হেমন্তের বিকেল!নরম কুয়াশা!শীত শীত অনুভুতি!পায়রার খোপে ফেরা। রক্তিম সূর্য অস্তগামী। প্রকৃতি
সজ্জিত কারো মনের মাধুরি মেশান রঙে।একটু পর সূর্য অস্তমিত হলেই শুরু হবে গায়ের মা-ঝিয়েদের
ব্যাস্ততা। বড় বড় চুলায় করা হবে ধান সেদ্ধ।পাঁকা ধানের ঘ্রাণে মৌঁ মৌঁ করবে চারদিক।
সারা বছরেরর পরিশ্রেমর ফসল এই হেমন্তে ঘরে তোলে কৃষকেরা।তাদের মন ভরে যায় সোনালী
ফসল দেখে।ভুলে যায় তাদের রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে চাষ করার কষ্ট।
বর্ষায় রোপণ করা কঁচি ধানের শিশুরা হেমন্তে এসে হয় পরিণত।দিগন্ত বিস্তৃত শুধু সোনালী ধান আর ধান।এই সোনালী ধানে যখন পড়ে সোনালী রোদ মনে হয়-এত ধান নয় যেন সোনা ভরা মাঠ।
বাংলা কার্তিক আর অগ্রাহায়ন এই দু্ই মাস জুড়ে হেমন্তের রাজত্ব।শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে আসে হেমন্ত।বিকেলের নরম কুয়াশায় ঢেকে যায় ধান ক্ষেত।সকালে শিশির ভেজা সবুজ দুলফা ঘাস মিষ্টি রোদে চিকমিক করে।প্রকৃতি যেন তার রূপের ডালা ঢেলে দিয়েছে।গরমের অস্থিরতা নেই।নেই
হাড় কাঁপান শীতও।এমন ঋতুতে কার না মন উতলা হয়ে উঠে।
এই সময় চাষিরা ধান কাটে।চোখে তাদের রঙিন স্বপ্ন।তাদের গোলা ভরে যায় ধানে।এই সময় তারা পালন করে নবান্ন উৎসব।
প্রকৃতির এই ময়া-মমতা-রূপ সবই আল্লাহর দান। তাঁর এই সৃষ্টি দেখে চিনতে পারি তাঁর মহত্ব।শুকরিয়া জানাই এমন এক রূপবতী দেশে জন্ম হতে পেরে।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৪:১১