somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফোনে ফোনে

২০ শে নভেম্বর, ২০১১ সকাল ১০:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একবার এক ছেলের মোবাইলে অপরিচিত নাম্বার থেকে একটা কল এলো!!
মেয়ে : তোমার কি বৌ আছে??
ছেলে : না নাই, তুমি কে?!
মেয়ে : আমি তোমার বৌ!! খবর আছে তোমার!! বাসায় এসে তোমার খবর নেব আমি!!
ছেলেটা তো চিন্তায় অস্থির!! কিছুক্ষণ পর ছেলেটার মোবাইলে আবার একটি অপরিচিত নাম্বার থেকে কল এলো।
মেয়ে : তোমার কি বৌ আছে??
ছেলে : হাঁ আছে!! আমি বিবাহিত।
মেয়ে : কী?!!!! আমি তোমার গার্লফ্রেন্ড! তুমি আমার সঙ্গে এমন প্রতারণা করতে পারলে! ওহ মাই গড!
ছেলে : না, নাঃ না, জান সরি!! আমি ভেবেছি তুমি ওই মোটা মেয়েটা যে সারা দিন ডিস্টার্ব করে!! রাগ করো না লক্ষ্মীটি!!
মেয়ে : হ্যাঁ, তুমি ঠিক ধরেছ!! আমি সেই মোটা মেয়েটা যে সারা দিন ডিস্টার্ব করে!! বাসায় এস!! আজকে তোমার খবর আছে!!
এই হল ফোনের অবস্থা! ছেলেবেলায় ইংরেজি বইয়ে পড়েছে পেনফ্রেন্ড এখন দেখছি ফোনফ্রেন্ড আর ফেসবুকফ্রেন্ড।
ফেসবুকফ্রেন্ড ক আর খ-এর সম্পর্ক দীর্ঘদিনের। ক একসময় অনেক বড় চাকরি পেল। সে খ-কে বিয়ে করতে চায়, কিন্তু মুখোমুখি গিয়ে সে কথা বলার সাহস পায় না। একদিন সাহস করে সে খ-দের বাড়িতে টেলিফোন করল।
ক : খ বলছ?
খ : বলছি।
ক : খ, অনেকদিন ধরে তোমাকে একটা কথা বলব ভাবছি, কিন্তু বলা হয়ে উঠছে না। আমাদের সম্পর্ক তো অনেকদিন হল। এবার আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই। তুমি কি আমাকে বিয়ে করতে রাজি আছ, প্রিয়তমা?
খ : অবশ্যই প্রিয়তম! কিন্তু।
ক : কিন্তু কী?
খ : তুমি যেন কে?
ফোনে তো অনেকে চিনতে পারে না। আবার অনেকে তো চেনাতেও পারে না। যেমন ধরুন ক্রিংক্রিং বেজে উঠল শিক্ষকের টেলিফোন।
শিক্ষক : হ্যালো।
অপর প্রান্ত থেকে : শুনুন, আমার ছেলের গায়ে ভীষণ জ্বর। ও আজ স্কুলে যেতে পারবে না।
শিক্ষক : আপনি কে বলছেন?
অপর প্রান্ত থেকে : আমি আমার বাবা বলছি!
আমেরিকায় পাঁচ হাজার বছর আগের ভূস্তরে একটা টেলিফোনের তার পাওয়া গেল। আমাদের বিজ্ঞানীরা বললেন এতে আশ্চর্যের কী আছে, আমাদের দেশে চল। তো আমেরিকান বিজ্ঞানীরা এলেন আমাদের দেশে। বিস্তর খোঁড়াখুঁড়ি হল। কিছুতেই কোথাও কিছু পাওয়া গেল না। আরও খোঁড়াখুঁড়ির পর প্রায় ১০ হাজার বছর আগের গভীর ভূত্বক পর্যন্ত গিয়েও কিচ্ছুটি পাওয়া গেল না। আমেরিকান বিজ্ঞানীরা হাসাহাসি করতে লাগলেন। ‘কী হল বাংলাদেশী বিজ্ঞানী? তোমাদের দেশে টেলিফোনের তার পেতে হলে খোঁড়ার দরকার হবে না, মাটির উপরেই পাওয়া যাবে।’ চূড়ান্ত অপমান। সবাই অপমানের একশেষ। কী করা যায়! তখন ডাকা হল ড. আবুলকে। উনি গিয়ে আমেরিকান বিজ্ঞানীদের বললেন, ‘কী ব্যাপার, এখনও আপনারা কিছু বুঝতে পারছেন না?’ ‘কী বুঝব? বোঝার আর আছেটা কী?’ ড. আবুল : ‘এই জন্যই বলে যে আমেরিকানরা মাথা মোটা। আরে সাহেব আমাদের দেশে ১০ হাজার বছর আগেই লোকেরা মোবাইল ফোন ব্যবহার করত যেঃ তাই খোঁড়াখুঁড়ি করে পাবেন কিছু?’
যুগের সঙ্গে সঙ্গে কত কিছু বদলায় কিন্তু বদলায় না ফোনো ফোনি :
শীতের দিন ভোর ৫টায় বেজে উঠল করিম সাহেবের টেলিফোন। ঘুম থেকে উঠে ফোন ধরলেন তিনি।
করিম সাহেব : হ্যালো।
অপর প্রান্ত থেকে রাগত কণ্ঠস্বর : আমি আপনার প্রতিবেশী বলছি। আপনার কুকুরটা দীর্ঘক্ষণ ধরে ডাকাডাকি করছে। তার যন্ত্রণায় ঘুমাতে পারছি না।
করিম সাহেব বিনয়ের সঙ্গে তার প্রতিবেশীর নাম ও ফোন নম্বর জেনে নিয়ে ফোন রাখলেন।
পরদিন ভোর ৫টায় প্রতিবেশীকে ফোন করলেন করিম সাহেব, ‘শুভ সকাল। আপনাকে জানাতে ফোন করেছি যে আমার কোন কুকুর নেই।’
টেলিফোন থেকে মোবাইলে যাওয়ার পরে সম্ভবত অনেকে ভুলে গেছে কে কোথায় ফোনটা ধরেছে। যেমন এক লেখকের কাছে এক বিরক্ত করা ভক্ত ফোন করে বলছে আপনার সঙ্গে দেখা করার জন্য বাসায় আসি।
লেখক মহাশয় বলেন আমি তো বাসার বাইরে। পরে এস। কলটা কাটার পরে তিনি লক্ষ্য করেন ফোনটা মোবাইলে নয় ল্যান্ডফোনে এসেছিল।
এমন ভুল বা সঠিক বোঝাবুঝি চলে অনেক জায়গায় যেমন : প্রেমিক-প্রেমিকার চরম ঝগড়া হওয়ার পর দু’জন বাড়ি চলে গেল।
কিছুক্ষণ পর প্রেমিকের দেয়া এসএমএস :
১৫ মিনিট পর : সরি
৩০ মিনিট পর : প্লিজ, সরি
১ ঘণ্টা পর : জান খালি একবার কথা বল!!
১ ঘণ্টা ৩০ মিনিট পর : প্লিজ এত রাগ করো না জান!!!
২ ঘণ্টা পর : আমি সত্যি সরি জান, আমার সঙ্গে কথা নয় আমি আÍহত্যা করব!
৩ ঘণ্টা পর প্রেমিক যখন এসএমএস টাইপ করছিল: ‘যা ভাগ, তোর মতো একশ’ মাইয়া আমার পিছে ঘোরে, তুই মর গিয়া!!! ঠিক তখনই সে একটা এসএমএস পেল প্রেমিকার কাছ থেকে : ‘মোবাইলে ব্যালেন্স ছিল না তাই রিপ্লাই দিতে পারিনি!!’
প্রেমিকের রিপ্লাই : উপস!!! ঠিক আছে জান, আই লাভ ইউ!!!
সবচেয়ে আজব ফোন বেশি আসে পত্রিকা অফিসে না পুলিশ স্টেশনেÑ এ নিয়ে তর্ক হতে পারে, যেমন পত্রিকা অফিস সারা দিন খোলা থাকে না, আর পুলিশ স্টেশনে ফোন করতে সাহস অথবা ভয়ংকর বিপদ লাগে।
টেলিফোন বেজে উঠল পুলিশ অফিসে। রিসিভার তুলতেই শোনা গেল, ‘বাঁচান! বাঁচান!’
‘এক্ষুনি রওনা হচ্ছি। কী হয়েছে বলুন।’
‘ঘরে বেড়াল ঢুকেছে,’ উত্তর এলো অপর প্রান্ত থেকে।
‘এই ফালতু কারণে পুলিশকে কেউ জ্বালাতন করে! কে আপনি?’
‘তোতাপাখি।’
ফোনের উৎপত্তির সঙ্গে সঙ্গে প্রেমের জন্য ফোন হয়ে পড়েছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। একটা অনুষ্ঠানে গিয়ে হঠাৎ একটা মেয়েকে ভালো লেগে গেল তানিমের। পায়ে পায়ে মেয়েটির কাছে এগিয়ে গেল সে। ‘মাফ করবেন, আমি কি আপনার টেলিফোন নাম্বারটা পেতে পারি?’
মেয়ে : টেলিফোন নির্দেশিকায় খোঁজ করুন, পেয়ে যাবেন।
তানিম : কিন্তু, আপনার নামটা?
মেয়ে : নাম্বারের সঙ্গে নামটাও নির্দেশিকায় দেয়া আছে, বোকা!
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমি ভালো আছি

লিখেছেন জানা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৪৯



প্রিয় ব্লগার,

আপনাদের সবাইকে জানাই অশেষ কৃতঞ্গতা, শুভেচ্ছা এবং আন্তরিক ভালোবাসা। আপনাদের সবার দোয়া, সহমর্মিতা এবং ভালোবাসা সবসময়ই আমাকে কঠিন পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে শক্তি এবং সাহস যুগিয়েছে। আমি সবসময়ই অনুভব... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আমার ড্রোন ছবি।

লিখেছেন হাশেম, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৩

বৃহত্তর প্যারিস তুষারপাত।

ফ্রান্সের তুলুজ শহরে বাংলাদেশের প্রথম স্থায়ী শহীদ মিনার।

হ্যাসল্ট, বেলজিয়াম।

ভূমধ্যসাগর তীরবর্তী ফ্রান্সের ফ্রিওল আইল্যান্ড।


রোডেসিয়াম এম রেইন, জার্মানি।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতার সুফল কতটুকু পাচ্ছে সাধারণ মানুষ

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৯ ই মে, ২০২৪ রাত ১১:২৮

(১) আমলা /সরকারের কর্মকর্তা, কর্মচারীর সন্তানদের জন্য আলাদা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করার প্রস্তাব হতাশাজনক। মুক্তিযুদ্ধের ১৯৭১ সালের রক্ত দেওয়া দেশের এমন কিছু কখনো আশা কি করছে? বঙ্গবন্ধু এমন কিছু কি আশা... ...বাকিটুকু পড়ুন

এলজিবিটি নিয়ে আমার অবস্থান কী!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১০ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:১৫

অনেকেই আমাকে ট্রান্স জেন্ডার ইস্যু নিয়ে কথা বলতে অনুরোধ করেছেন। এ বিষয়ে একজন সাধারণ মানুষের ভূমিকা কী হওয়া উচিত- সে বিষয়ে মতামত চেয়েছেন। কারণ আমি মধ্যপন্থার মতামত দিয়ে থাকি। এ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুসলমানদের বিভিন্ন রকম ফতোয়া দিতেছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১০ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩


আপন খালাতো, মামাতো, চাচাতো, ফুফাতো বোনের বা ছেলের, মেয়েকে বিবাহ করা যায়, এ সম্পর্কে আমি জানতে ইউটিউবে সার্চ দিলাম, দেখলাম শায়খ আব্দুল্লাহ, তারপর এই মামুনুল হক ( জেল থেকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×