somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রকমারী ভালবাসা,ভালবাসার বিশুদ্ধতা এবং প্রেম --------

১৭ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৫:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আজকালের প্রেম যতটা না হৃদয় ঘটিত তার চেয়ে বেশী অন্যকিছু ঘটিত। এই অন্য কিছুর ব্যাখা দিতে গিয়ে আমাকে একটি বাস্তব উদাহরণ তুলে দিতে হচ্ছে । ঢাকার ছেলে আসিফ বিগত এক বছর ধরে ভালবাসে মফস্বল শহর থেকে পড়তে আসা নাহার কে । তারা দুজনই ঢাকার একটি প্রাইভেট ভার্সিটি তে লেখাপড়া করে ।আর্থিক, সামাজিক নিরাপত্তার জন্যই মূলত নাহার আসিফের সাথে সম্পর্ক বজায় রেখে চলেছে। এছাড়া আসিফ কে তার কাছে বেশী সুবিধার ছেলে বলে মনে হয় না । আসিফ ছেলেটা প্রচন্ড অলস ও খাম খেয়ালী যা নাহারের অপছন্দ। অপরদিকে শুধু মাত্র ক্যাজুয়াল সেক্স করার জন্যই আসিফ নাহারের সাথে সম্পর্ক টা ধরে রেখেছে। ভালোবাসার যে প্রধাণ উপকরণ হৃদয়ের টান তা কিন্তু এদের দুজনের মধ্য অনুপস্হিত তারপরেও সম্পর্ক এগিয়ে যাচ্ছে নিরবধি নদীর মত। এটাই হচ্ছে এ যুগের ভালোবাসার নমুনা । কোন একটা প্রবন্ধে পড়িছিলাম ভালোবাসার ক্ষেত্রে সাত ও যা সাতাশি-ও টা । তাহলে কি সব বয়সেই প্রেমে পড়া যায় ? এ প্রশ্নের উত্তর আসলে কিছুটা দীর্ঘ। একদা বিবাহিত নারীর পরপুরুষের প্রেমে পড়া খুব নিন্দিত একটা বিষয় ছিল। অথচ রাধা কৃষ্ণের প্রেম কাহিনী বরাবরই শ্রদ্ধামিশ্রিত। মনোভাবটা এই যে, দেবতার যা মানায় সাধারণ মানুষের তা চলে না । রবীন্দ্রনাথ তার ঘরে বাইরে উপন্যাসে দেখালেন বিমলা ভালোবেসে ফেল্লেন স্বামী নিখিলেশের বন্ধু সন্দীপ কে । সেই সময় ছি: ছি: পড়ে গিয়েছিল চারিদিকে।ঘরে বাইরে উপন্যাসের গায়ে অনেক টা নিষিদ্ধের লেবেল-ও পড়ে গেল । কারো কারো কাছে ভালোবাসা বলবার জিনিস নয়, অনুভবের। যদি তাই হয় তবে কি এই অনুভব দেশ,কাল,পাত্র ভেদে ভিন্ন ভিন্ন ? হতেও পারে । তবে অতীত কাল থেকেই দেখা গেছে দূরন্ত শক্তিমাণ ভালোবাসা সব সময়-ই ধর্ম,বর্ণ, গোত্র কে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে জয় লাভ করেছে।সুধী মহলে একটি কথা প্রায়-ই শোনা যায় , শুদ্ধ ভালোবাসার আরেক নাম নাকি আত্বত্যাগ। এই আত্বত্যাগ উভয়ের মাঝেই থাকতে হবে। পুরুষের আত্বত্যাগ নিয়ে বিভিন্ন সিনেমা, নাটক নির্মিত হয়েছে সে তুলনায় মেয়েদের আত্বত্যাগের গল্প একটু কম-ই শোনা যায়। তবে ভালোবাসায় মেয়েদের চরম আত্বত্যাগের একটি কাহিনী আমার জানা আছে , আপাতত তাই বয়ান করি । একদা গ্রীস দেশে ঈশানা নামের এক অষ্টাদশী সুন্দরী বাস করিতো। এই অপূর্ব রুপবতী-কে যে কেউ দেখিলেই প্রেমে পড়িয়া যেত । ঈশানার-ও ছিল উদার হৃদয় , কাউকেই ফেরাতে চাইতো না , সবার সাথেই প্রেমের অভিনয় চালাইয়া যাইতো।তার প্রেমিককূলের মধ্য এলেক এবং পাভেল ছিল অন্যতম। তারা দুজন-ই ছিল যথেস্ট বুদ্ধিমান ও তেজদীপ্ত সুপুরুষ।একবার পাভেল ঈশানার কাছে অভিযোগ দিল এলেক সবজায়গায় বলে বেড়াচ্ছে সে নাকি তোমাকে ভালবাসে । এ কথা শুনে তো ঈশানা চরম ভাবে রেগে গেল সে পাভেল কে এই বলে প্রবোধ দিল যে এলেক তার পেছনে সারা দিন ঘুর ঘুর করে আসলে সে ঐ নচ্ছার কে দু'চোখে দেখতে পারে না । এদিকে তলায় তলায় সে এলেকের সাথেও ডেটিং করে যেতে লাগলো। এলেক কে শোনালো বিপরীত কথা- পাভেল তাকে ডিষ্টার্ব করে । এক পর্যায়ে এলেক ও পাভেল দুজনেই গ্রীস দেশের রাজার কাছে একে অপরের বিরুদ্ধে বিচার দিলেন। সেই যুগে গ্রীসে যদি কোন নারীকে দুইজন পুরুষ সঙ্গী হিসাবে দাবী করতো তবে দুজনের মাঝে মল্ল যুদ্ধ হয়ে যে কোন একজন বেচে থাকতো এবং সেই পুরুষটিই অভিষ্ট নারীর সঙ্গ লাভ করতো ।রাজ্যের নিয়ম মতে রাজা বাজনা বাজিয়ে এদের দুজনের মল্ল যুদ্ধের ঘোষণা দিলেন । খোলা ময়দানে জন সম্মুখে ঈশানার সামনে ঐ মল্ল যুদ্ধ অনুষ্ঠিত হবে। যে বেচে থেকে জয়লাভ করবে সে-ই পাবে সুন্দরী ঈশানাকে। আগেই বলেছি এলেক ও পাভেল দুজনেই খুব বুদ্ধিমান ছিল, তারা যুদ্ধের আগের রাতে গোপনে এক বৈঠকে মিলিত হলো। সেই বৈঠকে পাভেল একটা প্রস্তাব দিল - আমরা দুজন-ই তো শক্তিশালী, এই রাজ্যের সম্পদ। আমরা যে কেউ মারা যাওয়া মানেই এই রাজ্যের চরম ক্ষতি। পাশের রাজ্যের সাথে যুদ্ধে তখন আমরা দুর্বল হয়ে পড়বো। তারচেয়ে আমরা একটা বুদ্ধি করি ---মল্লযুদ্ধের এক পর্যায়ে আমরা দুজনেই মিথ্যা করে মরে পড়ে থাকবো । ঈশানা যার দিকে আগে ছুটে যাবে বুঝতে হবে তাকেই সে সত্যিকারের ভালবাসে ।সেই ঈশানা কে পাবে ।বুদ্ধি টা এলেকের ভীষণ পছন্দ হলো। তারা দুজন হাত মিলিয়ে যে যার বাসায় চলে গেল ।পরদিন যথারীতি শুরু হলো মল্ল যুদ্ধ, মাঠভর্তি দর্শক, চরম যুদ্ধ চলছে। এক সময় খেই হারিয়ে দুজনেই মরার ভান করে পড়ে রইলো। দুজনেই আধবোজা চোখে চেয়ে রয়েছে ঈশানার দিকে, কার দিকে সে আগে দৌড়ে যায়। কিন্তু এ কি ? ঈশানা পাশের এক অল্পবয়সী ছেলের হাত ধরে বলছে --'দেখলে কৌশলে এদের দুজনকেই কেমন করে মেরে দিলাম।আর কোন বাধাঁ নেই। চল এখন আমরা দুজন পালাই, দুরে গিয়ে ঘর বাধবো "। এই হলো মেয়েদের সাধারণ ধর্ম । ইদানিং কালে ভালোবাসার আরেকটি নেতিবাচক রুপ বিশেষ ভাবে পরিলক্ষীত হচ্ছে। সেটা হলো অসমবয়সী পরকীয়া প্রেম। আজকাল উচ্চবিত্ত থেকে মধ্য বিত্ত এমন কি নিম্ন বিত্ত পরিবারেও সর্বনাশা পরকীয়া প্রেমের প্রকট বেড়েছে মহামারী আকারে। অনেকেই আবার এই পরকীয়া প্রেমকেই সত্যিকারের কূলীন প্রেম বলে জাহির করে থাকেন। অতি রসিক জনেরা তো শ্লোক-ও তৈরী করেছেন-"মোবাইল কিনলে নকিয়া, প্রেম করলে পরকীয়া " ।তাদের পক্ষে আরেকটি বড় যুক্তি হচ্ছে-ইতিহাসের বিখ্যাত ও শ্রেষ্ঠ প্রেম কাহিনীর অধিকাংশই ছিল পরকীয়া প্রেম। এথানেই বড় একটা ফাক রয়ে গেছে । বই পুস্তকের প্রচলিত পরকীয়া ভালোবাসা আর আজকের দুনিয়ার পরকীয়া অসম প্রেমের মধ্য রয়েছে বিস্তর ব্যবধান। বিভিন্ন উপন্যাসে আমরা যে পরকীয়া প্রেম পড়ে থাকি বা নাটক মুভিতে দেখে থাকি তাতে ঐ নিষিদ্ধ প্রেমকে এমন একটি আকর্ষণের মোড়কে মুড়ে রাখা হয় যাতে করে ঐ বিশেষ প্রেম হয় অমৃত স্বাদ যুক্ত।ঐ বিশেষ স্বাদযুক্ত ফলের রসের অতলে দম বন্ধ হয়ে মারা পড়ে নীতি, নৈতিকতা, সুস্হ মানসিকতা । প্রেম যদি সুখের লাগিয়াই হয়ে থাকে তবে এই ধরনের তথাকথিত প্রেমে অসুখের রাজত্বই বেশী।রসিক,ভাব নির্ভর অনেক জ্ঞানী-গুনি হয়তো এই সকল প্রেমের স্তব গান গাইবেন নানান সুরে। এ ব্যাপারে আমার কথা হচ্ছে ইতিহাস থেকে শিক্ষা নেওয়াটাই কি বুদ্ধিমানের কাজ নয় ?এ উপমহাদেশে শুধু নয় সমগ্র পৃথিবীতে অসম-পরকীয়া প্রেমের শেষ পরিণতি অনেক ভয়াবহ।আমরা যদি আমাদের আশেপাশের ঐ সকল প্রেমিক যুগলের পূর্ণ জীবনের উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করি তাহলে দেখতে পাবো তাদের জীবনে দু:খ কষ্টের পরিমাণই অনেক বেশী। শুধু তাই নয় তাদের এ প্রেম চরিতার্থ করতে গিয়ে তাদের কে বহু অপকর্ম ও অপরাধ সংঘটন করতে হয়েছে। এমন কি নরহত্যার মত ভয়াবহ অপরাধও তার মধ্য একটি । প্রায়ই পত্র পত্রিকা খুল্লে দেখা যায় পরকীয়া প্রেমের বলী হতে হলো অমুক কে । আসলে স্বাভাবিকতা সবসময়ের জন্যই সুন্দর। অস্বাভাবিক , অসম প্রেমের মাদকতা যতই থাকনা কেন এর ফল অত্যান্ত ভয়াবহ। এ প্রসংগে ইংল্যান্ডের রাজা অষ্টম এডওয়ার্ডের প্রেম ও বিবাহ পরবর্তী জীবন উজ্জল দৃষ্টান্ত হতে পারে। তাদের শেষ জীবন কাটে অত্যান্ত দারিদ্রতা ও দু:খ কষ্টের মধ্য দিয়ে। সুচিত্রা ভট্রাচার্য়ের একটি উপন্যাসে (নামটা মনে নেই) পড়েছিলাম ,বিশ্ববরেণ্য একজন ষাটোর্ধ অধ্যাপক হঠাৎ করেই তার মেয়েবয়সী এক ছাত্রীর প্রেমে পড়ে গেলেন । আফিনের চেয়েও বেশী নেশাতুর সে প্রেম । এক সময় অধ্যাপক সাহেব তার দীর্ঘ ৩০ বছরের সংসার ভেংগে নতুন সংসার গড়লেন। কিন্তু বছর না যেতেই সব কিছু তিতা হয়ে গেল। উভয়ের জীবনে নেমে এল দুর্বিসহ যাতনা । যে ভালবাসা পুরনো সংসার, পুরনো সম্পর্ক ভাংগার মত ভয়াবহ কাজে উদ্যত হয় সে সর্বনাশী প্রেমের শেষ পরিণতি কখনোই শুভ হয় না । তাই প্রকৃত প্রেমে স্বাভাবিকতা তথা শালীণতার প্রয়োজনীয়তা অনেক খানি। আবার সেলিব্রেটিদের জীবনে এরকম অসম প্রেম প্রায়শই আসে। আমরা অনেকে সেটাকে সাপোর্ট-ও করি। কিন্তু এর আড়ালে কতটা কষ্ট যে লুকিয়ে থাকে সে শুধু ভুক্ত ভোগীরাই অনুভব করতে পারে । হুমায়ন আহমেদ আমার অত্যান্ত প্রিয় একজন লেখক। প্রিয় মানুষ বলেই উনার প্রতি আমার অপরিসীম ভালোবাসা ও আগ্রহ। আমার এক কাজিন হুমায়ন আহমেদ কন্যা শিলার স্কুল জীবনের খুব কাছের বান্ধবী । সেই সূত্রে , আমার কিছু সত্য-মিথ্যা কানে আসে। শুনতে পাই তাদের পিতা-কন্যা (হুমায়ন আহমেদ এবং শিলা )-র বর্তমান সম্পর্ক-ঘৃর্ণার কথা। আমি নিশ্চিত হুমায়ন আহমেদ অসুস্থ দেহে দিন বা রাতের অনেক মুহুর্ত তার অতি প্রিয় মুখ গুলোকে কিভাবে মিস করে কষ্ট পাচ্ছেন। পৃথিবীর সব বিলাসীতা আর আভিজাত্য দিয়েও এ অভাব পূরণ হবার নয় খুব জোড় মুখে অস্বীকার করা যেতে পারে বা যুক্তির মার প্যাচে সাময়িক অগ্রাহ্য করা যেতে পারে । যাহোক, আমি ব্যাক্তিগত ভাবে আমার প্রিয় লেখকের সর্বদা শুভকামনা করি । সবার মাঝে শুভ ভালোবাসা উদিত হোক । জয় হোক ভালোবাসার ।

আমার লেখাটা এখানেই শেষ হয়ে যেত। এতটুকুই কাগজে লিখে ব্লগে টাইপ করার প্রতিক্ষায় ছিলাম। এর মধ্য জীবনে এক বিশাল অভিজ্ঞতা অর্জন হলো। সেটা বর্ণনা করতে গেলে আগে বিপ্লব (ছদ্ম নাম) ভাইয়ের কথা বলে নেয়া দরকার। বিপ্লব ভাইয়ের সাথে আমার পরিচয় আই,সি,এম,এ-তে পড়তে গিয়ে। বিপ্লব ভাই যেমন মেধাবী তেমন সুদর্শন ছিলেন।এডভান্স একাউন্টিং এর দুর্দান্ত ছাত্র ছিলেন । আমরা লাইব্রেরীতে তার পাশে বসার চেষ্টা করতাম সবসময়। তো এই বিপ্লব ভাই সবসময় ষ্টুডেন্ট লাইফে প্রেমকে খুব খারাপ চোখে দেখতেন।নিজে তো প্রেম করতেনই না অন্য কাউকে করতেও দিতেন না ।উনার কথা ছিল এটা অপ্রয়োজনীয় জিনিস যা জীবনে অনেক জটিলতার সৃষ্টি করে ।জেনেশুনে জীবনে জটিলতা আনবার দরকার কি ? যাহোক বর্ণাঢ্য ছাত্র জীবন শেষ করে , কোয়ালিফাইড কষ্ট একাউন্টেন্ট হয়ে বিপ্লব ভাই সুদূর নিউজিল্যান্ডে একটি বিশ্ববিখ্যাত মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীর চাকুরী নিয়ে উড়াল দিলেন। তা প্রায় ৯ বছর হয়ে গেল। এর মধ্য উনি কয়েকবার দেশেও এসে ঘুর গেছেন। বিয়ে করেছেন, একটি ছেলে আছে, শুনেছি ভাবী দেশেই থাকেন। গত কয়েকদিন আগে বিপ্লব ভায়ের এক নিকট জনের কাছে ভয়াবহ ইতিহাসটা শুনলাম। যার সারমর্ম এরকম- আমাদের মহান বিপ্লব ভাই ফেসবুকের মাধ্যমে এক ভারতীয় ষোড়শীর প্রেমে পড়ে উম্মাদের মত দিন কাটাচ্ছেন ভারতে। আগের চাকুরীটাও ছেড়ে দিয়েছেন । মেয়েটার পক্ষে বিয়ে বা কোন সম্পর্ক করা সম্ভব না জেনে বিপ্লব ভাই আরো বেশী উতলা হয়ে গিয়েছেন। এখন তিনি ঐ মেয়ের নিজ শহর বারোদা-তেই কোন রকম দিনাতিপাত করছেন এবং বাকী জীবন নাকি ওখানেই কাটিয়ে দেবেন, দেশে ফিরবেন না। এমন কি দেশে কারোর সাথে কোন যোগাযোগ-ও নেই ।

ঘটনাটি শুনে বিশ্বাস হয়নি তবে পরে জানলাম বিষয়টি সত্য। বহু আগে কবি নজরুলের একটি কবিতা পড়েছিলাম ঐ সময় তার মর্মাথ বুঝিনি। আজ বুঝতে পারছি --------

"প্রেমের ফাদঁপাতা ভুবনে কখন কে ধরা পড়ে কে জানে ?
সকল গরব নিমিষে টুটে যায়, সলিল বয়ে যায় নয়নে "

আমার এক সাহিত্যপ্রেমী বন্ধু প্রায়-ই আমাকে প্রশ্ন করে -আচ্ছা বলতো নজরূল এখানে সরাসরি 'চোখের জল' বা 'লোনা জল' ব্যবহার না করে "সলিল " শব্দ টা ব্যবহার করলো কেন ? তোর কি মনে হয় শুধু ছন্দ মেলানোর জন্য? আমি রহস্যময় মুখ নিয়ে জিজ্ঞাসা করি কেন তোর কি মনে হয় ? ও এক গাল হেসে উত্তর দেয় --আসল মারপ্যাচটা তো এখানেই । সলিল ব্যবহার করার অর্থ ঐটা আসল চোখের জল নয়, মেকি জল , অভিনয় প্রসূত আর কী !!!! আমি দ্বিগুণ রহস্য নিয়ে একদৃষ্টে ওর দিকে তাকিয়ে থাকি !!!!
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:১৩
৩৫টি মন্তব্য ২০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ১৮ ই মে, ২০২৪ ভোর ৬:২৬

আবারও রাফসান দা ছোট ভাই প্রসঙ্গ।
প্রথমত বলে দেই, না আমি তার ভক্ত, না ফলোয়ার, না মুরিদ, না হেটার। দেশি ফুড রিভিউয়ারদের ঘোড়ার আন্ডা রিভিউ দেখতে ভাল লাগেনা। তারপরে যখন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদ না কী মার্কেট!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৮ ই মে, ২০২৪ সকাল ১০:৩৯

চলুন প্রথমেই মেশকাত শরীফের একটা হাদীস শুনি৷

আবু উমামাহ্ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, ইহুদীদের একজন বুদ্ধিজীবী রাসুল দ. -কে জিজ্ঞেস করলেন, কোন জায়গা সবচেয়ে উত্তম? রাসুল দ. নীরব রইলেন। বললেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আকুতি

লিখেছেন অধীতি, ১৮ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩০

দেবোলীনা!
হাত রাখো হাতে।
আঙ্গুলে আঙ্গুল ছুঁয়ে বিষাদ নেমে আসুক।
ঝড়াপাতার গন্ধে বসন্ত পাখি ডেকে উঠুক।
বিকেলের কমলা রঙের রোদ তুলে নাও আঁচল জুড়ে।
সন্ধেবেলা শুকতারার সাথে কথা বলো,
অকৃত্রিম আলোয় মেশাও দেহ,
উষ্ণতা ছড়াও কোমল শরীরে,
বহুদিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ক- এর নুডুলস

লিখেছেন করুণাধারা, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:৫২



অনেকেই জানেন, তবু ক এর গল্পটা দিয়ে শুরু করলাম, কারণ আমার আজকের পোস্ট পুরোটাই ক বিষয়ক।


একজন পরীক্ষক এসএসসি পরীক্ষার অংক খাতা দেখতে গিয়ে একটা মোটাসোটা খাতা পেলেন । খুলে দেখলেন,... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্প্রিং মোল্লার কোরআন পাঠ : সূরা নং - ২ : আল-বাকারা : আয়াত নং - ১

লিখেছেন মরুভূমির জলদস্যু, ১৮ ই মে, ২০২৪ রাত ১০:১৬

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম
আল্লাহর নামের সাথে যিনি একমাত্র দাতা একমাত্র দয়ালু

২-১ : আলিফ-লাম-মীম


আল-বাকারা (গাভী) সূরাটি কোরআনের দ্বিতীয় এবং বৃহত্তম সূরা। সূরাটি শুরু হয়েছে আলিফ, লাম, মীম হরফ তিনটি দিয়ে।
... ...বাকিটুকু পড়ুন

×