আর কিছুক্ষনের মধ্যেই প্রকাশিত হবে মাধ্যমিক ও সমমানের ফলাফল। অনেকের বাড়িতে মিষ্টির ছড়াছড়ি হবে। কারোর হয়ত আজ রাতে খাবার জুটবে না। জুটবে তিরস্কার কিংবা বন্ধুদের হতবাক করুনার দৃষ্টি। আজ যে ফলাফলকে মনে হচ্ছে জীবনের একমাত্র বিষয় একদিন অবাক হয়ে দেখবে এই ফলাফলের কথা কেউ জিজ্ঞেসও করে না। জীবনের প্রথম কঠিন তম এই পাবলিক পরীক্ষার ফলাফল কিন্তু সত্যিই কোন কাজে লাগে না।
ফলাফল যা ই হোক সহজভাবে গ্রহন কর। জীবনে যে প্রথমবার ব্যর্থ , সফল হবার সম্ভাবনা তারই সবচাইতে বেশি থাকে।
আজকে এই লেখাটা যখন লিখছি তখন আমার এক বোকা বন্ধুর কথা খুব মনে পড়ছে। সামান্য টার্ম পরীক্ষার প্রথম স্থান পাবে না এই ব্যর্থতায় আজকে থেকে ঠিক ৬ বছর আগে আজকের এই দিনে সে চলে গিয়েছিল। সেদিনও এমন বৃষ্টি ছিল। সে শেষ পরীক্ষাটা দেবার ধৈর্য রাখে নি। মৃত্যুর সময় তার টেবিলে নাকি খোলা ছিল শেষ পরীক্ষার বই । তার মৃত্যুর ৪ ঘন্টা পর পরীক্ষা দিতে গিয়ে আমরা জানতে পারি সে আর কোনদিন আসবে না পরীক্ষা দিতে।
সেদিনও এমন বৃষ্টি ছিল। কাঁদতে কাঁদতে পরীক্ষা দিয়েছিল তার বন্ধুরা। সে তার রেসাল্ট দেখে যায় নি।আমরা দেখেছিলাম। ১ বিষয়ে ছাড়া বাকি সবগুলোতে সে সর্বচ্চ নাম্বার পেয়েছিল।
ওই পরীক্ষায় যে ফেল করেছিল একবছর পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভরতি পরীক্ষায় সে হয়েছিল দ্বিতীয়। জীবন একটি পরীক্ষার ফলাফলে থেমে থাকে না। কিন্তু সে থেমে গেছে ৬ বছর আগেই।ছবির বয়স বাড়ে না।
রবি ঠাকুরের কথাটি মেনে নেয়া কষ্ট তবু মেনো " ভাল মন্দ যাহাই ঘটুক সত্যরে লও সহজে। "
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই মে, ২০১৩ সকাল ১০:১৮