে নভেম্বর, ২০১১ রাত ১১:১৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

-
--
-
-
-
-
-
-
-
-
-

ইন্ডিয়ার মত 'বন্ধু দেশ' থাকলে আর শত্রুর প্রয়োজন হয় না।

'টিপাইমুখে এমন কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হবে না, যাতে বাংলাদেশের ক্ষতি হয়।' এই অঙ্গীকার করেছিলেন খোদ ইন্ডিয়ার প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিং।

অথচ টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণে চুক্তি গত ২২ অক্টোবর দিল্লিতে সই হয়ে গেছে। এ ধরনের চুক্তি করার আগে বাংলাদেশকে জানানোর প্রতিশ্রুতি দেওয়া হলেও তা মানেনি ভারত।

'ভ্রমনে সেন্চুরিয়ান' আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী দীপু মনি এখন কি বলবেন ?

অবশ্য বাংলাদেশের একটি সংসদীয় প্রতিনিধিদল টিপাইমুখে গিয়ে সরেজমিনে ঘুরে দেখার চেষ্টা করেছিল। তবে খারাপ আবহাওয়ার জন্য দুই দিন ধরে চেষ্টা করেও নাকি তাদের হেলিকপ্টার টিপাইমুখে নামতে পারেনি। কথা হচ্ছে আবহাওয়া কি এখনও খারাপ রয়েছে ?

পরিবেশবাদীরা আশংকার কথা শুনিয়েছেন। তারা বলছেন, টিপাইমুখে জলাধার ও বিদ্যুৎ প্রকল্প হলে বিরাট এলাকার পাহাড়-জঙ্গল পানিতে ডুবে যাবে এবং অনেক লুপ্তপ্রায় প্রাণিসম্পদ ধ্বংস হবে। ঘর আর জীবিকা হারাবে বহু মানুষ। তা ছাড়া টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের পরে সেটি ভূমিকম্পে ধসে পড়লে আসাম ও বাংলাদেশের বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।

ইন্ডিয়ার বেইমানির ইতিহাস অনেক পুরানো ! ১৯৭৫ সালে ইন্ডিয়া গঙ্গা নদীর ওপর একতরফা ভাবে ফারাক্কা বাঁধ চালু করে। 'পরীক্ষামূলকভাবে' কিছুদিনের জন্য ফারাক্কা বাঁধ চালু করা হলেও, ঐ পরীক্ষার আজও চলছে এবং তার মাশুল আজও আমরা দিয়ে চলছি। আমার দেশের ১২১,৪১০ হেক্টর চাষযোগ্য কৃষি জমির ক্ষতি হয়েছে। দেশের অভ্যন্তরের ৮০টি নদী শুকিয়ে গেছে এবং ১৭টি নদীর মৃত্যু ঘটেছে।

এদিকে সরকার কিনা ইন্ডিয়াকে পূর্ণাঙ্গ ট্রানজিট দিয়ে দিয়েছে, তাও একদম ফ্রীতে ! ট্রানজিট থেকে আমাদের লাভ হওয়া তো দূরের কথা, বরং অবকাঠামো উন্নয়নে ৪৭ হাজার ৩৫ কোটি ৯৩ লাখ ২০ হাজার টাকা খরচ করতে হবে। তারপরও কেন ট্রানজিট দেওয়া হচ্ছে? ওরা টিপাইমুখে বাধ নির্মান করলে, বন্ধ করে দেয়া হোক ট্রানজিট।

জানতে চাই, তিস্তা চুক্তির কি হলো ? বলা হয়েছিল, 'তিস্তা চুক্তি হয় নি বলে ট্রানজিট দেই নি'। এখন কি ট্রানজিটের সাথে 'একটা কিনলে আরেকটা ফ্রী' - এর মত, তিস্তাও দিয়ে হেওয়া হলো নাকি ?

ভারতে বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকারের কথা বলবেন ? এইটা অনেকটা এই রকম যে, গরু (বাংলাদেশের নদী) মেরে জুতা (ভারতে বাংলাদেশী পণ্যের শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার) দান !!! শুল্কমুক্ত প্রবেশের কথা বলা হলেও, এইখানেও অনেক ঘাপলা রেখেছে ইন্ডিয়া। বাস্তবে আমরা এর থেকে তেমন লাভবানও হচ্ছি না।

প্লীজ, কেউ আমাকে এই গীত শুনাবেন না যে, 'ইন্ডিয়া আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে সাহায্য করেছিল'। ইন্ডিয়া আমাদের কেন সাহায্য করেছিল, তা কি এখনো টের পাচ্ছেন না ? একাত্তরে স্বাধীনতার পর তারা অস্রসহ অনেককিছু লুট করেছিল, এত দূর যেতে হবে না, ২০১১ তে তারা কি করছে একটু চোখ খুলে দেখুন না। ব্যপারটা অনেকটা এই রকম যে, সুন্দরী রমনীকে ধর্ষকের হাত থেকে বাঁচিয়ে নিজেই আবার সুযোগের অপেক্ষায় থাকা।

আওয়ামিলীগ সরকার 'ভারত বান্ধব' বলে পরিচিত। এমন 'একতরফা সুবিধা' যে নেয়, তাকে কি বন্ধু বলা যায় ?

'সব আদায় করে নিব, কিন্তু কিছুই দিব না', এটা কি রকম বন্ধুত্ব ?

ইন্ডিয়া আমাদের সাথে যে ব্যবহার করছে, তাকে অনেকটা 'দাসের সাথে প্রভুর আচরণ' বলা যায়।

আশ্চর্যজনক হলেও, ইন্ডিয়ারই প্রদেশ মণিপুরের অনেক বিজ্ঞানী ও পরিবেশবিদরা এই টিপাইমুখ বাঁধ নির্মাণের বিরোধিতা করছেন। এমনকি তারা রাজপথেও নেমেছেন। অথচ আমাদের দেশে আন্দোলন নেই! বাড়ির জন্য হরতাল ডাকেন, তো বিরোধী দল এখন চুপ কেন ? অবশ্য বিরোধী দল এই নিয়ে প্রতিবাদ করলেই তাকে 'যুদ্ধাপরাধীদের বাঁচানোর ষড়যন্ত্র' বলে দোষারোপ করবে সরকার।

আর একশ্রেনীর সাংবাদিকদের ও বুদ্ধিজীবিদের নীরবতা লক্ষ্য করার মত। তারা এই ব্যপারে একদম চুপ! তাদের সাংবাদিক ও বুদ্ধিজীবী না বলে, 'সাংঘাতিক' ও 'পরজীবী' বলাই শ্রেয় হবে।

এ বাঁধ ঠেকানোর দায়িত্ব তরুণদেরই নিতে হবে। ‍এখনই দেখা যাবে স্বাধীনতা, সার্বোভৌমত্বের প্রতি সত্যিকার কতটা প্রেম।

আর, সরকারের ঘুম ভাঙ্গবে কে ? সরকারের যেই দুই একজন উপদেষ্টা ইন্ডিয়ার পক্ষে রীতিমত দালালি করছেন, তারা ক্ষমতা শেষে তপ্লিতপ্লা বেধে ইন্ডিয়া বা আমেরিকা পালাবেন, ভুগতে হবে আমাদেরই।

তাই জাগতে হবে আমাদের।

আমরা আরেকটি ফারাক্কা চাইনা, আমরা টিপাইমুখে বাধ চাই না !

যারা এতক্ষণ লেখাটি পড়েছেন, তাদের অনুরোধ করব এই লেখাটি শেয়ার করুন, ছবিটিকে প্রফাইল পিকচার হিসেবে দিন।

'টিপাইমুখে বাঁধ, আমরা প্রতিরোধ করবই

যদিও মনের কথা তবুও সংগৃহীত। ফেসবুক থেকে
১০টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ডেল্টা ফ্লাইট - নিউ ইয়র্ক টু ডেট্রয়ট

লিখেছেন ঢাকার লোক, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:২৬

আজই শ্রদ্ধেয় খাইরুল আহসান ভাইয়ের "নিউ ইয়র্কের পথে" পড়তে পড়তে তেমনি এক বিমান যাত্রার কথা মনে পড়লো। সে প্রায় বছর দশ বার আগের ঘটনা। নিউ ইয়র্ক থেকে ডেট্রিয়ট যাবো,... ...বাকিটুকু পড়ুন

ল অব অ্যাট্রাকশন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৪৫

জ্যাক ক্যান ফিল্ডের ঘটনা দিয়ে লেখাটা শুরু করছি। জ্যাক ক্যানফিল্ড একজন আমেরিকান লেখক ও মোটিভেশনাল স্পিকার। জীবনের প্রথম দিকে তিনি হতাশ হয়ে পড়েছিলেন। আয় রোজগার ছিলনা। ব্যাংক অ্যাকাউন্টে অর্থ ছিলনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

চরফ্যাশন

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৬ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯



নয়নে তোমারি কিছু দেখিবার চায়,
চলে আসো ভাই এই ঠিকানায়।
ফুলে ফুলে মাঠ সবুজ শ্যামলে বন
চারদিকে নদী আর চরের জীবন।

প্রকৃতির খেলা ফসলের মেলা ভারে
মুগ্ধ হয়েই তুমি ভুলিবে না তারে,
নীল আকাশের প্রজাতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কর কাজ নাহি লাজ

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ১৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪


রাফসান দা ছোট ভাই
ছোট সে আর নাই
গাড়ি বাড়ি কিনে সে হয়ে গেছে ধন্য
অনন্য, সে এখন অনন্য।

হিংসেয় পুড়ে কার?
পুড়েপুড়ে ছারখার
কেন পুড়ে গা জুড়ে
পুড়ে কী জন্য?

নেমে পড় সাধনায়
মিছে মর... ...বাকিটুকু পড়ুন

নতুন গঙ্গা পানি চুক্তি- কখন হবে, গ্যারান্টি ক্লজহীন চুক্তি নবায়ন হবে কিংবা তিস্তার মোট ঝুলে যাবে?

লিখেছেন এক নিরুদ্দেশ পথিক, ১৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:২৬


১৬ মে ঐতিহাসিক ফারাক্কা দিবস। ফারাক্কা বাঁধ শুষ্ক মৌসুমে বাংলাদেশে খরা ও মরুকরণ তীব্র করে, বর্ষায় হঠাৎ বন্যা তৈরি করে কৃষক ও পরিবেশের মরণফাঁদ হয়ে উঠেছে। পানি বঞ্চনা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×