somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রকৃত আহলে সুন্নাত কারা?

২৭ শে মার্চ, ২০১৩ রাত ১২:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আহলে সুন্নাতের দৃষ্টিতে ‘আহলে বাইতের অনুসারী’

সেই সকল সমসাময়িক ওলামার দিক থেকে দৃষ্টি সরিয়ে কথা বলছি যারা নিজেদের কিতাবাদিতে তাই লিপিবদ্ধ করেছেন যা তাদের প্রতি ইসলামী আখলাক (আচার-ব্যবহার) ফরজ করেছিল। আহলে সুন্নাতের অতীতের এবং বর্তমানের ওলামাগণ বনী উমাইয়াদের বিবেক অনুসারে সর্বদাই আহলে বাইতের অনুসারীদের বিরুদ্ধে লিখে আসছেন, সে কারণেই আপনারা তাদেরকে প্রত্যেক উপত্যকাতেই ছুটাছুটি করতে দেখবেন। তারা এমন কথা বলেন যা নিজেরাই বোঝেন না। আহলে বাইতের অনুসারীদের প্রতি গালিগালাজ করে থাকেন, অপবাদ দেন অথচ নিজেরাই সেগুলো থেকে মুক্ত নন। তারা অযথাই তাদের প্রতি অপবাদ দিয়ে থাকেন। তারা তাদের পুর্বপুরুষ মোয়াবিয়া-ইয়াযিদ ইত্যাদীদের, যারা নিজেদের জোর-জুলুম পূর্বক ইসলামী খেলাফত দখল করে নিয়েছিল, অনুকরণে তাদেরকে খারাপ উপাধীতে ভূষিত করে থাকেন।
কখনো লেখেন যে, ‘তাদের ফেরকার প্রতিষ্ঠাতা হল আব্দুল্লাহ্ বিন সাবা ইয়াহুদী’।
কখনো লেখেন যে, ‘তাদের মূল হল প্রাচীন পারসিক জাযক মূলী এবং তারা হল রাফেজী, আল্লাহ তাদের ধ্বংস করুক, তারা হল ইসলামের বিরুদ্ধে ইয়াহুদী ও খ্রীস্টানদের দোসর’।
কখনো লেখেন যে, “এরা হল মুনাফিক, কেননা ‘তাকাইয়্যা’র প্রতি আমল করে। এরা ‘মাহরামদের’ সাথে নিকাহ করাকে জায়েজ গণ্য করে এবং মোতা’কে হালাল গণ্য করে যা হল জেনা’।
এই আহলে সুন্নাতগণের মধ্যেকার কিছু কিছু ব্যক্তি লিখেছেন যে, ‘তাদের কোরআন ভিন্ন এবং আমাদের কোরআন ভিন্ন। তারা আলী এবং তাঁর সন্তানদের মধ্যেকার ইমামগণের ইবাদত করে। মুহাম্মদ (সা.) এবং জিবরাইলের প্রতি শত্রুতা পোষণ করে, তারা এমন, তারা তেমন, ইত্যাদী ইত্যাদী।
কখনোই এমন একটি বছর অতিক্রান্ত হয় না যে, নিজের অহমিকা ও কলমের জোরে স্বয়ং আহলে সুন্নাতের ওলামাদের পক্ষ থেকে একটি না একটি বই প্রকাশিত হয় এবং প্রত্যেকটিতেই আহলে বাইতের অনুসারীদেরকে কাফের বলা হয় আর তাদের নিন্দা করা হয়।
তাদের এ ধরণের লেখনীর উদ্দেশ্য কোন নেকী অর্জন বা নিজেদের প্রতিরক্ষা করা নয় বরং তাদের লক্ষ্য হল নিজেদের সেই সমস্ত গুরু-চান্ডাল লোকগুলিকে খুশি করা যাদের মুল স্বার্থই হল মিল্লাতে ইসলামিয়ার মধ্যে মতো বিরোধ সৃষ্টি ও ধ্বংস।
তারা যা কিছু লেখেন তা ভিত্তিহীন হয়ে থাকে, অন্ধ বিদ্বেষ ও আন্তরিক শত্রুতা ছাড়া সেগুলির প্রতি কোন দলিল থাকে না। কোন যাচাই-বাছাই না করেই পূর্বপুরুষদের অনুসরণ করে থাকেন। তাদের উদাহরণ হল ঠিক তোতা পাখির মত, যা শ্রবণ করেন তাই পুনরাবৃত্তি করে থাকেন। উমাইয়াদের সেবক খারেজীদের কিতাবাদীর প্রবন্ধ গুলিকেই পুনরাবৃত্তি করে থাকেন। এরা তারাই যারা ইয়াজীদ ও মোয়াবিয়ারও প্রশংসা করে থাকেন। (সাউদী আরবের পরিচিতি মন্ত্রণালয় “হাকায়েক আন আমীরুল মুমেনীন ইয়াজীদ বিন মোয়াবিয়া” নামক একটি কিতাব প্রকাশ করেছে এবং শিক্ষা মন্ত্রণালয় সেটিকে মাদ্রাসাসমূহের সিলেবাসে অন্তর্ভূক্ত করে দিয়েছে)।
তাদের পূর্ব পুরুষ ইয়াজীদ এবং তার পিতা মোয়াবিয়া যেভাবে নিজের শুভাকাঙ্খীদেরকে সোনা-চান্দির ঝলকানি দ্বারা অন্ধ করে রাখতো এবং তাদের বিবেকসমূহকে ক্রয় করে নিত, আজ সেভাবেই মিলিয়ন ডলার, লন্ডন ও প্যারিসে বিরাট ও বেমিসাল অট্টালিকা এবং সেখানে বসবাসরত চঞ্চল গোলাপী গালের অধিকারীনি যুবতী এবং মূল্যবান মদের বিনিময়ে আহলে সুন্নাতের এই সমস্ত ওলামাদের বিবেক, দ্বীন ও দেশকে ক্রয় করে নেয়া হয়।
তারা যদি নবী (সা.)-এর সুন্নাতের সত্যিকারের অনুসারী হতেন যেমনটি তাদের ধারণাও আছে তাহলে তারা উচ্চ আখলাককে (আচার-ব্যবহার) গ্রহণ করতেন এবং অপরের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করতেন, যদিও আকীদার দিক থেকে তাদের বিপরীতও হোন না কেন।
নবী (সা.)-এর হাদীস কি এ কথা বলে না যে, “একজন মুসলমান অপর মুসলমানের জন্য সীসা ঢালা প্রাচীরের ন্যায়, যার এক প্রান্ত অপর প্রান্তকে সাহায্য করে”।
তিনি আরো বলেন, “মুসলমান পরস্পর একটি দেহের মত, তার কোন অংশ যখন কষ্ট পায় তখন সমগ্র দেহ সে কারণে বিচলিত হয়ে পড়ে”।
নবী (সা.) কি ইহা স্পষ্ট করেন নি যে, “মুসলমানদের প্রতি গালি গালাজ ও কষ্ট দানকারী হল ফাসিক এবং তার হত্যাকারী হল কাফের”।
যারা নিজেদেরকে ‘আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়ত’ বলে থাকেন তারা স্বয়ং যদি নবী (সা.)-এর সুন্নাতকে জানতেন তাহলে কলেমা পাঠকারী, নামায কায়েমকারী, যাকাত দানকারী, রোজা পালনকারী, হজ্জ পালনকারী, নেকীর আদেশ প্রদানকারী এবং মন্দ কাজে বাধা প্রদানকারীদেরকে কখনোই কাফের বলতেন না।
আসলে আহলে সুন্নাতগণ হলেন উমাইয়া ও কোরায়েশদের সুন্নাতের অনুসরণকারী। তারা মূর্খতার বিবেক-বুদ্ধি ও গোত্রগত চিন্তা-চেতনার দৃষ্টিকোণ থেকে কলম ধারণ করে থাকেন, সুতরাং এখন তারা যা কিছু লিখবেন সেটি তাজ্জপূর্ণ হবে না। কেননা যে পাত্রে যা থাকবে সেখান থেকে তাই বের হবে।
রাসুল (সা.) কি বলেন নাই, যেটিকে কোরআনও বর্ণনা করেছে যে, “হে কিতাবের অধিকারীগণ এসো, তোমরা আর আমরা সেই কথার প্রতি ঐক্যমত হয়ে যাই যা আমাদের আর তোমাদের মাঝে একই রকম”। [সুরা আলে ইমরান, আয়াত-৬৪]
বাস্তবে তারা যদি ‘আহলে সুন্নাত’ হতেন তাহলে আহলে বাইতের অনুসারীদের ভাইদেরকে সেই কলেমার (বিষয়াবলীর) প্রতি ঐক্যবদ্ধ হবার দাওয়াত অবশ্যই দিতেন যা তাদের উভয়ের মাঝে সমান (একই রকম)।
কারণ ইসলাম তো তার শত্রু ইয়াহুদী ও খ্রীষ্টানদেরকে সমান (একই) বিষয়াবলীর প্রতি চিন্তা করার এবং ঐক্যবদ্ধ হবার দাওয়াত দিচ্ছে, তাহলে তারা কেন পরস্পর ঐক্যবদ্ধ হয় না যাদের আল্লাহ এক, কিবলা এক এবং লক্ষ্যও এক?
অতএব আহলে সুন্নাতের ওলামাগণ নিজেদের আহলে বাইতের অনুসারী ওলামা ভাইদেরকে কেন দাওয়াত দেন না, তাদের সাথে বিতর্কের টেবিলে কেন বসেন না এবং উত্তম রূপে তাদের সাথে কেন মুনাজেরা (বিতর্ক) করেন না। আর যদি তাদের আকীদাসমূহ ফাসিক (মিথ্যা) হয় তাহলে সেগুলিকে কেন সংশোধন করে নিচ্ছেন না?
একটি ইসলামী কনফারেন্স কেন আয়োজন করছেন না, যেখানে উভয় পক্ষের ওলামা শরীক হয়ে বিরোধমূলক বিষয়াবলীকে সমগ্র মুসলমানদের সম্মুখে উপস্থাপন করেন যাতে তারাও সঠিক পথ এবং মিথ্যা ও অপবাদগুলিকে জানতে পারেন।
বিশেষ করে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত যারা বিশ্ব মুসলমানের চার ভাগের তিন ভাগ আর তাদের কাছে বস্তুগত সম্ভাবনাও আছে এবং হুকুমাতগুলোর প্রতিও তাদের প্রভাব ও প্রতিপত্তি আছে, তাদের জন্য তো ইহা খুবই সহজ, কেননা তারা তো শূন্য জানসমূহেরও অধিকারী।
কিন্তু আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়া এমনটি কখনোই করতে পারেন না আর না এমন জ্ঞানগত প্রতিযোগিতার জন্য প্রস্তুত হতে পারেন, যার প্রতি আল্লাহর কিতাব আহ্বান করছে-
“(হে রাসুল) তাদেরকে বলে দিন যে তোমরা যদি তোমাদের দাবীতে সত্য হও তাহলে দলিল উপস্থাপন কর”। [সূরা বাকারা, আয়াত-১১১]
“(হে রাসুল) তাদেরকে বলে দিন যে তোমরা যদি কিছু জেনে থাক তাহলে তা আমার সম্মুখে উপস্থাপন কর, তোমরা তো কেবল অলীক ধারণাকেই অনুসরণ করে থাক এবং অবান্তর কথা-বার্তা বলে থাক”। [সূরা আনয়াম, আয়াত-১৪৮]
সেজন্যই আপনারা তাদেরকে আহলে বাইতের অনুসারীদের প্রতি গালিগালাজ করতে ও অপবাদ দিতে দেখবেন, যদিও তারা জানেন যে দলিল ও হুজ্জাত তাদের কাছেই আছে। আমার আকীদা তো এই যে, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত এমন করা থেকে এই জন্য ভয় পান যেন সত্য উন্মোচন হবার পর অধিকাংশ মুসলমান ‘আহলে বাইতের অনুসারী’ না হয়ে যায়।
যেমন মিশরের ইউনিভার্সিটির অধিকাংশ ওলামাদের সাথে হয়েছে, তারা সত্যের সন্ধানে কষ্ট স্বীকার করলেন তাই তারা সত্য প্রাপ্ত হলেন এবং আহলে বাইতের অনুসারীদের মাযহাব গ্রহণ করলেন আর পূর্বপুরুষদের আকীদা-বিশ্বাস ত্যাগ করলেন।
আহলে সুন্নাতের ওলামাগণ এই বিপদকে ভাল করেই অনুধাবন করেন, যা তাদের ব্যবস্থাপনাকে লন্ডভন্ড করে দেয়ার জন্য একটি চ্যালেঞ্জ। সেজন্যই তারা তাদের অনুসারী ও আনুগত্যকারীদের প্রতি তাদের নিকটে বসাকে হারাম ঘোষণা দিয়েছেন। অনুরূপভাবে, তাদের সাথে আলোচনা করা, তাদের কন্যাদের সাথে বিবাহ করা অথবা তাদের ঘরে কন্যা দেয়া এবং তাদের কর্তৃক জবাইকৃত পশুর মাংশ খাওয়াকেও হারাম ঘোষণা দিয়েছেন।
তাদের এমন নীতি দ্বারা এই কথা স্পষ্ট হয়ে যায় যে, তারা নবী (সা.)-এর সুন্নাত থেকে কত দূরে অবস্থান করছেন এবং সেই উমাইয়াদের সুন্নাতের কত নিকটবর্তী যারা উম্মতে মুহাম্মদীকে নিজেদের সর্বশক্তি দিয়ে গোমরাহ করতে চেয়েছিল, কেননা আল্লাহর যিকিরের ক্ষেত্রে তাদের অন্তর কোমল ছিল না, আর সেটি যে আল্লাহর পক্ষ্য থেকে নাযিল হয়েছে তা স্বীকারও করতো না বরং বাধ্য হয়েই ইসলাম গ্রহণ করেছিল।
যেমন শাসন ক্ষমতা অর্জন করার লক্ষ্যে নেক সাহাবাগণের হত্যকারী আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের নায়ক মোয়াবিয়া ইবনে আবি সুফিয়ান তার একটি খোৎবাতে বলেছিল, “আমি তোমাদের সাথে নামাজ আদায় করা, রোযা রাখা এবং হ্জ্জ সম্পাদন করার জন্য যুদ্ধ করিনি। আমি তো কেবল এ জন্য যুদ্ধ করেছি যাতে তোমাদের প্রতি আমার রাজত্ব প্রতিষ্ঠা হয়ে যায়। বিধায় আল্লাহ আমাকে তা দান করেছেন অথচ তোমরা তাতে খুশি নও”। আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বলেছেন, “নিশ্চয় রাজা-বাদশাহরা যখন কোন জনপদে প্রবেশ করে তখন তাকে বিপর্যস্ত করে এবং সেখানকার সম্মানিত অধিবাসীদেরকে অপদস্থ করে। আর তা-ই তারা করবে”। [সূরা নমল, আয়াত-৩৪]
আহলে বাইতের অনুসারীদের দৃষ্টিতে আহলে সুন্নাত

সাধারণ অনুসরীদের মধ্যেকার সেই সমস্ত কিছু বিদ্বেষী ব্যক্তিবর্গ ছাড়া যারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতকে ‘নাসেবী’ গণ্য করে থাকেন, তাদের পূর্ববর্তী ও বর্তমানের ওলামাগণ ‘আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত’-কে নিজেদের ভাই গণ্য করে থাকেন। ইহা আবার ভিন্ন কথা যে আহলে সুন্নাতগণ বনী উমাইয়ার ধোকাবাজীর শিকার হয়ে পূর্বপুরুষদের ব্যাপারে ভাল ধারণা পোষণ করে থাকেন এবং চোখ বন্ধ করে তাদের আনুগত্য করে থাকেন। যেহেতু উমাইয়ারা তাদেরকে ‘সেরাতে মুস্তাকীম’ থেকে সরিয়ে দিয়েছে এবং ‘সাকালায়ন’ তথা আল্লাহর সেই কিতাব এবং রাসুল (সা.)-এর ‘ইতরাত’ থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে যারা তাঁদের সাথে সম্পর্ক স্থাপনকারীদেরকে গোমরাহী থেকে রক্ষা করেন এবং তাদের হিদায়েতের জন্য জামিন হয়ে থাকেন।
আপনারা আহলে বাইতের অনুসারীদের প্রতি লক্ষ্য করেছেন যে তারা যা কিছু লিখেন তা নিজেদের নফসের প্রতিরক্ষা এবং স্বীয় আকীদা-বিশ্বাসের পরিচয়ের পাশাপাশি নিজেদের সুন্নী ভাইদেরকে ন্যায় বিচার এবং ঐক্যের আহ্বান করে থাকেন।
কিছু কিছু আহলে বাইতের অনুসারী ওলামা তো গবেষণা ও অনুসন্ধানের পূর্ণতা এবং সকল মাযহাবকে একই চাদরে বসিয়ে আলোচনা করার বিষয়ে বিভিন্ন দেশে ও শহরগুলিতে কেন্দ্র স্থাপন করেছেন।
আর তাদের মধ্যেকার কিছু লোক তো আহলে সুন্নাতের জ্ঞান-গবেষণার সর্বোচ্চ ও সর্বশ্রেষ্ঠ কেন্দ্র “আল-আজহার ইউনিভার্সিটি” পর্যন্ত পৌঁছে আলোচনা ও বিতর্ক করেছেন এবং আল-আজহার ইউনিভার্সিটির ওলামাগণের সাথে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করেছেন এবং তাদের সাথে ভদ্রতার সাথে বিতর্ক করেছেন আহলে বাইতের অনুসারীদের দৃষ্টিতে আহলে সুন্নাত

সাধারণ অনুসরীদের মধ্যেকার সেই সমস্ত কিছু বিদ্বেষী ব্যক্তিবর্গ ছাড়া যারা আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতকে ‘নাসেবী’ গণ্য করে থাকেন, তাদের পূর্ববর্তী ও বর্তমানের ওলামাগণ ‘আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াত’-কে নিজেদের ভাই গণ্য করে থাকেন। ইহা আবার ভিন্ন কথা যে আহলে সুন্নাতগণ বনী উমাইয়ার ধোকাবাজীর শিকার হয়ে পূর্বপুরুষদের ব্যাপারে ভাল ধারণা পোষণ করে থাকেন এবং চোখ বন্ধ করে তাদের আনুগত্য করে থাকেন। যেহেতু উমাইয়ারা তাদেরকে ‘সেরাতে মুস্তাকীম’ থেকে সরিয়ে দিয়েছে এবং ‘সাকালায়ন’ তথা আল্লাহর সেই কিতাব এবং রাসুল (সা.)-এর ‘ইতরাত’ থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছে যারা তাঁদের সাথে সম্পর্ক স্থাপনকারীদেরকে গোমরাহী থেকে রক্ষা করেন এবং তাদের হিদায়েতের জন্য জামিন হয়ে থাকেন।
আপনারা আহলে বাইতের অনুসারীদের প্রতি লক্ষ্য করেছেন যে তারা যা কিছু লিখেন তা নিজেদের নফসের প্রতিরক্ষা এবং স্বীয় আকীদা-বিশ্বাসের পরিচয়ের পাশাপাশি নিজেদের সুন্নী ভাইদেরকে ন্যায় বিচার এবং ঐক্যের আহ্বান করে থাকেন।
কিছু কিছু আহলে বাইতের অনুসারী ওলামা তো গবেষণা ও অনুসন্ধানের পূর্ণতা এবং সকল মাযহাবকে একই চাদরে বসিয়ে আলোচনা করার বিষয়ে বিভিন্ন দেশে ও শহরগুলিতে কেন্দ্র স্থাপন করেছেন।
আর তাদের মধ্যেকার কিছু লোক তো আহলে সুন্নাতের জ্ঞান-গবেষণার সর্বোচ্চ ও সর্বশ্রেষ্ঠ কেন্দ্র “আল-আজহার ইউনিভার্সিটি” পর্যন্ত পৌঁছে আলোচনা ও বিতর্ক করেছেন এবং আল-আজহার ইউনিভার্সিটির ওলামাগণের সাথে জ্ঞানগর্ভ আলোচনা করেছেন এবং তাদের সাথে ভদ্রতার সাথে বিতর্ক করেছেন ।
চলবে.....।
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৭

সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×